শিরোনাম
ভিডিও কনফারেন্সে হতে পারে জাতীয় সংসদের অধিবেশন
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২০, ১৭:১৯
ভিডিও কনফারেন্সে হতে পারে জাতীয় সংসদের অধিবেশন
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী আগামী ১৫-১৬ এপ্রিলের মধ্যে সংসদ অধিবেশনের ডাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। করোনার কারণে সাধারণ ছুটি আরো বাড়লে সংবিধানের এ বাধ্যবাধকতা অনিশ্চিতার মুখে পড়বে।


তবে এ বিষয়ে বসে নেই জাতীয় সংসদ। করোনাভাইরাসের কারণে বিকল্প উপায়ে সংসদ অধিবেশন ডাকার (ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশন) পরিকল্পনায় এগুচ্ছে জাতীয় সংসদ। এ জন্য আইন মন্ত্রণালয়সহ সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতামত নিচ্ছে ।


সংসদ সূত্র জানায়, সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদের অধিবেশন থেকে আরেক অধিবেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের বেশি বিরতি দেয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমান পরিস্থিতি সংবিধানের বাধ্যবাধকতার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আগামী ১১ এপ্রিলের পরে সাধারণ ছুটি আর না বৃদ্ধি পেলে সমস্যা হবে না। কিন্তু ছুটি বাড়লে সংবিধানের নির্দেশনা পালন ও জটিলতা দেখা দেবে।


একাদশ সংসদের সর্বশেষ অধিবেশন সমাপ্ত হয়েছিল চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসেবে আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সংসদ অধিবেশন শুরুর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। ছুটি না বাড়লে ১২ ও ১৩ এপ্রিল কর্মদিবস, আর ১৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) পহেলা বৈশাখের ছুটি, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল দুদিন কর্মদিবস, ১৭ এপ্রিল (শুক্রবার) এর মধ্যে ছুটি। তাই অধিবেশন ডাকার মত সময় রয়েছে ১৫ কিংবা ১৬ এপ্রিল ।


এ বিষয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সংসদ অধিবেশন সামপ্তের ৬০ দিনের মধ্যে সংসদ অধিবেশন আহবান করতে হবে। বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার মতো কোনো নির্দেশনা সংবিধানে নেই। প্রয়োজনে একদিনের জন্য হলে সংবিধানে অধিবেশন বসতে হবে। সংসদের বৈঠক কখন কোথায় হবে তা নির্ধারণ করবেন রাষ্ট্রপতি।


সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতি সংসদ আহবান করবেন। রাষ্ট্রপতি সংসদ বৈঠকের সময় ও স্থান অধিবেশনের সমাপ্তি নির্ধারণ করবেন। সংসদ অধিবেশন সমাপ্তির ৬০ দিন বেশি বিরতি থাকবে না।


সংসদ সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়িয়ে সংবিধানের নির্দেশনা সংসদের বৈঠকের যৌক্তিকতা নেই। জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্যদের জনগণের পাশে দাঁড়ানো মানবিক দায়িত্ব।


স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, একদিনের জন্য হলেও সংসদ অধিবেশন ডেকে দীর্ঘ সময়ের জন্য মুলতবি করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে সব এমপিদের উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজনে নেই। ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার এমপিরা উপস্থিত থাকলেই হয়। যাতে কোরাম সংকট (৬০ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত থাকতে হবে) না হয়।


তিনি বলেন, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংসদের বৈঠকে বসার পরিকল্পনা সম্পর্কে পুরোপুরি প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন। সেভাবেও সংসদ সদস্যদের নিয়ে করা সম্ভব।


উল্লেখ্য, গত ৯ জানুয়ারি শুরু হয় একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশন। দীর্ঘ ২৮ কার্যদিবস চলার পর শেষ হয় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। আলোচনায় সরকারি ও বিরোধীদলীয় ২২৭ জন এমপি অংশ নেন। তারা মোট ৫৪ ঘণ্টা ২৪ মিনিট আলোচনা করেন। এ ২৮ কার্যাদিবসে ৭টি বিল পাস হয়। এই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য ১২৪টি প্রশ্ন জমা পড়ে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ৫৫টি প্রশ্নের জবাব দেন।


বিবার্তা/আদনান/জাহিদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com