শিরোনাম
ছেলেদের নিয়ে ৫০টি ইন্টারেস্টিং তথ্য
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০১৬, ১০:৫৬
ছেলেদের নিয়ে ৫০টি ইন্টারেস্টিং তথ্য
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ছেলেরা মেয়েদের ব্যাপারে যা ভাবে, মেয়েদের ভাবনার সাথে তা মিলে না। তাদের রিলেশনের মাঝে মাঝে নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল বলে কিছু থাকে না। হয় উত্তর মেরু না হয় দক্ষিণ মেরু। নেট ঘেটে ছেলেদের ব্যাপারে ৫০টি মজার তথ্য পাওয়া গেছে। বিবার্তা পাঠকদের জন্য তা নিচে তুলে ধরা হলো:


১. মেয়েদের হাইট ম্যাটার করে না, বাট ওজন ম্যাটার করে। বেঁটে হোক লম্বা হোক চাপ নেই। কিন্তু মোটা হলে তো বেশ চাপ আছে। আবার রোগা পাতলাও তাদের মনে ধরে না।


২. ব্যাপক ফ্লার্ট করে, কিন্তু যাকে ভালবাসে তার সামনে তোতলায়, বোকা বোকা হাবভাব করে। এটা শুধু ছেলেদের কেন? মেয়েদেরও হয়। পছন্দের মানুষটির সামনে পড়লেই বড় বড় বক্তাও ফেল মেরে গিয়ে ভিজে বেড়ালটি হয়ে ল্যাজ গুটিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। হাবভাবটা এমন থাকে যেন আমি তোমায় দেখছি না আবার দেখছি।


৩. রাস্তায় কোন মেয়েকে দেখে নিমেষে ফিদা হয়ে যেতে পারে, কিন্তু পরক্ষণেই তাকে ভুলে অন্য মেয়েকে দেখে ঝারি মারতে শুরু করে। আসলে সময় নষ্ট করার সময় নেই যে! যখন যে আছে তাকে দিয়েই কাজ চালিয়ে নেয়।


৪. হাজারটা মেয়ের সাথে ফ্লার্ট করে, কিন্তু ঘুমোতে যাওয়ার আগে সেই মেয়েটার কথাই ভাবে, যাকে সে সবচেয়ে বেশি ভালবাসে। সারাদিন নিজের সাথে যতই খেলা করুক না কেন, রাতে ফেল মেরে যায়। ক্লান্ত শরীর যখন বিছানা ডাকে, তখন মনের ময়লা সরিয়ে সবচেয়ে প্রিয় মেয়েটিই চোখের সামনে ভাসে।


৫. ছেলেরা প্রেমিকার প্রাক্তন প্রেমিকের গল্প শুনতে পছন্দ করে না। কাঠগড়ায় ওঠার আগে কে আর আগের আসামির পরিণতির কথা শুনতে চায়?


৬. ছেলেরা সবসময় যে হৃদয় কাঁপানো সুন্দরী মেয়ে চায় তা নয়, তারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও প্রেজেন্টেবল মেয়েদেরই বেশি পছন্দ করে।


৭. কোনও ছেলে যদি তোমায় নিয়ে মজা করে, তার মানে সে তোমায় পছন্দ করে।


কোন ছেলে যদি কোন মেয়ের সামনেই তাকে নিয়ে মজা করে, তা হলে বুঝবে ব্যাপারটা একদম জমে গিয়েছে।


৮. ব্রেক আপ হলে, সেই প্রেমিকাকে ভুলে যাওয়া একটা ছেলের পক্ষে সোজা ব্যাপার নয়।


৯. ছেলেরা একসঙ্গে একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। তারা প্রাক্তন প্রেমিকা ভালো ছিল না এখনকার প্রেম ভালো, নাকি অন্য মেয়েটি আরও ভালো, সেটা বুঝতে পারে না। কনফিউশনটা বাজে কথা। আসল কথা হল, ছেলেরা এতো উদার, ওদের মনটা এতো বড় যে, একসঙ্গে একাধিক মেয়ের জায়গা হয়ে যায়।


১০. মেয়েদের নিয়ে গসিপ চললে ছেলেরা মেয়েদের চেয়েও বেশি কথা বলে। আমজনতার কাছে সেলেবরা যেমন ইন্টারেস্টিং, মেয়েরাও ছেলেদের কাছে ঠিক ততটাই ইন্টারেস্টিং। মেয়েদের ব্যাপারে কথা হলে ছেলেরা জাস্ট নিজেদের কন্ট্রোল করতে পারে না।


১১. একটা ছেলে কখনও একটা অন্য ছেলের পরামর্শ নেয় না, কিন্তু মেয়েদের পরামর্শ নেয়। বলা যায়, একটা বোকা কি আর অন্য বোকার কথা শোনে?


