শিরোনাম
বাজারে ছড়িয়ে পড়তে পারে প্লাস্টিকের চাল
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০১৬, ১২:৫৯
বাজারে ছড়িয়ে পড়তে পারে প্লাস্টিকের চাল
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

নকল ডিমের পর এবার চীনের প্লাস্টিকের চাল বাজারে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্লাস্টিকের সঙ্গে আলু ও লালআলু মিশিয়ে তৈরি চাল ইতিমধ্যে ভারতসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মর্মে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। নকল এ চালের অজস্র ভিডিও ইন্টারনেটে মিলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মোটা চালের বাড়তি দামের কারণে কমদামি প্লঅস্টিকের চাল বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।



একাধিক প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, বাজারে গিয়ে কিনে আনলেন মিনিকেট বা ভালো বাঁশকাঠি চাল। হাঁড়িতে সে ভাত ফুটলও। দিব্যি খেয়ে ফেললেন। কিন্তু, জানলেনও না, আপনি যে চালের ভাত খেলেন, সেটা কৃত্রিম চাল, আসলে প্লাস্টিক ছাড়া কিছু নয়।



অথচ চীন নকল প্লাস্টিকের চালের মাধ্যমে এশিয়ার বাজার ধরে নিচ্ছে। এমনকি যারা চালের কারবারি, দিনরাত চাল নিয়ে ঘাটাঘাটি করেন, তারাও ধরতে পারছেন না চীনের এই চালাকি। অভিযোগ রয়েছে, আর পাঁচটা চীনা পণ্য যেমন সস্তায় মেলে, তেমনি সস্তায় চাল কিনে, ব্যাপক মুনাফা করতে সেই নকল চালই বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।



এর আগে নকল ডিম বানিয়েও দেদার আয় করেছে চীন। বাইরে থেকে দেখে, এমনকি ডিম ফাটিয়েও কারও ধরার ক্ষমতা হয়নি, সে ডিমও নকল। না হাঁসের, না মুরগির। এই ডিম নাকি ভারতের বাজারেও বিক্রি হয়েছে। ভারতীয়রা সব সময় সস্তায় জিনিস কিনতে চায়। এই কারণে চীনের প্লাস্টিকের চাল নিয়ে ভারতের শঙ্কা।



ভারতের বাজারে তাই দেদার বিকোচ্ছে এই সস্তার প্লাস্টিক চাল। সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামেও যাচ্ছে। সস্তায় দিচ্ছে বলে, নকল চালেও চালের বাজার গ্রাস করে নিচ্ছে চীন।



জানা গেছে, চীনের এই প্লাস্টিকের চাল অবিকল সাধারণ চালের মতো। রান্নার আগে বোঝাও যায় না সেটা প্লাস্টিকের কিনা। পাশপাশি রেখে আসল-নকল বোঝার উপায়ও নেই। রান্নার পর বোঝা যায়, ভাতটা মনমতো হলো না। সেই স্বাদও পাওয়া যায় না। সম্প্রতি কেরালায় এমন নকল চাল প্রথমে নজরে আসে। তখনই খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চীন থেকে এই নকল চালের দেদার আমদানি হচ্ছে। প্লাস্টিকের সঙ্গে আলু ও রাঙাআলু মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে এই নকল চাল।



স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সাবধান করে জানিয়েছেন, এই প্লাস্টেকের চাল শরীরের পক্ষে মোটেও সুখের নয়। নিয়মিত খেলে প্রাণসংশয় হতে পারে।



বিবার্তা/জিয়া



সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com