শিরশিরে হাওয়া জানান দিচ্ছে, আর কিছুদিনের মধ্যেই শীত চলে আসবে। অনেকেই মর্নিংওয়াক করার সময় কিংবা খুব রাতে বাড়ি ফেরার পথে গায়ে একটা হালকা শীতের পোশাক চাপাচ্ছেন। অর্থাৎ, শুরু হয়ে গেছে প্রস্তুতিপর্ব। তবে সবচেয়ে আগে প্রয়োজন কিছু বেসিক প্রস্তুতির। ফ্যাশন থেকে রূপচর্চা, সবকিছুরই রইল হদিস।
প্রথমেই আলমারিটা নতুনভাবে গুছিয়ে ফেলুন। ফুলস্লিভ টি-শার্ট বা একটু মোটা কাপড়ের পোশাকগুলো সামনের দিকে রাখুন। জাম্পার, সোয়েটশার্ট, উলি-কট ড্রেস, লেদার জ্যাকেট পরার আগে একটু রোদে দিয়ে নিন। কোথাও বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান না থাকলে এমন পোশাক বার করুন, যেগুলো মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে বা লেয়ার করে নতুন লুক পেয়ে যাবেন।
আর ঠান্ডা পড়লেই সবার নতুন শীত-পোশাক কিনতে ইচ্ছে করে। তবে শপিংয়ে যাওয়ার আগে মাথায় রাখবেন, আমাদের শহরে শীতকাল খুবই ছোট। তাই খুব দামি শীত-পোশাকে বিনিয়োগ না করাটাই ভালো। তাছাড়া এখন স্বল্প মূল্যে নানান রঙ ও ডিজাইনের শীতের পোশাক কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। এ ধরণের শীতের পোশাক কিনে নিন কয়েকটি।
তবে হ্যাঁ, একেবারে দামি শীত পোশাক কিনবেন না তা কিন্তু নয়, দু-তিনটে দামি পোশাক সংগ্রহে রাখা ভালো। পার্টিতে গেলে অন্তত এগুলো লাগবেই। তবে কেনার আগে সেগুলো ভাল করে পরিকল্পনা করে তবে শপিং শুরু করুন।
এই শীতে পোশাকের রঙের দিকেও লক্ষ রাখুন। ডার্ক শে়ড পরার সেরা সময় শীতকাল। কালো, ধূসর, অলিভ গ্রিন, মেরুন, মাস্টার্ড ইয়েলো, ম্যাজেন্টা, প্লামের মতো রঙের পোশাক পরুন। চেক্স, টুইড পরুন। মোনোক্রোম বা আর্থলি কালার বেশ ভাল লাগে এই সময়। আর ধূসর শেডের পোশাকের সঙ্গে কালার পপ করার জন্য রঙিন স্কার্ফ ব্যবহার করুন। অনেক সময় দিনেরবেলা গলা মুড়ে স্কার্ফ পরলে গরম লাগে। সে ক্ষেত্রে রেট্রো স্টাইলে মাথার চারপাশে স্কার্ফ পরতে পারেন।
আর হ্যাঁ, জুতোর দিকে নজর দিতে ভুলবেন না। হাই বুট্স না হলেও অ্যাঙ্কেল বুট্স পরতে পারেন। নাহলে এখন নানা স্টাইলের ফ্যাশনেব্ল স্নিকার্স পাওয়া যায়। কোনোটা আবার বুট্সের মতোই দেখতে। এছাড়া ব্লক হিল্স পরতে পারেন। আবার গ্ল্যাডিয়েটর স্যান্ডেলও এই শীত-পোশাকের সাথে ভাল লাগে। পা ফাটার সমস্যা যাঁদের বেশি, তারা নানা রকম কিউট মোজা পরতে পারেন।
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]