শিরোনাম
ভারত পেঁয়াজ না দেয়ায় দাম কমছে না: শিল্পমন্ত্রী
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:৩৯
ভারত পেঁয়াজ না দেয়ায় দাম কমছে না: শিল্পমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রতিবেশী দেশ ভারত রফতানি বন্ধ রাখায় ও দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট না হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কমছে না বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।


তিনি আরো জানান, ভারতের পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের কর্মাশিয়াল কাউন্সিলের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যহত রয়েছে।


মঙ্গলবার বিকেল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বাণিজ্য টিপু মুনশির অনুপস্থিতিতে তারপক্ষে প্রশ্নোত্তরে অংশ নেন শিল্পমন্ত্রী। এ সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান।


জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, দেশে বর্তমানে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টন। গত বছর পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছিল ২৩ দশমিক ৩০ লাখ মেট্রিক টন। এরমধ্যে ৩০ শতাংশ সংগ্রহকালীন এবং সংরক্ষণকালীন ক্ষতি বাদ দিলে উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬ দশমিক ৩১ লাখ মেট্রিক টন। উৎপাদিত পেঁয়াজ স্থানীয় চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট না হওয়ায় বিদেশ থেকে বিশেষ করে ভারত থেকে প্রতিবছর নির্দ্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।


সংসদে মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ভারতের মহারাষ্ট্রে বন্যা হওয়ায় পেঁয়াজের ফলন ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে ভারত সরকার ১৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রফতানি মূল্য প্রতিটন ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করেছে। আগে ভারতের রফতানি মূল্য ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ ডলার। এখন তা ৮৫০ ডলারে দাঁড়ানোর কারণে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।


তিনি আরো বলেন, একই সঙ্গে ভারতের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয় ২৯ সেপ্টেম্বর। ফলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পেঁয়াজের বাজার দর, মজুদ ও সরবরাহ চলমান রাখতে এবং আমদামি বৃদ্ধি ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া মিশর ও তুরস্ক থেকে দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।


প্রশ্নোত্তরে অংশ নিয়ে বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা পোশাকখাতে অটোমেশনের কারণে চাকরি চলে যাওয়ায় যে বেকারত্ব তৈরি হচ্ছে, সেটা ঠেকাতে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান।


জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমরা ডাইভারসিফিকেশনে যাচ্ছি। সারাদেশে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছি। আধুনিক এই শিল্পায়নের যুগে অটোমেশন তো হবেই। সেইসঙ্গে নতুন নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে। এটা কোনো সমস্যা না। কেউ বেকার হবে না। হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই।


বিবার্তা/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com