শিরোনাম
ফেসবুকে মহানবীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য
‘দোষী ব্যক্তিকে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে’
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:২১
‘দোষী ব্যক্তিকে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশ-জনতার মধ্যে সংঘর্ষে চার জন নিহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। দোষী ব্যক্তিকে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।


সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।


মন্ত্রী বলেন, ভোলার ঘটনায় কে আসল অপরাধী বা আসল ফেসবুক আইডি তা শনাক্ত করতে সিঙ্গাপুরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে ওই কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তদন্ত চলছে, দু’একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। তখন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভোলায় এক ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর নামে কটূক্তির ঘটনায় কে আসল অপরাধী তা খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। এ ঘটনা ভোলার যে ছেলের ফেসবুক চ্যাটিং থেকে হয়েছে, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ছেলে জানিয়েছেন কয়েক দিন আগে তার ফেসবুক হ্যাকড হয়। হ্যাকড করা ব্যক্তি তার কাছে এজন্য টাকা দাবি করে। এ বিষয়ে তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তাদের কথোপকথন থেকে অর্থ দাবি করা ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছি। এখন তাদের মধ্যে কথোপকথনের তথ্য-উপাত্ত অধিকতর তদন্তের জন্য আমরা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সিঙ্গাপুর অফিসে পাঠিয়েছি। তাদের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছি। এই ঘটনায় ফেসবুকে কার আইডি, কে হ্যাকড করেছে, কোথা থেকে এসব পোস্ট করা হয়েছে তা খতিয়ে বের করা হবে। সেই অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।


তিনি বলেন, এসব তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া পর্যন্ত আমি সবার প্রতি অনুরোধ করবো একটু অপেক্ষা করতে। সবার প্রতি আমাদের আবেদন, কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। সরকারের পক্ষ থেকে সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।


আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনায় কেউ কেউ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।


বিপ্লব নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টের প্রতিবাদে রবিবার স্থানীয় লোকজন বিক্ষোভ মিছিল করার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এসময় তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে সংঘর্ষে মাহাফুজ, মিজান, শাহীন ও মাহবুব নামে চারজন নিহত হন। আহত হন সাংবাদিকসহ অন্তত অর্ধশত। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিজিবি ও কোস্টগার্ড।


বিবার্তা/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com