শিরোনাম
‘মানুষের কল্যাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে’
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০১৯, ১৯:১০
‘মানুষের কল্যাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে’
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, চিকিৎসা একটি মানবিক পেশা। এদেশের চিকিৎসকরা মানবিক চেতনা নিয়ে কাজ করেন। চিকিৎসকের পাশাপাশি মানুষের কল্যাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।


বুধবার ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) আয়োজিত কিডনি-ইউরোলজি ও নিউরোমেডিসিন বিষয়ক দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের শেষ দিনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।


ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধীনস্থ অ্যাডভান্স সেন্টার অব কিডনি অ্যান্ড ইউরোলজির (আকু) সৌজন্যে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করে ডিএসইসি।


অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জাকির হোসেন ইমন। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদির অনিক। মেডিকেল ক্যাম্পের সমন্বয় করেন কোষাধ্যক্ষ আবু কাউছার খোকন। এসময় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সাবেক নেতারাও। ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের প্রধান ও আকু’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সোহরাব হোসেন সৌরভ, পরিচালক মেজর (অব.) ডা. তৌফিকুল মুনিম, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ফজল নাসের, ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. কাজী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ কিডনি-ইউরোলজি ও নিউরোমেডিসিন বিষয়ক কয়েকজন চিকিৎসক ও বিজনেস ডেভেলপমেন্টের ম্যানেজার শাহ্ নাঈম হাবীব প্রমুখ।


মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের চিকিৎসায় এসেছে অনেক আধুনিকতা। সেবার মানও বেড়েছে। এমন আধুনিক চিকিৎসা ও সুবিধার কথা সাংবাদিকরাই সাধারণ জনগণকে জানাতে পারেন। তাদের চিকিৎসকদের এই কাজের কথা সবার কাছে তুলে ধরতে হবে।



কিডনি-ইউরোলজি ও নিউরোমেডিসিন বিষয়ক সেমিনারে অধ্যাপক ডা. সোহরাব হোসেন সৌরভ বলেন, ধূমপান, অতিরিক্ত মাংসজাতীয় খাবার খাওয়া, কীটনাশক ও রাসায়নিক সার প্রয়োগকারীদের প্রস্টেট ক্যান্সার, মূত্র থলির ক্যান্সার ও কিডনি ক্যান্সার রোগ বেশি হচ্ছে। এজন্য ধূমপান ত্যাগ, অতিরিক্ত মাংস না খাওয়া ও সচেতন হয়ে সার ও কিটনাশনক প্রয়োগ করা উচিত। আর কিডনির পাথরের হাত থেকে রক্ষা পেতে চাইলে দৈনিক কমপক্ষে দুই লিটার পরিমাণ পানি পান করা উচিত।


ডা. ফজল নাসের বলেন, পাথুরি রোগের সবচেয়ে বড় প্রতিকার হচ্ছে পানি। অর্থাৎ শরীরকে পানি শূন্য করে নয় বরং প্রত্যেকেরই পরিমাণ মতো পানি পান করা উচিত।


তিনি আরো বলেন, গর্ভের ৭ মাসের মাথায় শিশুর আলট্রাসনোগ্রাম বা ফিটাল স্ক্যান পরীক্ষা করা উচিত। এতে শিশুর জন্মগত কিডনির নানা ক্রুটি ধরা পড়ে এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে সুস্থ করা যায়।



বিবার্তা/বিজ্ঞপ্তি/আকবর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com