১২. যে মেয়ে পাত্তা দেয় না, তাকে পাওয়ার জন্যই ছেলেরা পাগল। জন্ম থেকেই ছেলেরা একটু বেশি অ্যাটেনশন পায়। ফলে যেই তারা দ্যাখে, কেউ একজন তাকে পাত্তা দিচ্ছে না, তখন তার পাত্তা পাওয়ার জন্যই পাগল হয়ে ওঠে। সে প্রেম টিকুক বা না টিকুক, বাট সেই মেয়েকে ‘তুলে’ দেখাবে।


১৩. ছেলেদের কাছে প্রেম মানেই শরীর।


১৪. ছেলেরা নোংরার হদ্দ আর অগোছালো। ছেলেদের হোস্টেল, মেস বা রুম, কোথাও ঢুঁ মারলেই হল। নাক চিপে, চোখ বন্ধ করে বেরিয়ে আসতে হয়। কোথায় যে কি সব ঝুলিয়ে রাখে, ছড়িয়ে রাখে, গুঁজে রাখে। গার্লফ্রেন্ডের পদধূলি পড়ার টাইমের আগেই সেগুলো নানা খোপে লুকিয়ে পড়ে। প্রেমিকা যাতে নোংরা, অগোছালো না বলে। এই শব্দ দুটোতে আবার এনাদের বেজায় আপত্তি। সত্যিই, কানাকে কানা বললে ক্ষেপে যাবে না!


১৫. মুখে যুক্তির দোহাই দেয়, আসলে ছেলেগুলো এক নম্বরের ঝগড়াটে। নিজেদের ঝগড়ুটে স্বভাবে পরদা টানতে মরদলোগ ‘যুক্তি’ নামক শব্দটির তলায় আশ্রয় নেয়। বক্তব্য মনমতো না হলে ভুলভাল ‘যুক্তি’র খই ফোটায়। গলাও চড়ে পাল্লা দিয়ে।


১৬. প্রেম পাওয়ার জন্য একবছর মেয়েটির পিছনে ছুটতে আপত্তি নেই, কিন্তু পেয়ে গেলে তোমায় পোঁছে কে! লাইন মারার সময় এক কাপ চায়েও তোমাকে চাই। কিন্তু পাত্রী যখন ‘ইন’, তখন ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’ তো! গার্লফ্রেন্ড ততদিনে ‘টেকেন ফর গ্রান্টেড’এর তকমা পেয়ে গিয়েছে যে!


১৭. ছেলেরা সব ব্যাপারেই ক্যাজুয়াল। সিরিয়াসনেস? ও আবার কি? খায় না মাথায় দেয় ছেলেরা?


১৮. মেয়েদের চেহারা দেখেই ছেলেরা কাত হয়ে যায়। ছেলে পটানোটা মেয়েদের পক্ষে কি ইজি তাই না? একটা সুন্দর চেহারা থাকলেই হল। ধুপ, ধাপ, ধপাস... ছেলেগুলো প্রেমে পড়তে শুরু করবে। অথচ মাথায় গ্রে ম্যাটার থাকুক বা না থাকুক, সুন্দরীর পিছনে লাইন কখনও ফাঁকা থাকে না। ফেসবুকের ফ্রেন্ডলিস্ট দেখলেই সেটা আন্দাজ করা যায়। তা সে কন্যে যত জনকেই ডিচ করুক, চাঁদে আবার দাগ কিসের? একবার লাইন ক্লিয়ার পেলেই ছেলের দল সব ভুলে তার পিছনে লেগে পড়ে।


১৯. সন্দেহ করাটা ছেলেদের স্বভাব। প্রেমের ব্যাপারে ছেলেটির সিরিয়াস হওয়া মানেই ব্যাটা বড্ড পজেসিভ। গার্লফ্রেন্ডকে অন্য ছেলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দেখলে বা চ্যাট করতে দেখলেই চিন্তায় তার মাথার চুল খাড়া। তখন তারা সন্দেহ করার সামান্য সুযোগও ছাড়ে না।


