পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের সভায় এ চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ গত বছরের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তাও তিনি।

সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ২৪ জুন ডিআইজি মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এ মামলার অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।

মামলার তদন্ত চলাকালে দুদক পরিচালক বাছিরের বিরুদ্ধে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠে। ডিআইজি মিজান অভিযোগ করে জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে দুদকের পরিচালক এনামুল বাছির তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।

তদন্ত চলাকালে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওঠার পর এনামুল বাছিরকে মামলা তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। পরে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে এ মামলার অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়।

এছাড়া ডিআইজি মিজান ও বাছিরের ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুদক পরিচালক ফানাফিল্যাকে প্রধান করে তিন সদস্যের দলকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্ত চলাকালে উভয়ের অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয়া হলো।

এর আগে তথ্য পাচার ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ ওঠার পর ডিআইজি মিজানকে পুলিশ থেকে এবং পরিচালক বাছিরকে দুদক থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বিবার্তা/সোহেল/জাই