মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৩০৫৭ কোটি ২৪ লাখ টাকার বাজেট দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত নগর ভবনে এ বাজেট ঘোষণা করেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে এক হাজার ১০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫১ কোটি ৪০ লাখ টাকা, অন্যান্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি টাকা ও উন্নয়ন ব্যয় দুই হাজার ৩৩৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
এছাড়া মশক নিধন কার্যক্রমে এবছর ১৮২ শতাংশ ব্যয় বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
বাজেট পেশ করার আগে আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জন্য এটি নবম বাজেট হলেও মেয়র হিসেবে আমার জন্য প্রথম বাজেট। আমাদের জাতীয় জীবনে এই অর্থবছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘মুজিব বর্ষ’, ‘ভিশন ২০৪১’ এবং ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)’ সামনে রেখে ডিএনসিসির কর্মপরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
‘মেয়র নির্বাচনের সময় আমি মশক নিয়ন্ত্রণ, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা নিরসন, সেবাগুলো ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিশ্চিত করা, রাস্তাঘাটের আধুনিকায়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তাছাড়া আপনারা জানেন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ড যুক্ত হওয়ায় ডিএনসিসির বর্তমান ওয়ার্ড সংখ্যা ৫৪টি। আয়তনও ৮২.৬২ বর্গ কিমি থেকে বেড়ে পেয়ে ১৯৬.২২৮ বর্গ কিমি হয়েছে। নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নেও আমরা কাজ করবো।’
তিন হাজার ৫৭ কোটি ২৪ লাখ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট এ আয়ের বড় অংশের জন্য বাহ্যিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করছে ডিএনসিসি। রাজস্ব খাত থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক হাজার ১০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
এছাড়াও সরকারি থোক বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা, বিশেষ বরাদ্দ ৫০ কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে ৯ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বাজেটের সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প থেকে আয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৫৬৪ কোটি ৬৪ লাক টাকা। যা আয়ের সব খাত থেকে বেশি এবং মোট বাজেটের ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে, রাজস্ব ব্যয়ে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫৫১ কোটি ৪০ লাখ, উন্নোয়ন ব্যয় ৭৭১ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য খাতে ১২ কোটি টাকা। এছাড়াও বাহ্যিক সাহায্য থেকে যে অর্থ পাওয়া যাবে সেটিও ব্যয় করা হবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে।
উন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে সড়ক ও ট্রাফিক অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন খাতে ৩৬৩ কোটি টাকা, কবর স্থান বা শ্মশান ঘাটের সংস্কার ও উন্নোয়নে ৭ কোটি ২৫ লাখ, পার্ক ও খেলার মাঠে ৪ কোটি টাকা, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে ৭৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা এবং পরিবেশ উন্নয়নে ২৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। উন্নয়ন বাজেট খাতে সর্বমোট দুই হাজার ৩৩৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে যা মোট বাজেটের প্রায় ৭৬ শতাংশ।
এদিকে, মশা নিয়ন্ত্রণে ৪৯ কোটি ৩০ লাখ, মশক নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ১০ কোটি এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বিবার্তা/খলিল/শারমিন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]