শিরোনাম
পেঁয়াজের দাম বাড়ানো ব্যবসায়ীদের ক্রসফায়ারের দাবি
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:৪৫
পেঁয়াজের দাম বাড়ানো ব্যবসায়ীদের ক্রসফায়ারের দাবি
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে পেঁয়াজের দাম অসহনীয় পর্যায়ে বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংসদ সদস্যরা। একই সঙ্গে যেসব অসাধু ব্যবসায়ী পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর সঙ্গে জড়িত তাদের ক্রসফায়ারে দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।


বাজারে পেঁয়াজের প্রচুর জোগান থাকলেও ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে দাম বাড়ছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা।


বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সরকারিদল ও বিরোধীদলের সদস্যরা এ দাবি জানান। এসময় অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।


আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এ প্রসঙ্গে বলেন, আসলেই বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ রয়েছে। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। প্রধানমন্ত্রী এর আগে অনুরোধ করেছিলেন পেঁয়াজ কম খেতে। সেটাতে মানুষ সাড়া দিয়েছেন। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি সরকারের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। এজন্য দুর্নীতিবাজরা এটা করতে পারে। এটা মানা যায় না। এব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। প্রধানমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আমি আহবান জানাই। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন, যাতে পেঁয়াজের দাম কমে। মানুষের দুর্ভোগ দুর হয়।


বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দু’দিন আগে বাণিজ্যমন্ত্রীর পক্ষে শিল্পমন্ত্রী বললেন পেঁয়াজের বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মন্ত্রী একথা বলার পরদিনই পেঁয়াজের কেজি দেড়শ টাকা হয়ে গেলো। আজ (বৃহস্পতিবার) দুইশ টাকা কেজি। নিউজে দেখলাম পেঁয়াজের দাম না পাওয়ায় ভারতের কৃষকরা কাঁদছে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমাদের এত ভালো সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী যদি নিজে ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নেন তাহলে হয়তো এ সমস্যাটা থাকতো না।


চুন্নু বলেন, বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ রয়েছে। তারপরেও দাম বাড়ছে। এর বিরুদ্ধে একটি অভিযান চালানো দরকার। তাহলে সমস্যাটা আর থাকবে না। সন্ত্রাসীরা ক্রসফায়ারে মারা যায়। যারা পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে, তাদের একজন মারা যাক না। আমি মনে করি পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি সরকারের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। এটা দেখা দরকার। জরুরিভিত্তিতে এর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।


আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, পেঁয়াজের দাম যখন ১শ টাকা তখন বাণিজ্যমন্ত্রীর পক্ষে শিল্পমন্ত্রী বললেন, পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এরপরই পেঁয়াজের দাম ৫০-১০০ টাকা বেড়ে গেলো। মন্ত্রী কেন এটা বললেন। তিনি এটা বলার কারণে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেয়ে গেলো। এত সুদক্ষ মন্ত্রিপরিষদ তারা সুন্দরভাবে কাজ করছেন, তারপরেও পেঁয়াজের দাম এত বেশি বেড়েছে। এতে জনগণের মধ্যে একটি রিঅ্যাকশন তৈরি হয়েছে। দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।


আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বুলবুলের কারণেও পেঁয়াজের দাম একটু বেড়েছে। আজ পত্রিকায় দেখলাম পেঁয়াজের কেজি ২শ টাকা। এটা কোনোদিনও আমরা ভাবিনি। আমরা আগেই মূল্যায়ন করি আমাদের উৎপাদন কত, চাহিদা কত, শর্ট কত। যেটা শর্ট সেটা তুরস্ক, মিশর, মিয়ানমার থেকে আগেই আমদানি করি।


এসময় তোফায়েল আহমেদ অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, যারা পেঁয়াজ আমদানি করেন, তাদের শুল্কমুক্ত সুবিধা দেন। অন্তত কিছুদিনের জন্য এটি করা হোক। ডিউটিটা শূন্য করে দেন। অর্থমন্ত্রী এ ধরনের একটি ঘোষণা দিলে পেঁয়াজের দামে প্রভাব পড়বে।


বিবার্তা/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com