সাহিত্যে নারী মুক্তির কথা দৃঢ়তার সঙ্গে উপস্থাপন করার স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর বেগম রোকেয়া সম্মাননা পেয়েছেন সাহিত্যিক-সাংবাদিক দীপংকর দীপক।
গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর হাত থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবি শাহীন রেজা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবু নাসের চৌধুরী, যুগ্ম-সচিব মফিদুল ইসলাম প্রমুখ।
পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দীপংকর দীপক বলেন, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন আজীবন নারী মুক্তির কথা লিখে গেছেন। বাঙালি নারীরা এখন অনেক এগিয়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা পুরুষদেরকেও ছাড়িয়ে গেছেন। আমার সাহিত্যকর্মেও নারী শক্তিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। তাদের রূপের চেয়ে গুণের বিচার করা হয়েছে বেশি। কুসংস্কার ও ধর্মভীরুতা দূর করে তাদের নব শক্তির আধার হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর স্বীকৃতিস্বরূপ বেগম রোকেয়া সম্মাননা পেয়ে নিজেকে নিয়ে গর্ব হচ্ছে।
কবি শাহীন রেজা বলেন, দীপংকর দীপকের বেশির ভাগ সাহিত্যকর্মে নারীর প্রতিবাদী রূপ ফুট উঠেছে। তার নারী চরিত্রগুলোকে কুসংস্কার ও সামাজের গোঁড়ামির সঙ্গে অবলীলায় লড়াই করতে দেখা গেছে। এ পুরস্কার তাকে মূল ধারার সাহিত্যচর্চায় আরো বেশি অনুপ্রাণিত করবে।
এ পর্যন্ত দীপংকর দীপকের ডজনখানেক বই প্রকাশিত হয়েছে। বইগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘নিষিদ্ধ যৌবন’ (২ খণ্ড), ‘বুনো কন্যা’, ‘নাস্তিকের অপমৃত্যু’, ‘ঈশ্বরের সঙ্গে লড়াই’, ‘কালচক্র’, ‘প্রহেলিকা’, ‘ছায়ামানব’ প্রভৃতি। তার রচনায় ধর্মনিরপেক্ষতা, নারী স্বাধীনতা, প্রথাবিরোধী মনোভাব, শ্রেণিচেতনা ও সমাজ বাস্তবতা জীবন্ত উপাদান হয়ে পরিস্ফুটিত হয়েছে। পাশাপাশি প্রকৃতিবাদ, কর্মবাদ, সময়ের মূল্যবোধ, মানবমনের দুঃখবোধ, স্বদেশপ্রেম, মানবপ্রেম, মৃত্যুভাবনাসহ গবেষণামূলক নানা বিষয় উঠে এসেছে।
বিবার্তা/অভি/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]