শিরোনাম
ডিইউজে নির্বাচনে নজিরবিহীন জালিয়াতির অভিযোগ
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০১৮, ২২:১২
ডিইউজে নির্বাচনে নজিরবিহীন জালিয়াতির অভিযোগ
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ডিইউজে নির্বাচনে নজিরবিহীন জালিয়াতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্টরা। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তারা পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।


শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নে (ডিইউজে) নির্বাচনে আমরা বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষ থেকে নির্বাচনী বুথে দায়িত্ব পালনকালে যে সব নজীরবিহীন জাল-জালিয়াতির ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি, তা বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনে কখনো হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের ঘটনা বারবার নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের নজরে আনা এবং অভিযোগ উত্থাপনের পরেও তারা কেউ কর্ণপাত করেননি। এমনকি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা দফায় দফায় ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যানসহ কমিটির সদস্যদের কাছে তাদের প্রতিবাদের কথা জানিয়ে যান।


দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এতসব অভিযোগ জানানোর পরেও বরাবরই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কয়েকজন সদস্য সম্পূর্ণভাবে নির্লিপ্ত ছিলেন। জাল ভোট দিতে আসা ৩০ জনকে হাতে-নাতে ধরিয়ে নির্বাচন কমিশনের হাতে সোপর্দ করা হলেও তাদের রহস্যজনকভাবে ছেড়ে দেন নির্বাচন কমিটির সদস্যরা। সন্ধ্যায় ভোট গণনার আগেই বিভিন্ন অনিয়মের কথা জানিয়ে এজেন্ট ও প্রার্থীদের পক্ষ থেকে এ নির্বাচন বাতিলের দাবি জানানো হয়। এ সব বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাদানুবাদ চলার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভোটের রেজাল্ট শিট ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন কমিটির কর্মকর্তাদের দৃষ্টি গোচর করা হয়। কিন্তু তারপরেও তাদের টনক নড়তে দেখা যায়নি। আরো উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, ব্যালট বাক্স থেকে ব্যালট শিট বের করার আগেই কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য বিদায় নিয়ে বাইরে চলে যান। তারা ভোট গণণা প্রক্রিয়ার কোনো স্তরেই আর যুক্ত ছিলেন না।


বিবৃতিতে আরো অভিযোগ করা হয়, এবারই প্রথম ভোটারের হাতে ব্যালট পেপার দেয়া হলেও ভোটারদের টিপসই কিংবা স্বাক্ষর রাখা হয়নি। এমনকি, এবারই প্রথম মিছিল করে বুথের মধ্যে অনেককে একসঙ্গে প্রবেশ করতে দেখা গেলেও কমিটির কর্মকর্তারা তাদের নির্বৃত্ত করেননি। তাছাড়া, বারবার আপত্তি জানানো সত্ত্বেও ভোটররা একজনের ব্যালট পেপার নিয়ে প্রকাশ্যে অন্যজনের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করলেও নির্বাচনী কর্মকর্তারা তাতে বাধা দেননি।


এতে বলা হয়, বুধবার মধ্যরাতে বিক্ষুব্ধ ডিইউজে প্রার্থীদের প্রতিবাদের মুখে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা ফলাফল ঘোষণা না করেই কেন্দ্র ত্যাগ করেন। কিন্তু পরেরদিন সন্ধ্যায় ডিইউজে দপ্তরে একটি ফলাফল গোপনে টানানো হয়েছে বলে পরে আমরা জানতে পারি। এই ফলাফল প্রকাশে আমাদের মতামত নেয়া হয়নি, অর্থাৎ নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে আমাদের যে ‘সম্মতি স্বাক্ষর’ দরকার আছে, তাও ভুলে গেছেন নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত চেয়ারম্যানসহ কমিটির সদস্যরা। কতটা বেসামাল হলে নির্বচনী কমিটি এমন ‘জঘন্য’ ফলাফল প্রকাশ করতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়।


বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এহেন ন্যক্কারজনক ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত এবং বিস্মিত। এ পরিস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং ছবি যুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে পুনরায় ভোট গ্রহণের আবেদন করছি।


বিবৃতিদাতারা হলেন-
১. জাহাঙ্গীর খান বাবু (সভাপতি প্রার্থী কুদ্দুস আফ্রাদের এজেন্ট)
২. মো. মোশররফ হোসেন (সভাপতি ও সা. সম্পাদক প্রার্থী জাফর-কামাল প্যানেলের এজেন্ট)
৩. মোশাররফ হোসেন বাবলু (সভাপতি প্রার্থী আতাউর রহমানের এজেন্ট)
৪. মো. আনোয়ার হোসেন (সা. সম্পাদক প্রার্থী সেবীকা রানীর এজেন্ট)
৫. গাউসুল আজম বিপু (সা. সম্পাদক প্রার্থী অমিয় ঘটক পুলকের এজেন্ট)
৬. কামরুল ইসলাম (সা. সম্পাদক প্রার্থী গাজী জহিরুল ইসলামের এজেন্ট)
৭. রওশন ঝুনু (সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী)
৮. মো. শাহাযাদা (সা. সম্পাদক প্রার্থী এম এ কুদ্দুসের এজেন্ট)


বিবার্তা/বিজ্ঞপ্তি/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com