শিরোনাম
ভাগ্য বিধায়ক এবং আমার প্রশ্ন
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:৫৮
ভাগ্য বিধায়ক এবং আমার প্রশ্ন
ভূঁইয়া মো. ফয়েজউল্লাহ মানিক
প্রিন্ট অ-অ+

ভাগ্য বিধায়ক এবং আমার প্রশ্ন
ভূঁইয়া মো. ফয়েজউল্লাহ মানিক


আর কত পাওনা তোমার?
আর কত হলে তোমার সন্তোষ দেখতে পাব?


কৈশোর পার হল দুরন্তপনা আর স্বপ্ন দেখে,
শুরুতে বুঝতেই পারিনি, প্রতিশোধ নিচ্ছ...!!
স্বাভাবিক বলেই মেনে চলেছি এতদিন,
উপলব্দ সদ্য ভুলের অনুমিত প্রায়শ্চিত্ত ভেবেছি,
ভুল শুধরানোর প্রাণান্তকর প্রয়াসের কমতি রাখিনি,
কিন্তু, কি হল তাতে....??
একের পর এক হাতে দিয়েছ অনাকাঙ্ক্ষিত সব প্রাপ্তি.....!!
এখন আর সহজ নয় আগের মতন ভাবা,
কতো বোকাই না ছিলাম আমি......!!
কর্মফল ভেবে আত্মপ্রবোধ নিয়েছি,
প্রতিশোধ ভাবতেই পারিনি!!


একের পর এক স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটিয়েছ,
আর বারবার থমকে দিতে চেয়েছ রক্ত-ঘামে নির্মিত পথকে,
কিন্তু প্রতিবারই তোমার প্রত্যাশায় ছেদ পড়েছে,
কারণ আমি ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম দ্বিগুন প্রত্যয়ে,
কিন্তু তুমিও ছাড়ার পাত্র নও....
প্রায় সাথে সাথেই মুখ থুবড়ে পড়ার ব্যবস্থা করেছ,
আর হয়ত ক্রুড় হাসিসমেত দেখেছ এই অসহায়ত্বকে,
তোমার নিকট হয়ত উপভোগ্য ছিল নিশব্দ বোবা কান্নাগুলো,
শুধু তুমি একা নও.....!
এই বেসামাল অনুভূতির স্বাক্ষীও রেখেছ স্থান, কাল, পাত্রভেদে;
এই নির্দয় মঞ্চায়নের দক্ষ পরিচালক যে স্বয়ং তুমি,
এটা নিশ্চিত হয়ে গেছে......!!


কিন্তু আমার অপরাধ কি ছিল??
স্বজ্ঞানে কারো উপর প্রত্যক্ষ অবিচার করেছি কি?
নাকি কোনো অপ্রাসঙ্গিক দুরভিসন্ধি দেখিয়েছি কখনো?
কাউকে ভীষণ ঠকালে তোমার লাগাটা স্বাভাবিক,
কিন্তু তুমিই বল, এমনটি হয়েছি কি কখনো?
তবে তোমার এ কেমন প্রতিশোধ.....?
জবাব কিন্তু তোমাকেই দিতে হবে,
কারন তুমিইতো সর্বেসর্বা, লোকে বলে।
এমন নির্দয় বারংবার আমার বেলায় কেন তুমি?
আমি কি তোমার খুব বেশি অবাধ্য,
নাকি আমার নাছোড়বান্দা আত্মচিন্তা?


