শিরোনাম
১৮টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উদ্বোধন করলেন মেয়র আতিক
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ২০:০৬
১৮টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উদ্বোধন করলেন মেয়র আতিক
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বুধবার বেলা ১২টায় ৪১ নম্বর ওয়ার্ডস্থ প্রজাপতি গার্ডেন, সাতারকুল থেকে নতুন সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।


এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, ‘এখন থেকে নতুন সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ২৫ জন করে পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং ১৩ জন করে মশক নিধন কর্মী কাজ করবেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্বাবধানে এসকল পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও মশক নিধন কর্মীরা কাজ করবেন’।


পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও মশক নিধন কর্মীদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘কাজে কোনো প্রকার ফাঁকি দেয়া যাবে না, সততার সাথে কাজ করতে হবে’।


তিনি আরো বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুধু পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের উপর নির্ভর করে না, আমাদের মানসিকতার উপরও নির্ভর করে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা পরিষ্কার করবেন, আর অন্যরা রাস্তা-ঘাট ইত্যাদি ময়লা করবে এটা কাম্য নয়। একশ ফিট রাস্তার ময়লা ইতিমধ্যে পরিষ্কার করে দিয়েছি, আপনাদের তা ধরে রাখতে হবে’।



সূতিভোলা খালের আবর্জনা অপসারণ উদ্বোধন করেন মেয়র আতিকুল হক


সাবেক সাতারকুল ইউনিয়ন ডিএনসিসির আওতাভুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একসময় গুলশানও ইউনিয়ন ছিল, আমি চাই সাতারকুল এলাকা গুলশান থেকেও উন্নত হোক’।


সভায় মেয়র জানান, সম্প্রসারিত এলাকার ১৮টি ওয়ার্ডে রাস্তা, ফুটপাত, ড্রেন ইত্যাদি নির্মাণের জন্য ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। শিগগিরই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, ‘নতুন প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার, কাঁচাবাজার ইত্যাদি থাকবে’।


বিজয়ের মাসে উপস্থিত জনগণের উদ্দেশে মেয়র আরো বলেন, ‘ত্রিশ লক্ষ শহীদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার দেশকে ভালোবেসে জীবন উৎসর্গ করেছেন। আসুন আমরা দেশকে, শহরকে ভালোবেসে অন্তত রাস্তায় যেন ময়লা-আবর্জনা না ফেলি। বিজয়ের মাসে এ প্রতিজ্ঞা করি’।


অনুষ্ঠান শেষে মেয়র পাশেই সূতিভোলা খাল পরিদর্শন করেন। সেখানে ডিএনসিসির নিযুক্ত কচুরিপানা অপসারণ কর্মীদের কাজের উদ্বোধন করেন। এসময় মেয়র বলেন, এই সূতিভোলা খালটির মালিক ওয়াসা। আমরা লোক নিয়োগ করে খাল পরিষ্কার করে দিচ্ছি। শুধু আমরা পরিষ্কার করে দিলেই হবে না এজন্য প্রতিটি এলাকার মানুষকে দায়িত্ব নিতে হবে।


তিনি বলেন, প্রতিটি এলাকায় এরকম নোংরা খাল রয়েছে। আর এই খাল থেকেই মশার জন্ম হচ্ছে। তাই আমরা এবার খাল পরিষ্কার করে ম্যালাথিউন ওষুধ স্প্রে করে দিচ্ছি। যেন উৎসেই মশা ধ্বংস হয়ে যায়।


অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর মঞ্জুর হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com