আজ ২৬ মার্চ। মহান স্বাধীনতা দিবস আমাদের মুক্তির দিন, বাঁধভাঙা আনন্দের দিন। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার। তাই দিবসটি ঘিরে থাকে নানা প্রস্তুতি, অনুষ্ঠান। সর্বত্র বিরাজ করে লাল-সবুজের ছোঁয়া।
অমূল্য প্রাপ্তি স্বাধীনতা এই মহান শব্দটি নিয়ে অসংখ্য কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, গবেষক মুক্তিযোদ্ধারা সহস্র রকম লেখা লিখেছেন।স্বাধীনতা সত্যিকার অর্থেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার মতোই মুক্ত বলাকা, যে বলাকা রৌদ্রকরোজ্জ্বল দুপুরে শুধু পাখা মেলে উড়ে বেড়ায়। সামনে থাকে সাদা মেঘের ভেলা। পেছনে পড়ে থাকে অন্ধকার।
স্বাধীনতা তুমি
রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান।
স্বাধীনতা তুমি
কাজী নজরুল ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো
মহান পুরুষ, সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কাঁপা-
সময়টাই এখন জাগরণের। এই জাগরণের জয়গানে আমাদের তরুণ প্রজন্মসব সময় থেকেছে সবার সামনে। শুধু তাই নয়, গোটা দেশ যেন আজস্বাধীনতার চেতনায় উদ্দীপ্ত। তারই বহিঃপ্রকাশ দেখা যায় আমাদেরদৈনন্দিন জীবনে আর বসনে।
ফ্যাশন সচেতনরাই শুধু নন, কমবেশি সবাই চেষ্টা করেন লাল-সবুজের পোশাক পরতে। আমাদের দেশপ্রেমের অনুভূতিকে আরও বেশি মানুষের কাছে তুলে ধরার প্রচেষ্টায় কাজ করে চলছে আমাদের দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলো। ফ্যাশন হাউজগুলো দিবসটি উপলক্ষে তৈরি করে লাল-সবুজের সংমিশ্রণে নানা নান্দনিক পোশাক ও উপহারসামগ্রী।
নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পৌঁছে দিতে দেশের ফ্যাশন হাউজগুলোপোশাকে লাল-সবুজ রঙের নকশায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নানা কারুকার্য। এসব পোশাকের নকশায় উঠে এসেছে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও গৌরবের কথা।
স্বাধীনতার রং বলতে লাল-সবুজকেই বোঝায়। আর তাই এ দিবসের ফ্যাশনে লাল ও সবুজ এই দুটি রং প্রাধান্য পায়। পোশাক অন্য রঙের হলেও লাল-সবুজের ছোঁয়া থাকতেই হবে। পোশাকে না হোক, ওড়না, ব্যাগ অথবা অলংকারে থাকা চাই লাল-সবুজের ছোঁয়া। শিশুদের পাঞ্জাবি, শার্ট, ফতুয়া, স্কার্ট কিংবা জামার ডিজাইনে আনা হয় স্বাধীনতার আমেজ।
বর্তমানে মানুষের শখ ও পছন্দের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফ্যাশন হাউজগুলো বেশ রুচিশীল ও উৎসবনির্ভর পোশাক তৈরি করছে। পোশাকে স্বাধীনতা দিবসের ছোঁয়া দিতে নারী, পুরুষ এবং শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে এসব পোশাক।
ফ্যাশন হাউজগুলো বরাবরই মুক্তিযুদ্ধকে প্রাধান্য দিয়ে পোশাক তৈরি করে থাকে। এবারের স্বাধীনতা দিবসেও অন্যান্য পোশাক ও বড়দের পাশাপাশি ছোটদের জন্য ফ্রক, ফতুয়া ও টি-শার্ট এসছে। লাল-সবুজ রঙে করা এসব পেশাকে নকশায় বরাবরের মতোই রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বর্ণনা।
এসব আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশ, আমাদের মাতৃভূমি, মহান মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের বিজয়কে তুলে ধরা। আমাদের গর্ব অহঙ্কার পোশাকের মাধ্যমে ধারণ করা।
তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ, তিতিক্ষা ও বীরত্বগাথা পৌঁছে দেয়া। তাই জাতীয় দিবসভিত্তিক যেকোনো আয়োজনে পোশাকের মাধ্যমে তুলে ধরতে হলে তার প্রতি খুবই যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। আমাদের গৌরব যেন যথাযথ সম্মানজনক অবস্থানে থাকে সেই বিষয়গুলোর প্রতি সচেতন হয়েই ফ্যাশন ডিজাইনারদের কাজ করতে হবে।
আমাদের, মুক্তির সংগ্রাম, স্বাধীনতার প্রবল আকাঙ্ক্ষাকে, হাজার বছরের গ্লানি দূর করে বঙ্গবন্ধু যে অমিয় বাণী আর ক্ষুরধার রাজনৈতিক মেধা, প্রজ্ঞা, নির্দেশনা, সঠিক পরিচালনা দান করে আমাদের দমিত স্পৃহাকে জাগ্রত করে তৎকালীন পাকিস্তানের অশুভ শাসন, শোষণের ও নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে পুরো জনমতকে একাত্ম করে একটি জাতিকে কণ্টকময় শেকল থেকে মুক্তির অক্ষয় স্বাদ দান করেছেন তা ইতিহাসের পাতায় চির জাগ্রত হয়ে থাকবে।
বিবার্তা/শারমিন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]