শিরোনাম
হত্যার হুমকি দেয়ায় সাংবাদিকদের ৭ দিনের আলটিমেটাম
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:১১
হত্যার হুমকি দেয়ায় সাংবাদিকদের ৭ দিনের আলটিমেটাম
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও রিপোর্টার কাজী ফরিদকে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকিদাতাদের আইনের আওতায় আনতে সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।


শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কাওরান বাজারের সার্ক ফোয়ারার মোড়ে সাধারণ সাংবাদিকবৃন্দের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা এ আলটিমেটাম দেন।


প্রসঙ্গত, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হারুন অর রশিদের দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে বৈশাখী টেলিভিশন। সংবাদ প্রকাশের পর কাফনের কাপড় পাঠিয়ে জীবননাশের হুমকি দেয়া হয় বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও রিপোর্টার কাজী ফরিদকে। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে সাংবাদিক সমাজ। তারই ধারাবাহিকতায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়।


সাংবাদিক নেতারা বলেন, হুমকিদাতাদের সাত দিনের মধ্যে আইনের আওতায় আনতে হবে। যদি সাত দিনের মধ্যে আইনের আওতায় না নিয়ে আসা হয়, তাহলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করাসহ কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।


মানববন্ধনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, আজকে আমাদের সহকর্মী সাইফুল ইসলাম ও কাজী ফরিদের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এতে উদ্বেগ-উদকণ্ঠা যেমন তাদের পরিবারে ছড়িয়ে পড়েছে, তেমনি সমাজ ও রাষ্ট্রেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। আমরা এই মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে সাংবাদিকতা করতে আসিনি। এ ধরনের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসলে একধরনের মনস্তাত্ত্বিক চাপ হয়তো তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু স্বাধীন সংবাদপত্র এবং সংবাদ বিকাশের পথ রুদ্ধ করা কঠিন।


তিনি আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রাদায়িক, অপশক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনে সাংবাদিক সমাজ বরাবরই লড়াকু ভূমিকা পালন করেছে। কোনো ধরনের রক্তচক্ষু আমাদের অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।


তপু বলেন, এখনো আমরা দেখি সেই ঘোড়াঘাট থেকে শুরু করে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত দুর্বৃত্ত চক্র সাংবাদিকদের কণ্ঠ বন্ধ করতে চায়। রাজধানীতেও তারা তাদের অভয়ারণ্য তৈরি করেছে। গাজীপুর থেকে চিঠির মাধ্যমে মৃত্যু পরোয়ানার চিঠি পাঠিয়ে দেয়া হয়, আমরা এর প্রতি ধিক্কার জানাই।


মানববন্ধনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ বলেন, রাজাকার, খুনি-সন্ত্রাসীদের তালিকা হয়। এখন গণমাধ্যমের শত্রুদের তালিকা হওয়া দরকার। মানুষ জানুক কারা স্বাধীন গণমাধ্যমকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, কারা অনিয়ম-দুর্নীতির খবর বন্ধ করতে চায়। তাদের নামগুলো জানুক।


দীপ আজাদ বলেন, যারা বৈশাখী টিভির সাইফুল আলম ও কাজী ফরিদকে কাফনের কাপড় পাঠিয়েছে, তাদের বিষয়ে যদি দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে আমরা আবার কর্মসূচি দেব। সে কর্মসূচি এমন হতে পারে যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করব, আইজি ও সংশ্লিষ্টদের কাছে যাব। আমরা বিচারের জন্য এখানেই কিন্তু থেমে থাকব না।


ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল বলেন, এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সাংবাদিকদের দমিয়ে রাখা যাবে না। সাংবাদিকরা সব সময় সত্য ও ন্যায়ের পথে আছে। মিথ্যার সঙ্গে কখনো আপস করবে না।


এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আকতার হোসেন, সাবেক নির্বাহী পরিষদ সদস্য গোলাম মুজতবা ধ্রুব, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল ইসলাম সোহেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুর রহমান, একুশে টেলিভিশনের চিফ রিপোর্টার দীপু সারওয়ার, ৭১ টেলিভিশনের রিপোর্টার নাদিয়া শারমিন প্রমুখ।


বিবার্তা/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com