বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীই বৃষ্টি খাতুন
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৩
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীই বৃষ্টি খাতুন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তরুণ সাংবাদিক বৃষ্টির মৃত্যু হয়েছে। তার পরিচয় মিলেছে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে। তার প্রকৃত নাম বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ায়। তার পিতার নাম শাবলুল আলম সবুজ।


সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের স্বজন ও বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের সদস্য আব্দুল মজিদ।


বৃষ্টির বাবা শাবলুল আলম সবুজ এবং তার মা বিউটি বেগমও ইসলাম ধর্মের অনুসারী। তবে সে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে ফেসবুক আইডি ব্যবহার করতো বলে জানিয়েছে তার পরিবারের লোকজন।


বৃষ্টির স্বজনরা জানান, বৃষ্টি কবে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছে জানি না। সে মুসলিম পরিবারের মেয়ে। সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় পত্রে তার নাম বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টির মরদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন করার কথাও জানিয়েছেন তারা।


বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের সদস্য আব্দুল মজিদ বলেন, অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর আসল নাম বৃষ্টি। সে মুসলিম। বৃষ্টি ইডেন কলেজে পড়ালেখা করতো। সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি।


নিহত তরুণ সাংবাদিক বৃষ্টির বাবা শাবলুল আলম সবুজ রাজধানী ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। দরিদ্র পিতার তিনটিই কন্যা সন্তান। বৃষ্টি খাতুন সবার বড়। মেজো মেয়ে শারমিন সুলতানা ঝর্না রাজবাড়ী সরকারি কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ছোট মেয়ে বর্ষা দশম শ্রেণিতে পড়ে।


বৃষ্টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পড়েছেন গ্রামের বিদ্যালয়ে। উচ্চ মাধ্যমিক পড়েছেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে। বর্তমানে সে ইডেন কলেজে দর্শন বিষয় নিয়ে অধ্যয়নরত ছিল।


নিহতের ছোট বোন শারমিনা সুলতানা ঝর্না বলেন, দুই মাস আগে বৃষ্টি গ্রামের বাড়ি এসেছিল। তবে তার বোন হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছিল এমন প্রশ্নে ঝর্না বলেন, এটা হতেই পারে না। আমার বোন মনে প্রাণে একজন মুসলিম। সে কখনই নিজ ধর্ম ত্যাগ করে নি। তবে সম্প্রতি তার বোন অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে ফেসবুক আইডি খুলেছিলেন এবং ওই নামেই সাংবাদিকতা করতেন বলে জানান ঝর্না।


বেতবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই বিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পাশ করে বৃষ্টি। বৃষ্টি স্বাধীনচেতা ছিল। ছোট বেলা থেকে সে সরকারি বড় চাকরির স্বপ্ন দেখত। বৃষ্টির ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়টি তিনিও অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, মাস দুয়েক আগে ওর সাথে রাজধানীর ফার্মগেটে দেখা ও কথা হয়। তার দাবি ধর্মান্তরের যে কথাটি বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।


আজ শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় বৃষ্টির মরদেহ গ্রামে আসার কথা রয়েছে। সেখানেই তার দাফন হবে বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন।


বিবার্তা/শরীফুল/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com