শিরোনাম
উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসবের নিবন্ধন চলছে
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৫:৩৪
উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসবের নিবন্ধন চলছে
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে পাঁচ দিনব্যাপী ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসব- ২০১৭’। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে নিবন্ধন শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রবেশের জন্য বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে (www.bengalclassicalmusicfest.com) গিয়ে বিনামূল্যে নিবন্ধন করা যাচ্ছে।


নিবন্ধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট নম্বর, মোবাইল নম্বর ও ইমেইল আইডি লাগবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ধানমন্ডির ৭/১ সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যাপীঠে গিয়েও নিবন্ধন করা যাবে। দুই প্রক্রিয়ায়ই দর্শক-শ্রোতারা বিনামূল্যে তাদের পাস সংগ্রহ করতে পারবেন।


তবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া কতদিন চলবে সে বিস্তারিত জানানো হয়নি।


বেঙ্গল ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এ বছর উৎসবটি ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে হওয়ায় বরাবরের মতো দর্শক সংকুলান হবে না। তাই নির্ধারিত সংখ্যার বাইরে গিয়ে নিবন্ধনের সুযোগ থাকছে না। এজন্য উৎসবে অংশ নিতে হলে নিবন্ধন প্রক্রিয়া আগেভাগে শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।


এদিকে উৎসব প্রাঙ্গণে ঢুকতে প্রতিদিন এই পাস দেখাতে হবে। পাস ছাড়াও শনাক্তকরণের জন্য ফটো আইডি সঙ্গে রাখার জন্য অনুরোধ করেছেন আয়োজকরা। তবে উৎসবস্থলে নিবন্ধন করার কোনো সুযোগ থাকছে না।


প্রতিবারের মতো যথারীতি রাত ১২টায় উৎসবে প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে ভেন্যুর ধারণক্ষমতা অতিক্রম করলে বা অন্য যেকোনো বিবেচনায় কর্তৃপক্ষ পূর্বঘোষণা ছাড়াই রাত ১২টার আগেই গেট বন্ধ করতে পারে।


উৎসবের উদ্বোধনীতে যা থাকবে


চলতি বছর থেকে উৎসবে যুক্ত হচ্ছে ওয়েস্টার্ন ক্ল্যাসিক্যাল। উৎসবের প্রথম দিন ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাতটায় কাজাখস্তানের ৫৮ সদস্যের আস্তানা সিম্ফনি ফিলহারমনিক অর্কেস্ট্রার সঙ্গে যুগল পরিবেশনায় অংশ নেবেন গ্র্যামি মনোনীত প্রখ্যাত বেহালাশিল্পী পদ্মভূষণ এল সুব্রহ্মণ্যন। এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসব উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, আবাহনী লিমিটেডের সভাপতি সালমান এফ রহমান ও স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।


এ বছর যাদের পরিবেশনা


এবারের উৎসবের মধ্যমণি হিসেবে থাকবেন পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা, পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, ওস্তাদ রাশিদ খান, পণ্ডিত উলহাস কশলকার, ওস্তাদ শাহিদ পারভেজ খান প্রমুখ। তবলায় সংগত করবেন পণ্ডিত অভিজিৎ ব্যানার্জি, পণ্ডিত শুভংকর ব্যানার্জি, পণ্ডিত যোগেশ সামসি প্রমুখ।


এছাড়া সঙ্গীত উৎসবে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন মেওয়াতি ঘরানার প্রবাদপ্রতিম শিল্পী পদ্মবিভূষণ পণ্ডিত যশরাজ (খেয়াল), ১৯৯৩ সালে গ্র্যামিজয়ী পণ্ডিত বিশ্বমোহন ভট্ট (মোহন বীণা), গ্র্যামি মনোনীত বিদুষী কালা রামনাথ (বেহালা), দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম গ্র্যামিজয়ী পদ্মভূষণ বিদ্বান ভিক্কুবিনায়করাম (ঘাটম), বিশিষ্ট ওডিশি নৃত্যশিল্পী সুজাতা মহাপাত্র, পণ্ডিত বুধাদিত্য মুখার্জি (সেতার), পণ্ডিত কৈবল্যকুমার গুরভ (খেয়াল), সাসকিয়া রাও (চেলো) ও কত্থক নৃত্যদল অদিতি মঙ্গলদাস ডান্স কোম্পানি প্রমুখ।


উৎসবে অংশ নেবেন বিদুষী পদ্মা তলওয়ালকার (খেয়াল), পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার (সরোদ), মাইসোর মঞ্জুনাথ (বেহালা), পণ্ডিত রনু মজুমদার (বাঁশি), পণ্ডিত কুশল দাস (সেতার), পণ্ডিত দেবজ্যোতি বোস (সরোদ), রাকেশ চৌরাসিয়া (বাঁশি), পূর্বায়ণ চট্টোপাধ্যায় (সেতার), রাজরূপা চৌধুরী (সরোদ), আবীর হোসেন (সরোদ) প্রমুখ।


বাংলাদেশের যে শিল্পীরা নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করবেন


এ উৎসবে নৃত্য পরিবেশন করবেন বাংলাদেশের পাঁচজন প্রতিভাবান নবীন নৃত্যশিল্পী। তারা হলেন সুইটি দাশ, অমিত চৌধুরী, স্নাতা শাহরিন, সুদেষ্ণা শ্যামাপ্রভা ও মেহরাজ হক। সঙ্গীত পরিবেশন করবেন সরকারি সংগীত মহাবিদ্যালয় ও বেঙ্গল পরম্পরা সঙ্গীতালয়ের শিক্ষার্থীরা। থাকবে দলীয় সেতার, তবলা ও সরোদবাদন; সুপ্রিয়া দাসের খেয়াল; অভিজিৎ কুণ্ডুর ধ্রুপদ। এছাড়া সেতারে যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করবেন স্বনামধন্য শিল্পী ফিরোজ খান আর বাঁশিতে থাকবেন গাজী আবদুল হাকিম।


উৎসবে ব্যাগ বহন করা যাবে না


নিরাপত্তার স্বার্থে মাঠে কোনো ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। প্রবেশের সময় পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা তল্লাশি করা হবে। তাই শনাক্তকরণের জন্য যে কোনো ধরনের পরিচয়পত্র রাখার জন্যও অনুরোধ করেছেন তারা। এছাড়া কোনো ক্যামেরা, খাবার, পানীয় বা ধূমপানের সরঞ্জাম নিয়ে উৎসবস্থলে প্রবেশ করা যাবে না।


মাঠে একাধিকবার প্রবেশ ও প্রস্থান করা যাবে না। আর সঙ্গে আনা যাবে না ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের। আবাহনী মাঠে গাড়ি পার্কিংয়ের কোনো ব্যবস্থা থাকবে না। আবাসিক এলাকায় রাতব্যাপী সঙ্গীতানুষ্ঠানের শব্দ-সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা সংস্থা ব্লুজ কমিউনিকেশনসের পক্ষ থেকে আবাহনী মাঠে বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে শব্দ-সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা হবে।


উৎসব উৎসর্গ


মরণোত্তর নয়, এ বছর জীবিত গুণীজনকে উৎসব উৎসর্গ করে সম্মান জানানোর প্রথা ভাঙল বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। ষষ্ঠ এ আসরটি উৎসর্গ করা হচ্ছে বাংলাদেশের শীর্ষ গবেষক, চিন্তাবিদ ও সংস্কৃতি তাত্ত্বিক ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে।


বিবার্তা/শারমিন


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com