২০. ছেলেদের আড্ডা মানেই গালাগাল। ছেলেদের ঠেকে একবার কান পেতে দেখো, দু’অক্ষর থেকে কত অক্ষরে শেষ হওয়া গালাগাল যে শেখা যায়, তা হিসাবসাপেক্ষ! যে বান্দা ওইসব মুক্তো ছড়ানো শব্দবন্ধের সঙ্গে অল্প পরিচিত, সে নেহাত দুধেভাতে। ‘বড়’দের আড্ডায় সে হে-হে খোরাক।



২১. ছেলেদের ফ্যান্টাসি! গার্লফ্রেন্ডের হাত ধরলে বলে চুমু খেয়েছি। আর চুমু খেলে? বাকিটা লেখা গেল না। বন্ধুমহলে নিজেকে বাকিদের চেয়ে ‘অভিজ্ঞ’ প্রমাণ করতে টসটসে প্রেমের গল্প শোনানোর চেয়ে সহজ রাস্তা ছেলেরা খুঁজে পায় না। বন্ধুর গুনপনা শুনে নিজেদের ফ্যান্টাসির গোড়ায় ধোঁয়া দেয়ার জন্য, শ্রোতারাও ‘এক্সপিরিয়েন্সড’ বক্তার পিঠ চাপড়ে দেয়। তার গল্প এগিয়ে চলে আরও চারগুণ উৎসাহে...


২২. ছেলেরা চায় গার্লফ্রেন্ড চাই মিনিস্কার্ট পরা, কিন্তু বউ হবে শাড়ি-চুড়িদার পরা নেহাতই ঘরোয়া। মানে গার্লফ্রেন্ড দেখানোর জন্য, আর বউ সংসার সামলানোর জন্য। সিম্পল ফান্ডা। মিনিস্কার্ট পরা বান্ধবীকে দেখে বন্ধুদের মনে হিংসে চিড়বিড় করবে, তবেই না আমার জিত। এহেন মেয়ে বউমা হয়েই বাড়িতে পা দিলেই অন্য নিয়ম, তাকে চুড়িদার, শাড়ি পরতেই হবে!


২৩. ছেলেরাও কাঁদে। কান্নাকাটি মেয়েলি ব্যাপার। পুরুষ মানুষের চোখে আবার জল কিসের? আসলে নিজেদের এরা হি-ম্যান গোছের কিছু একটা ভাবে! কিন্তু ভুলে যায়, মান আর হুঁশ এই দুইয়ে মিলেই মানুষ। এই দুই যার আছে তার আবেগও আছে। চোখের জল তারই বহিঃপ্রকাশ।


২৪. বিহাইন্ড এভরি আনসাকসেসফুল ম্যান, দেয়ার ইজ অলসো আ ওম্যান। প্রেমিকা টা টা করার দুঃখে কত গণ্ডা ছেলে পড়াশোনা জলাঞ্জলি দিল, কতজন নেশা ভাং ধরল, কতকার মাথার ব্যামো দ্যাখা দিল।


২৫. ছেলেরা শোনে কম বলে বেশি। হক কথা। জ্ঞান বিতরণের একটা নেচার প্রায় সব ছেলেরই থাকে। সুযোগ দিলেই হল। কথা শোনায় খুব একটা বিশ্বাসী নয় ছেলেরা, তাদের একটাই বক্তব্য অন্যকে শুনতে হবে তাদের কথা।


২৬. ছেলেরা সবসময় মায়ের আঁচল ধরা হয়। মা ছাড়া পৃথিবী অন্ধকার। মায়ের ব্যাপারে ছেলেরা একটু স্পর্শকাতর হয় বটে। ছোটবেলা থেকে বেশিরভাগ কাজই যেহেতু মা করে দেয়, ফলে সব ছেলেই একটু আধটু মা নির্ভর হয়ে ওঠে।


২৭. ছেলেরা ইশারা কম বোঝে। ব্যাখ্যা করে দিলে তবে বোঝে।


২৮. মুখে হ্যান করেগা ত্যান করেগা, কিন্তু কোন মেয়ে হাত ধরলে ভ্যাবলা হয়ে যায়।


২৯. ছেলেরা তেমন আশা-টাশার ধার ধারে না- এটা মেয়েদের একটা মারাত্মক ভুল ধারণা। ছেলেরা যেহেতু খানিকটা রিল্যাকট্যান্ট থাকে, তাই মেয়েরা ভাবে, ওদের ডিম্যান্ড নেই। আসলটা হল ছেলেরাও আশা করে তবে মনে মনে। মনের বাইরে প্রকাশ করতে পারে না।


