যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, বিশেষভাবে শ্রদ্ধা জানাই গণমাধ্যম-বান্ধব ব্যক্তিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি, যিনি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে মুক্তবিহঙ্গের মতো কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই সরকার গণমাধ্যমকর্মীদের জন্যে ঘোষণা করেছেন নবম ওয়েজ বোর্ড।

সোমবার রাতে বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদ ষষ্ঠ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে আমি কিছু মৌলিক প্রশ্ন করতে চাই। প্রায়ই আমি চারপাশে শুনি নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার কথা। নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা কি? বাংলাদেশের একজন নেতা বিশ্বের সবচেয়ে সৎ সরকার প্রধানদের একজন। অন্য একজন রাজনৈতিক নেতা বিশ্বে সেরা দুর্নীতিবাজদের একজন। নিরপেক্ষতা মানে কি, দুজনকে একই পাল্লায় মাপা? একটি দল গঠনতন্ত্রে দুর্নীতিবাজদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। অন্য একটি দল তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে দুর্নীতিবাজদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। নিরপেক্ষতা মানে কি, দুটি দলকে একই ভাবে মূল্যায়ন করা?

ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, এক সময় এদেশে ভয়াবহ লোড শেডিং হতো। বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে খাম্বা দুর্নীতি হয়েছিল। নিরপেক্ষতা মানে কি? সেই সব অতীত ঘটনা চেপে রাখা? একসময় শিক্ষার্থীরা জুনেও পাঠ্যপুস্তক পেতেন না। এখন জানুয়ারির এক তারিখে বই উৎসব হয়। নিরপেক্ষতা মানে কি ঐ দুই সময়কালের তুলনা না করা? আমি মনে করি নিরপেক্ষতা মানে সত্যের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা মানে ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য পাঠকের কাছে উম্মোচন করা। এটা করা অত্যন্ত জরুরী। আমাদের বর্তমানের জন্য, আমাদের উন্নয়নের অভিযাত্রাকে অব্যাহত রাখার জন্য। আমাদের ভবিষ্যত সুরক্ষার জন্য। আজ আমার সংবাদ অনুষ্ঠানে আমার বিনীত অনুরোধ নিরপেক্ষ সংবাদ মানে যেন ভালো খারাপ এক মানদণ্ডে বিচার না হয়। সংবাদ যেন হয় জন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। মানুষকে আলোকিত করার জন্য।

ওমর ফারুক বলেন, আপনারা জানেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ বিশ্ব শান্তির দর্শন ২০১২ সালে জাতিসংঘে সর্ব সম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। এই দর্শনের আলোকেই দেশ পরিচালনা করছেন তিনি। ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ বাস্তবায়নে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক তথ্য-উপাত্ত জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। এটা জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসুন আমরা তথ্যের অবাধ প্রবাহে, ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য উম্মোচন করি।

আমার সংবাদের সম্পাদক ও প্রকাশক হাশেম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বিশেষ অতিথি তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, তথ্য সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট প্রমুখ।

বিবার্তা/বিজ্ঞপ্তি/জহির