আর মাত্র একদিন পরেই পর্দা নামবে অমর একুশে বই মেলার। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে মাসব্যাপী বই মেলার পর্দা নামবে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি। বই মেলার শেষ সময়ে দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েই চলছে।
রবিবার বই মেলা ঘুরে দেখা যায় শনিবারের তুলনায় বই মেলায় আগত দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। যাত্রাবাড়ী থেকে আগত স্কুল শিক্ষার্থী তাহসিন হকের সাথে কথা বলে জানান যায়, বই মেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সব কিছু পাঠক ও দর্শনার্থীদের অনুকূলে থাকায় এবারের বই মেলায় পাঠক সংখ্যা বেশি। স্বস্তিতে মেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকেই।
মেলায় প্রকৃত ক্রেতার ও পাঠকের চেয়ে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীর সংখ্যাই অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন মেলার কয়েকটি প্রকাশনীর মালিক। বিভিন্ন স্টল ঘুরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অন্য বছরের তুলনায় এবার মেলায় দর্শনার্থী সংখ্যা ও বিক্রিত বইয়ের সংখ্যা বেশি। তবে আগত দর্শনার্থী অনেক বেশি হলেও বই বিক্রি তুলনামূলক কম। বই কেনার চেয়ে মেলায় ঘুরতে পছন্দ করেন বেশির ভাগ দর্শনার্থী।
মেলায় আগত দর্শনার্থী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া হৃদিতার জানান, বন্ধুদের সাথে মেলায় ঘুরাঘুরি বেশি ভাল লাগে। বই কেনা হয় না তেমন।তবে সেলফি তুলতেই মূলত মেলায় আসা। বন্ধুদের সাথে মেলায় আড্ডাটা জমে উঠে বলেও জানান তিনি।
বাংলা একাডেমির পরিচালক (জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ) অপরেশ কুমার ব্যানার্জী জানান, মেলার ২৬তম দিনে নতুন বই এসেছে ১০৩টি। আর মোড়ক উন্মোচন হয়েছে ৪৬টি বইয়ের।
বিকেল ৪টায় মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আত্মজীবনীমূলক সাহিত্য শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রাশিদ আসকারী। আলোচনায় অংশ নেন ড. সাইফুদ্দীন চৌধুরী, ড. এ. এস. এম. বোরহান উদ্দীন। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. শামসুজ্জামান খান।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, আত্মজীবনী সাহিত্যরীতি হিসেবে বেশ পুরনো এবং প্রাচীনকাল থেকে এখন পর্যন্ত এর প্রচলন অব্যাহত রয়েছে। বাংলা ভাষায় অনেক মনীষী তাদের জীবনকাহিনী লিখে গেছেন। তত্ত্ব-বিস্ফোরণের যুগে শিল্পসাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মতো আত্মজীবনী-তত্ত্বও এক বহুল আলোচিত ক্ষেত্র হিসেবে গৃহীত হয়েছে। আত্মজীবনী রচয়িতাদের রচনাবলী প্রাসঙ্গিক সাহিত্য-সমালোচনা তত্ত্বের আলোকে পঠিত হলে বাংলা আত্মজীবনীমূলক রচনা এক বৈশ্বিক উচ্চতায় পৌঁছাবে।
সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এতে সংগীত পরিবেশন করেন ফেরদৌস আরা, ইয়াকুব আলী খান, লীনা তাপসী খান, শারমিন সাথী ইসলাম, প্রদীপ কুমার নন্দী, সুমন মজুমদার, মাহবুবা রহমান ও ফারহানা শিরিন।
মেলার ২৭ তম দিনে বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলাদেশের প্রকাশনা: গ্রন্থ পরিকল্পনা ও সম্পাদনা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন তারিক সুজাত। আলোচনায় অংশ নেবেন মফিদুল হক, বদিউদ্দিন নাজির এবং খান মাহবুব। সভাপতিত্ব করবেন ইমেরিটাস প্রকাশক মহিউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বিবার্তা/লাভলু/পলাশ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]