শিরোনাম
আইএস টুপি: দুই তদন্ত কমিটির ভিন্ন মত
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০১৯, ২০:২৬
আইএস টুপি: দুই তদন্ত কমিটির ভিন্ন মত
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ইসলামিক স্টেটের (আইএস) লোগো সংবলিত টুপি কারাগার থেকে নিয়ে আসেনি বলে নিশ্চিত হয়েছে কারা কর্তৃপক্ষের তদন্ত কমিটি।


তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে গঠন করা তদন্ত কমিটি বলছে, কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকেই আইএসের লোগো সংবলিত টুপি আদালতে নিয়ে এসেছিল জঙ্গিরা।


দুই সংস্থার পক্ষ থেকে গঠন করা দুই তদন্ত কমিটির ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যে এ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।


আদালতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে গত ২৭ নভেম্বর বুধবার হলি আর্টিজান মামলার রায়ের দিন দণ্ডিত দুই আসামির মাথায় আইএসের চিহ্ন সংবলিত টুপি কীভাবে এল, তা খতিয়ে দেখতে কারা কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। শনিবার তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেদিন আইএসের টুপি কারাগার থেকে যায়নি বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।


ডেপুটি আইজি প্রিজন্স টিপু সুলতান জানান, আইএসের চিহ্ন সংবলিত টুপির বিষয়ে কারা কর্মকর্তাদের গাফিলতি নেই। কারাগার থেকে টুপি সংগ্রহ করেনি আসামিরা। তবে কীভাবে আলোচিত হলি আর্টিজান মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান রিগ্যানের মাথায় আইএস আদলে টুপি এল- তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাননি তিনি।


তিনি বলেন, ‘আমাদের তদন্ত কমিটি কারাগার থেকে আইএসের চিহ্ন সংবলিত টুপি আসামিদের মাধ্যমে আদালতে যায়নি বলে নিশ্চিত হয়েছে।’


এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ডিবির যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব আলম বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, ওই জঙ্গি যখন কারাগার থেকে এসেছে তখন এই টুপিটি তার সঙ্গেই ছিল। প্রাথমিকভাবে আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। জঙ্গি রিগ্যান নিজেও বুধবার এজলাস থেকে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় জানিয়েছিল, কারাগার থেকেই সে আইএসের লোগো সংবলিত টুপিটি নিয়ে এসেছিল।


উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর বুধবার দুপুর ১২টার পর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে যে সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে তাদের একজন রিগ্যান।


ওইদিন সকালে আরো সাত আসামির সঙ্গে রিগ্যানকেও কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নিয়ে আসা হয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে। সকাল ১০টা ২৩ মিনিটে যখন তাদের প্রিজন ভ্যান থেকে নামানো হয়, তখন রিগ্যানের মাথায় কোনো টুপি ছিল না। প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে তাদের রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। দুপুর ১২টার দিকে রায় ঘোষণার আগে হাজতখানা থেকে যখন আসামিদের এজলাসে নেয়া হয়, ঠিক তখন রিগ্যানের মাথায় দেখা যায় কালো একটি টুপি। সেই টুপিতে কোনো ধরনের চিহ্ন বা প্রতীক দেখা যায়নি। তবে রায়ের পর এজলাস থেকে যখন বের করা হয় আসামিদের, তখন রিগ্যানসহ দুই জঙ্গির মাথায় অন্য একটি টুপি দেখা যায়। ওই টুপিতে যে প্রতীক খচিত ছিল, সেটি জঙ্গি সংগঠন আইএস তাদের লোগো হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।


এ দিকে দুই জঙ্গির পকেটে সেই আইএস টুপি কীভাবে এল, তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় সারা দেশে। এই টুপির রহস্য ভেদ করতে গত ২৭ নভেম্বর বুধবার আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করে কারা কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা মহানগর পুলিশ।


বিবার্তা/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com