বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া মর্নিং বার্ড লঞ্চটি তোলা হচ্ছে। উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় আসতে না পাড়ায় সনাতন এয়ার লিফটিং পদ্ধতিতে তোলা হচ্ছে লঞ্চটি। লঞ্চ তোলার পর আবারো শুরু হবে উদ্ধার অভিযান (রেসকিউ অপারেশন)।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) বেলা ১২টায় লঞ্চটির সামনের অংশ বুড়িগঙ্গার তীরে দৃশ্যমান হয়। বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস, বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ড একযোগে লঞ্চটি তোলার কাজ করছে। পুরোপুরি তোলা হলেই শুরু হবে উদ্ধার অভিযান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) মোস্তফা মোহসিন সাংবাদিকদের বলেন, লঞ্চটি এখনও পুরোপুরি তোলা সম্ভব হয়নি। আমরা এটিকে তীরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। বর্তমানে লঞ্চটি তীরে নিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। লঞ্চ তোলার পর আমাদের রেসকিউ টিম আবারও লঞ্চের ভেতর ও আশপাশে পানির নিচে সার্চিং অপারেশন পরিচালনা করবে। ‘ভেতরে কেউ নেই’ নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা অভিযান পরিচালনা করে যাব।
এদিকে এ দুর্ঘটনায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে ময়ূর-২ এর মালিকসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নৌ-পুলিশের এক কর্মকর্তা।
এর আগে সোমবার সকাল ১০টায় এ লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় কমপক্ষে ৫০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ রুটের মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লঞ্চটি থেকে কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে পাড়ে উঠলেও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ ছিলেন। পরে নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
স্থানীয়রা আরও জানান, মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দুইতলা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলক ছোট মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।
বিবার্তা/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]