শিরোনাম
রান্নাঘরের টুকিটাকি
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ১১:০৩
রান্নাঘরের টুকিটাকি
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন খাবারের। আর খাবারের উপাদানগুলোকে গ্রহণের উপযোগী ও স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করি তা হচ্ছে রান্না। রান্না আসলে একটা শিল্প৷ সুন্দর ও রুচিশীল রান্নার কদর বিশ্বব্যাপী।


আমাদের জীবনযাত্রার সাথে তাল মিলিয়ে পাল্টাচ্ছে রান্নার কৌশল ও ধরণ। একটা সময় শুধু মেয়েরাই রান্নার সঙ্গে যুক্ত থাকত। কিন্তু বর্তমান কর্মব্যস্ত জীবনে অনেক পুরুষকে কম বেশি রান্না করতে হয়। কর্ম ব্যস্ততায় সব সময় পরিকল্পনা করে রান্না করা সম্ভব হয় না।


রান্নার কাজ দ্রুত সেরে যেতে হয় কাজে। সেই ক্ষেত্রে রান্না করার সময় অনেক ভুলত্রুটি হয়ে থাকে আমাদের। এতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আমাদেরই।


তাই রান্না সম্পর্কিত কিছু টিপস জেনে রাখা ভালো:


১. ডিম সেদ্ধ করার সময় পানিতে অল্প পরিমাণ লবণ দিয়ে দিন। এতে ডিম তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হবে ও খেতে সুস্বাদু হবে।


২. গরম অবস্থায় ডিমের খোসা ছাড়াবেন না। ঠান্ডা হলে খোসা ছাড়ান। এতে খোসায় লেগে থাকা ডিম নষ্ট হবে না।


৩. মাছ ভাজার সময় নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখুন। কারণ মাছে পানি থাকলে গরম তেলে গায়ে ছিটে আসতে পারে। তাই যত তাড়াই থাকুক না কেন সাবধনাতা অবলম্বন করুন।


৪. গরম তেলে কিছু ভাজতে গেলে দেখবেন তেল ছিটকে গায়ে আসতে পারে। তাই কিছু ভাজার আগে গরম তেলে অল্প পরিমাণ লবণ দিয়ে দিন।


৫. মাছে গন্ধ? ভালো করে ধুয়েও গন্ধ কাটছে না? মাছে হলুদ ও ভিনিগার মাখিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। আর যদি বাড়িতে ভিনিগার না থাকে তাহলে তার পরিবর্তে লেবুর রস ব্যবহার করুন। দেখবেন এতে মাছের গন্ধটা কেটে যাবে।


৬. সর্ষে বাটা একটু তিতা হয়। তাই অনেকেই সর্ষে এড়িয়ে চলে। যদি সর্ষে বাটার সময় পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে দেন তাহলে তিতা কম হবে।


৭. সবজির রঙ ঠিক রাখতে ঢাকনা দিয়ে রান্না না করাই ভালো। আর কিছু সবজি আছে যেগুলো সামান্য পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে রান্না করুন। দেখবেন এতে সবজির রঙ ঠিক থাকবে।


৮. কাজু বাদাম ভেজে রান্নায় ব্যবহার করুন। এতে রান্নায় স্বাদ বাড়বে।


৯. গলা চুলকানোর ভয়ে অনেকেই ওল, কচু খেতে চান না৷ কিন্তু যদি ওল, কচু রান্নার সময় পরিমাণ মতো তেতুলের রস ব্যবহার করেন তাহলে এই ভয়ে আর থাকবে না।


১০. চাল ধোয়ার অন্তত ১০ মিনিট পর রান্না করুন, অথবা রান্নার সময় ১ চা চামচ রান্নার তেল দিয়ে দিন। দেখবেন এতে ভাত ঝরঝরে হবে।


১১. মাংস তাড়াতাড়ি সেদ্ধ করতে খোসাসহ এক টুকরো কাঁচা পেঁপে ব্যবহার করুন।


১২. তরকারিতে লবণ বেশি হয়ে গেলে কয়েকটি সেদ্ধ আলুর টুকরো দিয়ে দিন। এতে রান্নার স্বাদ ঠিক থাকবে, আবার লবণও কমে যাবে।


