শিরোনাম
চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির এক বছর
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:২৮
চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির এক বছর
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির বর্ষপূর্তি আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি)। ২০১৯ সালের এদিন রাত ১০টা ৩৮ মিনিটের দিকে রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ হারান ৭১ জন। এর মধ্যে তিনটি মরদেহ এখনো শনাক্ত হয়নি।


চকবাজার এলাকার স্থানীয় চুড়িহাট্টা মসজিদ সংলগ্ন আসগর লেন, নবকুমার দত্ত রোড এবং হায়দার বক্স লেনের ত্রিমুখী মিলনস্থলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বছর পেরিয়ে গেলেও আগুনের সঠিক উৎপত্তিস্থল ও কারণ এখনো ধোঁয়াশাই রয়েছে। সেদিনের সেই আগুনে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় স্থানীয় রাজ্জাক ভবন ও ওয়াহিদ ম্যানশন। আরো অন্তত তিনটি ভবনের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয় খাবার হোটেল, দোকানের মতো বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।


আগুন লাগার পর ঢাকা ও এর আশেপাশের ১৩টি ফায়ার স্টেশনের অন্তত ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লাগে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা। ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্যাদি এবং প্লাস্টিক পণ্য আগুনের শিখা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে।


অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার অল্প সময়ের মাঝেই ১০ জন মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর পক্ষ থেকে। তবে প্রাথমিক তথ্যের পর প্রতি মুহূর্তেই ঘটনাস্থল এবং পার্শ্ববর্তী সলিমুল্লাহ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গগুলো থেকে আসতে থাকে মরদেহের খবর। ঘটনার প্রায় নয় দিন পরেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার খবর প্রকাশ করতে হয় গণমাধ্যমকে।


নিমতলী অগ্নিকাণ্ডের পর খোদ রাজধানীতে স্মরণকালের এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ও হতাহতের চিত্র নাড়িয়ে দেয় পুরো জাতিকে। ঘটনার প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী এক দিনের শোক পালন করে জাতি। অর্ধনমিত রাখা হয় জাতীয় পতাকা।


মর্মান্তিক এই ঘটনায় স্বজন হারাদের শোক সবচেয়ে বেশি। স্বজনদের শোক আজো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাদের। এক বছর সময় পেরিয়ে আজো সেই ওয়াহেদ ম্যানশন এর সামনে ছবি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন অনেক নিহতের স্বজনেরা। কারো পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, কারো বা পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্যও; একেকজনের গল্প আলাদা আলাদা হলেও শোক সবার একই।


দুর্ঘটনার এক বছর পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা আজো পাননি প্রশাসনের সহায়তা। আর্থিক সহায়তা বা সরকারি চাকরির যেসব প্রতিশ্রুতি তাদের উদ্দেশ্যে ছিল প্রশাসনের, সেগুলোও যেন ভুলতে বসেছেন তারা। আর পুরান ঢাকা থেকে সবধরনের রাসায়নিক কারখানা এবং পণ্যের মজুদ সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা থাকলেও অগ্রগতি হয়নি কিছুরই। ঘটনার পর বেশ কদিন তোড়জোড় থাকলেও সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে গেছে সব বুলি।


এমনই প্রেক্ষাপটে হারানো স্বজনদের আবারো স্মরণ করবেন নিহতের আত্মীয়রা। অন্যদিকে ব্যবসা বাণিজ্য হারিয়ে নিঃস্ব বণিকেরা চেষ্টা করছেন ঘুরে দাঁড়ানোর।


বিবার্তা/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com