শিরোনাম
বাংলাদেশে ২৪টির বেশি চ্যানেল ক্লিনফিড দেয় : তথ্যমন্ত্রী
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২১, ১৮:৪৬
বাংলাদেশে ২৪টির বেশি চ্যানেল ক্লিনফিড দেয় : তথ্যমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশে ২৪টির বেশি বিদেশি চ্যানেল ক্লিনফিড বা বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার সেবা দেয় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।


সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।


এসময় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও ডিবিসি ২৪ চ্যানেলের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন, এটকো সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু, সময় টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়ের, দীপ্ত টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহিদুল হাসান, দেশ টেলিভিশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান ও ডিবিসি ২৪ চ্যানেলের প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি জানতে পেরেছি, বিদেশি যেসব চ্যানেল ক্লিনফিড দিচ্ছে, গতকাল ১৭টি চ্যানেলের কথা বলেছিলাম। আসলে ১৭টি নয়, ২৪টির বেশি চ্যানেল বাংলাদেশে ক্লিনফিড দেয়। সুতরাং এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।


আকাশ ডিটিএইচ এসব চ্যানেল সম্প্রচার করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্যদেরও এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। এ বিষয়ে কোনো চিঠির প্রয়োজন হলে আমরা তা ক্যাবল অপারেটরদের কাছে পাঠাব। যদি এরপরও কেউ এগুলো না চালায় তাহলে লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ হবে। সুতরাং শর্তভঙ্গের কাজ কেউ করবেন না।


বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চ্যানেল বন্ধ করতে বলা হয়নি বলেও জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।


মন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু বলেছিলাম, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, যা পৃথিবীর সব দেশেই আছে। সেটি হচ্ছে বিদেশি চ্যানেলকে অবশ্যই বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার করতে হবে এবং সেটি ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, আমেরিকা সব জায়গায়ই মানা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে মানা হচ্ছিল না।


আইনটি মানার জন্য দুই বছর ধরে তাগাদা দেয়া হচ্ছিল বলেও জানান সরকারের এ মন্ত্রী। তিনি বলেন, সবপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। এক মাসের বেশি সময় আগে আমরা বৈঠক করে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ছিল, ১ অক্টোবর থেকে আমরা আইনটি কার্যকর করব।


তিনি আরো বলেন, একটি মহল ক্লিনফিড নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আমি আশা করব, তারা বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকবেন।


সরকার আইন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী আরো বলেন, জনগণের স্বার্থে, মিডিয়া ইন্ড্রাস্ট্রির স্বার্থে, শিল্পী-কলাকৌশলী, সাংবাদিক সবার স্বার্থে এ আইন কার্যকর করেছি। সুতরাং সবার স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে কেউ অবস্থান নেবে, সেটি কাম্য নয়।


বৈঠকে এটকোর সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ক্লিনফিডের বিষয়টি আমাদের প্রাণের দাবি। ২০০৬ সালে বাস্তবায়নের জন্য আইন করা হলেও সেটি বাস্তবায়ন করা যায়নি। সবাইকে চিন্তা করতে হবে দেশের জন্য ভালো কোনটি। সারা পৃথিবীতে ক্লিনফিডের বিষয়টি রয়েছে। এর ফলে প্রচুর অর্থ দেশ থেকে চলে গেছে। এখন শুধু টেলিভিশন মালিকরা লাভবান হবে না, পুরো দেশ লাভবান হবে।


এর আগে ডিবিসি ২৪ চ্যানেলের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ক্যাবল অপারেটরদের ওপর নির্দেশ ছিলো যেসব চ্যানেলের ক্লিনফিড আছে, সেগুলো চলবে। কিন্তু সব চ্যানেল বন্ধ করে দিয়ে তারা বিদেশের কাছে ভুল বার্তা দিয়েছে।


এটকোর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, টিআরপির ক্ষেত্রে নৈরাজ্য চলছিলো। কোনো অনুমতি ছাড়া একটি প্রতিষ্ঠান টিআরপি করছিলো। তারা কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতো। এটি বন্ধ করার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের জন্যও তথ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।


উল্লেখ্য, ক্লিনফিড বাস্তবায়নের জন্য তথ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান অ্যাটকোর নেতারা।


বিবার্তা/শাহিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com