সহ্যের সীমা হারিয়েছে বহুদিন আগেই,
টিকা থাকার সাহস যুগিয়েছে কিন্তু ঐ নাছোড়বান্দা সত্ত্বাই,
হাল কিন্তু ছাড়িনি, ছাড়ার কোনো চিন্তাও নেই।
তাহলে..........!
আরও ভয়ংকর কিছু তৈরি করা আছে কি তোমার?
না থাকলে দ্রুত করে নেও,
আমি প্রস্তুতই আছি, ক্ষান্ত দেবার মতো দুর্বল আমি নই।
অপেক্ষা করছি, তোমার আসন্ন ব্রক্ষ্মাস্রের অপেক্ষা....
ধরেই নিয়েছি,বিশ্বভ্রম্মান্ডে আমিই যে প্রতিপক্ষ তোমার,
যেহেতু তুমি মহাপরাক্রমশালী আর আমি ক্ষুদ্র, নস্যি তোমার কাছে,
দেখি জিত কার হয়.....!!
তোমার শপথে আস্থাবান ক্ষুদ্র প্রয়াসকারী অদম্যের,
নাকি গতানুগতিক ধারায় সুপ্রন্ন ভাগ্যবানেরদের,
যাদের তুমিই নিজ হাতেই দিয়ে যাচ্ছ.....!!


আমি আবারো স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, রাস্তা আমি ছাড়ছি না,
শেষ দেখব বলে প্রত্যয়ী হয়েছিলাম,
তাই চূড়ান্ত মঞ্চায়ন আমি দেখবই এবং
অবশ্যই সেটার মঞ্চায়ন তোমার হাতেই হবে।
আমাকে আবার বখে যাওয়া অবিশ্বাসী ভেবো না,
আমি শুধু আমার কাঙ্ক্ষিত ও প্রাপ্য প্রাপ্তি চাই।
কারন আমি যে শুধু পারিশ্রমিক চাই, করুণা নয়!!
একেবারে শেষের আর্তি, পরীক্ষা যেন প্রতিশোধের প্রতিনিধিত্ব না করে।।


জানি,তুমি হয়ত ক্রোধান্বিত হয়ে পড়েছ,
দিকভ্রান্ত এই অসহায়ের হিজিবিজি উপস্থাপনায়;
তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
কারন আমি বিশ্বাস হারানোকে শুধু যে পাপই ভাবি
তা কিন্তু নয়....!!
এটা আমার কাছে কাপুরুষতাও ঠেকে,
আর যাই হোক, আমি কাপুরুষ হতে প্রস্তুত নই,
প্রয়োজনে ভেঙ্গে যাব,কিন্তু মচকাবো না!
চ্যালেঞ্জ নিতে চাইলে আমি প্রস্তুত,
মরুর পথের যাত্রী হয়েই যে এতদূর এসেছি।


তোমার অসহযোগিতায় আমার সাময়িক হারানোর লিস্টটা বেশ সমৃদ্ধ,
যেখানেই নিউরনকে স্থির করে ভালোবাসার সর্বোচ্চ দিয়েছি,
সেখান থেকেই শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে,
হয়ত তাৎক্ষণিক দুঃখবোধ আমাকে আলোড়িত করেছে,
কিন্তু নিখাদ চাওয়ায় সামান্যতম পরিবর্তনও আসে নি,
প্রত্যয় ও বিশ্বাস সবসময়ই সাহস যুগিয়েছে লক্ষ্যের নেশায় প্রত্যয়ী পথচলায়।
তাই তোমাকে বলছি-
তোমার অমূলক প্রতিশোধ পরায়ণতা কখনোই আমার থমকে যাবার কারন হবে না।
গভীর শ্রদ্ধা তোমার প্রতি,
তোমার সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতাই আমার অনুপ্রেরণার এক অনন্য উৎস।


শুরুতেই প্রশ্ন ছিল, 'আর কত হলে তোমার সন্তোষ আসবে?'
শেষ করছি, 'তোমার এই সন্তোষ বিষয়টি আসুক বা না আসুক,আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছাবোই।'
স্বীয় সত্ত্বায় আমি বজ্রকঠিনভাবে যেমন অবিচল, ঠিক তেমনি-
ভালোবাসা, প্রত্যয়ে আর উপস্থাপনায়ও একরোখা,
আর গুটিকয়েক মানুষের অফুরন্ত শাসনমাখা ভালোবাসাতো রয়েছেই।।
ক্ষমতা যেহেতু তোমার (লোকে বলে),
ক্রান্তিলগ্নে পরমেশ্বর, তোমার প্রকৃত আলৌকিকতাও উপলব্ধ হবে।।


বিবার্তা/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com