১৩. সকালে উঠে ডাল ভাত খেয়ে অফিসে যাবেন। কিন্তু ডাল সেদ্ধ হতে তো অনেকটা সময় নেয়। এই চিন্তা থেকে দূরে থাকতে ডাল আগের দিন রাতেই ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে সেদ্ধ করার সময় দেখবেন অনেক তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হবে।


১৪. সময় কম, তাড়াতাড়ি রান্না করে বেরোতে হবে। মশলা খুঁজে পাচ্ছেন না। মশলার কৌটোর গায়ে নাম লিখে রাখুন। দেখবেন অতি সহজেই খুঁজে পেয়ে যাবেন।


১৫. কৌটোর মধ্যে বিস্কুট রাখার আগে সামান্য চিনি বা মোটা কাগজের টুকরো রেখে দিন। তাহলে বিস্কুট অনেকদিন মচমচে থাকবে।


১৬. চাল ও ডালের কৌটোয় কয়েকটি শুকনো নিমপাতা বা শুকনো মরিচ রেখে দিন। তাহলে সহজে আর পোকা ধরবে না।


১৭. পেঁয়াজ কুটলে কটু গন্ধ হওয়াটাই খুব স্বাভাবিক। মনে হয় সারা দেহেই বুঝি গন্ধটা লেগে রয়েছে। গন্ধ কাটাবার জন্য তখন একটু সরষে তেল হাতে ঢেলে ডলে নেবেন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়ে যাবে।


১৮. তরকারিতে হলুদ বেশি হলে সত্যিই খেতে খুব খারাপ লাগে। গন্ধ লাগে শুধু ওই গন্ধটার জন্যই। এইরকম অবস্থায় একটি খুন্তি চুলায় পুড়িয়ে লাল করে ওই তরকারিতে ডুবিয়ে দেবেন। দেখবেন গন্ধ কেটে গেছে।


১৯. কয়লার চুলায় অনেক সময় আঁচ উঠতে দেরি হয় বা একেবারে তলায় থাকে। ওপরে উঠতে চায় না। একটু লবণ ছড়িয়ে দিয়ে দেখবেন, আশ্চর্য ফল পেয়ে গেছেন।


২০. পাত্রে রাখা লবণ অনেক সময় গলে যায়, যার ফলে রান্নার লবণের পরিমাণ প্রায় সময়ই হেরফের হয়ে যায়। এ অসুবিধা দূর করতে এক টুকরো ব্লটিং পেপার কেটে পাত্রের তলায় রেখে তার ওপরে লবণ রেখে দেখুন। সমস্যা দূর হয়ে গেছে।


২১. লেবু টাটকা রাখতে হলে পানিতে রাখুন এবং রোজই সেই পানি পাল্টে দিন। এইভাবে লেবু অনেকদিন টাটকা রাখতে পারবেন।


২২. ডিম টাটকা রাখতে হলে চুনের পানিতে অথবা লবণের পানিতে ডুবিয়ে নিন। দেখবেন অনেকদিন অবধি তাজা থাকবে। ডিম একটু ফেটে গেলে সেদ্ধ করার সময় পানিতে লবণ মিশিয়ে নিন। দেখবেন ডিম পানিতে বের হয়ে আসবে না।


২৩. তরকারি কাটার সময় আঙ্গুলে দাগ পড়লে ভিনিগার অথবা লাবুর রসে লবণ মিশিয়ে আঙ্গুলে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে নিলে দাগ উঠে যায়। যে সব সবজি বা আনাজ কাটলে হাতে কালচে দাগ হয় তা কাটার আগে হাতে সরষের তল মাখলে কালচে দাগ আর হবে না।


২৪. চাল ধোয়া জলে স্টীল ও কাঁচের বাসন কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে নিলে বাসনগুলো ঝকঝক করবে।


২৫. পাত্রের কানায় সামান্য মাখন বা গ্লিসারিন লাগিয়ে দিলে দুধ উথলে পড়ার সমস্যা থাকে না।


সূত্র: কলকাতা২৪/৭


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com