শিরোনাম
বিবার্তা স্বর্ণপদক পাচ্ছেন ওমর ফারুক চৌধুরী
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০১৮, ২১:০৯
বিবার্তা স্বর্ণপদক পাচ্ছেন ওমর ফারুক চৌধুরী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রাজনীতি, ব্যবসা, শিল্প-সাহিত্য যাই বলা হোক, সৃজনশীল মানুষ যে ক্ষেত্রেই বিচরণ করেন সেখানেই রাখেন স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের ছাপ। মেধা ও প্রতিভার স্ফূরণ ঘটিয়ে তারা আলাদা একটা অবস্থান তৈরি করে নেন।


প্রথাগত রাজনৈতিক জগতে বিচরণ করেও তেমনই এক স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। তারুণ্যের প্রতীক এই রাজনীতিককে সম্মাননা জানাবে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিবার্তা২৪ডটনেট।


আগামী ৬ মার্চ বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে এই গুণীজনকে বিবার্তা স্বর্ণপদক দেয়া হবে। এবারো বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মোটি আটটি ক্যাটাগরিতে আটজনকে সম্মাননা দেবে বিবার্তা।


২০১২ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সর্বশেষ ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেসে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। এর আগে ২০০৯ সালে তৎকালীন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হলে মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকেই দেশের যুব সমাজকে সঠিক দিক দিক নির্দেশনা দিতে কাজ করে যাচ্ছেন।


ওমর ফারুক চৌধুরীর জন্ম ১৯৫৩ সালের ১৯ আগস্ট, কর্ণফুলী ও হালদা নদী বিধৌত চট্টগামের রাউজান এলাকায়। সেখান থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়েছেন। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হয়েও ছাত্রজীবনেই জড়ান রাজনীতিতে। রাউজান স্কুল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পদক হিসেবে প্রথম দলীয় মর্যাদা পান তিনি।


পরবর্তীতে রাউজান কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যাক্ষ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য, যুব লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং যুব লীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।


ব্যক্তি জীবনে ওমর ফারুক চৌধুরী একজন সফল ব্যবসায়ী। তবে সফলতাটা একদিনে আসেনি। নানা চড়াই-উৎরাই ও ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে ব্যবসায়ে তিনি সফলতা পেয়েছেন। কয়েক বারের ব্যবসায়িক ধস তার মনোবল টলাতে পারেনি। পরবর্তীতে তিনি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ধস কাটিয়ে উঠে সফলতা পান। একজন বাবা হিসেবেও সফলতার দাবিদার। বর্তমানে তিনি তিন সন্তানের জনক। তারা প্রত্যেকেই উচ্চশিক্ষিত এবং নিজ গুণে গুণান্বিত।



বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগের কারণে আলোচনায় আসেন ওমর ফারুক চৌধুরী। যুবলীগের সাংগঠনিক দায়িত্ব গ্রহণের পর সংগঠনের আদর্শিক চেতনা ও এর বিকাশের ব্যাপারে উদ্যোগী হন তিনি। সে কারণে সবার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তা, রাজনৈতিক কর্ম, রাজনৈতিক দর্শন বিশ্লেষণের উদ্যোগ নেন। সেই লক্ষ্যে তার নেতৃত্বে এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, গণমাধ্যমকর্মী এবং গবেষকের সমন্বয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে দীর্ঘ এক বছর গবেষণা করেন। সেই গবেষণার ফসল হচ্ছে ‘রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিশ্বশান্তির দর্শন জনগণের ক্ষমতায়ন’। এই দর্শন জনগণের কাছে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে তার অবদান গুরুত্বপূর্ণ। তার নির্দেশনায় দেশে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনকে জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস পালন হিসেবে শুরু হয়েছে।


দেশের তরুণ ও যুবকদের পাঠে আগ্রহী করতে এবং শিক্ষিত-সচেতন রাজনীতিক হিসেবে গড়ে তুলতে মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী গড়ে তুলেছেন একটি ব্যতিক্রমধর্মী গ্রন্থাগার ‘যুব জাগরণ’। রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত সুসজ্জিত যুব জাগরণ কেন্দ্রে রয়েছে রাজনৈতিক বইয়ের ব্যাপক সমাহার। প্রদর্শনী শাখা, বিপণনকেন্দ্র ও লাইব্রেরি - এই তিন স্তরে বিভক্ত প্রতিষ্ঠানটিত। একইসাথে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে তিনি গড়ে তুলেছেন যুব গবেষণা কেন্দ্র।


যুবলীগের নেতাকর্মীদের কাছে তিনি নেতা তৈরির কারিগর হিসেবে সুপরিচিত। একজন শিক্ষকের মতই তিনি কর্মীদের মঞ্চে বক্তৃতা শিখিয়ে থাকেন। তার নির্দেশনায় যুবলীগ যে কোনো কর্মসূচিতে তাদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের মঞ্চে এসে বক্তৃতার সুযোগ করে দেয়।


সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে সম্প্রতি তরুণদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। জাতীয় সংসদে জনপ্রশাসনমন্ত্রীর ‘সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩০ বছরের বেশি করা যাবে না’ এমন দাবির বিপরীতে তিনি বলেছিলেন আপনাকে বলতে হবে, কেন এ দেশের যুবসমাজ দেশের সম্পদ না হয়ে বোঝা হয়ে যাচ্ছে? আমরা জানতে চাই।



ওমর ফারুক বলেছিলেন, কল্পনা শক্তি ভালো; কিন্তু সে কল্পনার পথ অনেক সময় মানুষকে ভুল স্থানে পৌঁছে দেয়। এদেশে ২৭ থেকে ২৮ বছরের আগে শিক্ষা জীবন শেষ হয় না। এরপর চাকরিতে আবেদন করতে করতেই সময় চলে যায়, তাদের চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ কই? এ দেশের যুবসমাজ চাকরি চায় না, মেধা প্রমাণের সুযোগ চায়। তার ওই বক্তব্য শিক্ষার্থীদের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিলো।


বিবার্তা/ওরিন/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com