অমর একুশে গ্রন্থমেলার পর্দা নামছে আজ। মাসব্যাপী বইমেলার শেষ দিন উপলক্ষে বই মেলার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে ৪ ঘন্টা। আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বই মেলা শুরু হবে সকাল ১১টায়। আনুষ্ঠানিকভাবে দিন শেষে রাত সাড়ে আটটায় বাংলা ভাষাভাষী মানুষের প্রাণের এ মেলার পর্দা নামবে।

মাস ব্যাপী মেলায় ২৭ তম দিন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৬৬টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে কবিতার বইয়ের সংখ্যা ১ হাজার ৫৮টি, গল্পের বই ৪৭৮টি, শিশুতোষ ১১৬টি, জীবনী ৬৯টি, উপন্যাস ৫৪৬টি, প্রবন্ধ ১৫৮টি, গবেষণাধর্মী ৭৭টি, ছড়ার ১১১টি, রচনাবলি ৭টি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ৯৬টি বই।

এছাড়া নাটক ১৭টি, বিজ্ঞান ৩৬টি, ভ্রমণ ৬৬টি, ইতিহাস ৩৯টি, রাজনীতি ১৭টি, চিকিৎসা/স্বাস্থ্য বিষয়ক ২৮টি, কম্পিউটার বিষয়ক ৬টি, রম্য/ধাঁধার বই ১৫টি, ধর্মীয় ৯টি, অনুবাদ ১৮টি, অভিধান ২টি, সায়েন্স ফিকশন/ গোয়েন্দা ৩৪টি ও অন্য বই ৪৬৩টি।

অমর একুশে গ্রন্থমেলার শেষ দিন বিকেলে মূল মঞ্চে বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে ‘বহুত্ববাদী সমাজ ও ফোকলোর’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন শাহিদা খাতুন। আলোচনায় অংশ নেবেন সৈয়দ জামিল আহমেদ ও বিবি রাসেল। সভাপতিত্ব করবেন ড. ফিরোজ মাহমুদ।

এছাড়া একাডেমির মূল মঞ্চে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অমর একুশে বইমেলার ২০১৭-এর সমাপনী অনুষ্ঠান হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. ইব্রাহীম হোসেন খান। সভাপতিত্ব করবেন ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে কবি শামীম আজাদ ও লেখক অনুবাদক নাজমুন নেসা পিয়ারিকে বাংলা একাডেমি পরিচালিত সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ পুরস্কার ২০১৬ দেয়া হবে। এছাড়াও মানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার, গুণমান ও শৈল্পিক বিচারে সেরা গ্রন্থের জন্য তিনটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার এবং ২০১৭ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে থেকে নান্দনিক স্টল/প্যাভেলিয়ন সজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তিনটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার-২০১৭ দেয়া হবে।

তবে সন্ধ্যায় থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।

বিবার্তা/লাভলু/পলাশ