৩০. একটি ছেলে যখন তার গার্লফ্রেন্ডকে বুঝতে পারছে না বলে, তার মানে হল, মেয়েটি ছেলেটির মতো করে ভাবতে পারছে না। আসলে ছেলেরা একটু স্ট্রেটওয়েতে ভাবে। ঘোরালো ব্যাপার স্যাপার মাথায় ঢোকে না। তাই আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের সমস্যা হলেই ছেলেরা ভাবে, প্রেমিকার সঙ্গে তার মানসিক দূরত্ব বাড়ছে।


৩১. প্রেমের ব্যাপারে ছেলেরা চূড়ান্ত কনফিউজড থাকে। এখনই হ্যাঁ তো তখনই না! কোনদিনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারে না। অন্য কোন বিষয়ে না হলেও প্রেমের ব্যাপারে হেব্বি কনফিউজড থাকে। এই মনে হয় প্রেমিকার সঙ্গে মতের মিল হচ্ছে না তো এই মনে হয় প্রেমিকা ছাড়া তার জগত অন্ধকার। এমনকি প্রেমের ‘দি এন্ড’ ঘটার পরেও ছেলেরা কনফিউজড থাকে।


৩২. কোন ছেলে যখন বলে, ‘আমি একটু একা থাকতে চাই!’ মোদ্দা কথা হল, প্লিজ এসো আমার গল্প শোনো। মোটেই না। বরং ছেলেরা একটু একা থাকতে পছন্দ করে। সে বাড়িই হক বা কলেজে।


৩৩. ছেলেরা সবসময়ই ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর মধ্যে ‘মা’-কে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করে। ধ্রুব সত্য। কারণ সম্পর্কে অনেক থিউরি রয়েছে, সেসব কচকচানিতে না গিয়ে বলা যায়, এই ব্যাপারটা ছেলেদের আসলে পরে হেব্বি ভোগায়। কারণ ‘মা-কনসেপ্ট’-এর কারণে কিছু-কিছু ক্ষেত্রে ছেলেরা গার্লফ্রেন্ড এর কাছ থেকে একটু বেশিই এক্সপেক্ট করে ফ্যালে এবং শেষে ফুল্টু কেস খায়।


৩৪. ছেলেরা নিজেদের গোপন কথা শেয়ার করতে ভালবাসে। এটা বাজে ধারণা। অনেক কথা থাকে, যেগুলো ছেলেরা শেয়ার করতে ভালবাসে না। তাছাড়া মনের কথা ছেলেরা সেভাবে প্রকাশ করতেই পারে না! ফলে বেস্টফ্রেন্ড বা অন্য কাউকে বলার কোন গল্পই নেই।


৩৫. রাস্তায় একটি ছেলে যদি একটি মেয়ের দিকে তাকায়, তার মানে, হয় ছেলেটির মেয়েটিকে দেখতে ভালো লাগছে অথবা মেয়েটির মধ্যে খুঁত খুঁজছে। ছেলেরা সুন্দরকে সুন্দর বলতে ভালবাসে। মেয়েরা যেমন ‘একবার দেইখ্যা আর দেখিনা’ টাইপের হয়, সেরকমটা নয়। তবে খুঁত খোঁজার ব্যাপারটা স্বাভাবিক। ছেলেদের অবজারভেশন পাওয়ার হেব্বি স্ট্রং, তাই খুঁত চোখে পড়বেই।


৩৬. নিজের চুলের স্টাইল নিয়ে সেনসিটিভ। জামা-কাপড়ের ব্যাপারে তো লিমিটেড অপশনস, টি-শার্ট-জিনস-পাঞ্জাবির মেনুতেই আটকে থাকে। ফলে চুলের ব্যাপারে ছেলেরা একটু বেশিই স্পর্শকাতর। যেটুকু ক্যাপিটাল, সেটুকুকেই সুন্দরভাবে প্রেজেন্ট করার একটা ক্ষুদ্র প্রয়াস আর কি!


