শিরোনাম
‘সাংস্কৃতিক বিকাশে আসরটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে’
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:৩২
‘সাংস্কৃতিক বিকাশে আসরটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে’
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক লোকসংগীত। এটি একটি জীবন দর্শন। এই সংগীতের অপূর্ব সুর এবং কথায় আত্মা হয় পরিশুদ্ধ। হৃদয়ের গহীন স্পর্শ করা লোকসংগীত শুধুমাত্র বাংলার মানুষের জীবনধারা নয় বরং বিভিন্ন ধর্মের প্রার্থনায়, বিভিন্ন মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনযাপনে জড়িয়ে আছে দারুণভাবে।


গতকাল ইট কাঠের এই শহরে সন্ধ্যা নামতেই বইতে শুরু করেছিল মৃদু বাতাস। ঠিক তখন ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে বসে ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসবের তৃতীয় আসরের প্রথম দিন। গত দুই আসরের মতো এবারো উৎসবের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।


অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক ফোক ফেস্টিভ্যাল তৃতীয়বারের মতো উদ্বোধন করছি। এটা আমার জন্য সত্যি আনন্দের একটি ব্যাপার। এই আসরটি বিশেষ কিছু আমার জন্য।


বাংলার মানুষের সাংস্কৃতিক রুচির বিকাশে লোকগানের আন্তর্জাতিক আসরটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করে তিনি বলেন, রুচি নিয়ে মানুষ জন্মায় না। এটা চর্চা করে অর্জিত হয়। আমরা সেটি পেরেছি যার প্রমাণ এই উৎসব। আসরটি আমাদের রুচির বিকাশের পাশাপাশি একইসঙ্গে বিনোদনই দিচ্ছে।


তিনি আরো বলেন, এটাই তো আমাদের চরিত্র। বাংলার লোকগান আমাদের হাড়েহাড়ে মিশে আছে। আমাদের মানুষরা উঠতে বসতে গান গায়, ধান ভানতে ভানতে গান গায়। ভাটিয়ালি, জারি সারি কত রকমের লোকগান আমাদের দেশে! লোকসঙ্গীত প্রতিনিয়ত আমাদের সমৃদ্ধ করে। এই উৎসব আমাদেরকেই মানায়।


আয়োজকদের ধন্যবাদ দিয়ে তিনি আরও বলেন, আমি আয়োজকদের আমার সরকার ও ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই এই আয়োজনের জন্য। আমাদের তারুণ্য লোক গানকে জানুক, চিনুক ও চর্চা করুক এই প্রত্যাশা করি।


অতিথি হিসেবে মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তরের মেয়র সাঈদ খোকন, লোকগানের শিল্পী ও সাধক ইন্দ্রমোহন রাজবংশী।


নিজেদের বক্তব্য দিতে গিয়ে মেয়র খোকন বলেন, অর্থনীতি চাকা যখন ঘুরছে, তখন সংস্কৃতির বিকাশ যতটুকু হওয়ার দরকার ছিল, ততটুকু কিন্তু হয়নি। সংস্কৃতির বিকাশে এই উৎসবটি খুব তাৎপর্যপূর্ণ।


পরে তিনি সংস্কৃতির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে সংস্কৃতি উদ্যোক্তাদের গুরুত্বারোপ করতে বলেন।


ইন্দ্রমোহন রাজবংশী লোকসঙ্গীত আসর নিয়ে বলতে এসে শোনালেন, ‘সময় পাইলে বাংলাদেশে আসিও ভিনদেশি বন্ধুরে’ গানটি।


সবার আগে স্বাগত বক্তব্যে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সান কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। লালনের গান দিয়ে উৎসবের যাত্রা করেন বাউলিয়ানার শিল্পীরা। এরপর একে একে মঞ্চে আসেন ফকির শাহাবুদ্দিন, ব্রাজিলের শিল্পী মোরিসিও টিজুমবা, তিব্বতের তেনজিন চো’য়েগাল। শেষ শিল্পী হিসেবে মতো মঞ্চে আসবেন আসামের জনপ্রিয় শিল্পী পাপন।


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com