৩৭. ছেলেরা প্রায়ই প্রেমের চেয়ে ক্যারিয়ারকে বেশি প্রাধান্য দেয়।


৩৮. ছেলেরা বন্ধু নিয়ে বড্ড স্পর্শকাতর হয়। এর মাঝে প্রেমিকা চলে এলেও বন্ধুরা প্রাধান্য পায়। তবে এটা সব ছেলের ব্যাপারে প্রযোজ্য নয়।


৩৯. হাবে ভাবে না বোঝালেও মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা বেশি পজেসিভ হয়।


৪০. কোন মেয়েকে দেখে যদি ‘বিউটিফুল’ বা ‘ব্যাপক’ টাইপের কথা বলে, তার মানে হল... টু সাম এক্সটেন্ট প্রেমে পড়ে গিয়েছে ছেলেটি।


৪১. ছেলেরা মেয়েদের মতো ফিগার কনসাশ হয় না। নো ডায়েট নো জিম। মডেলিং এর দুনিয়ায় থাকলে আলাদা কথা। তাছাড়া বডি নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই ছেলেদের। খাচ্ছে-দাচ্ছে, ঘুরছে-ফিরছে, মাস্তিতে আছে।


৪২. বয়স বাড়লে ছেলেদের গ্ল্যামার বাড়ে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ছেলেদের গ্ল্যাম কোশেন্টে যুক্ত হয় ব্যক্তিত্বের ঝকঝকে আভা। দুইয়ের মারকাটারি যোগফলে বয়সে বড় ছেলেদের ডিম্যান্ডও বাড়ে। আর মেয়েরা? যতই মুখে শশা ঘষুক, পার্লারে ছুটুক, তিরিশের পর থেকে বাজার ডাউন।


৪৩. ঘরের বাইরে ছেলেরা মেয়েদের দায়িত্ব নিতে ভালবাসে। রেস্তরাঁয় গিয়ে চেয়ারটা টেনে বসতে দেয়া বা রাস্তায় হাত ধরে রাস্তা পার করে দিতে ছেলেরা ভালবাসে।


৪৪. ছেলেরা টেকফ্রিক হয়। বুঝুক না বুঝুক, চব্বিশ ঘণ্টাই কি-বোর্ডে ঠুকঠাক, বা ফোনে টুকটাক বা রিমোটে ঘুটঘাট লেগেই আছে। ভাত ডাল ছেড়ে পারলে চারটে ইলেকট্রিক কর্ড, বাটন আর ব্যাটারি চিবিয়ে খায়। আসলে আবেগহীন যন্ত্র মানব তো, যন্তর নিয়ে থাকতেই ভালবাসে।


৪৫. ছেলেরা মেয়েদের দুঃখের গল্প বেমালুম হজম করে নেয়।


৪৬. ছেলেরা রূপচর্চা করে না। মুখে টক দই মাখব নাকি পাতিলেবু ঘষব তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই।


৪৭. ছেলেদের নিজেদের মধ্যে মজা মানেই লেগপুলিং। অন্যকে কেস দিয়ে যে মজা লোটা যায়, মনে হয়না অন্য কিছুতে সেটা পসিবল। মোদ্দা কথা, আড্ডায় মজা মানেই কাউকে একটা স্কেপগোট বানিয়ে, পুলিং। শুধু লেগ নয়, সবকিছুই...


৪৮. ছেলেরা অ্যাম্বিশাস হয়। আমার নিজের একটা ফ্ল্যাট হবে, গাড়ি তো থাকবেই। এরকম নানা ইচ্ছে ও স্বপ্নই জিইয়ে রাখে ছেলেদের। ছেলেরা স্বপ্ন দেখতে খুব ভালবাসে। সারাজীবন সেগুলো পূরণ করার জন্য কাটিয়ে দিতে পারে।


৪৯. রাস্তাঘাটে বাওয়াল দেয়। পথে ঘাটে বেতাল দেখলেই বাওয়াল বাঁধিয়ে দেয় ছেলের দল। চিল্লামেল্লি করে দুনিয়ার সব সমস্যা মেটানোর দায়ভার যেন তাদের। বাড়িতে তারা মেনি বেড়াল, সাতে পাঁচে নেই। কিন্তু বাইরে তারা শের, সব সুদে আসলে উসুল করে নেয়।


৫০. ছেলেরা মেয়েদের ঘ্যানঘ্যানানি একদম পছন্দ করে না।


বিবার্তা/জিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com