শিরোনাম
‘হ্যাপি টেডি ডে’
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৬:৩২
‘হ্যাপি টেডি ডে’
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ভালোবাসা দিবসের আরো আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় ভালবাসা সপ্তাহ। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ভালোবাসা সপ্তাহ শেষ হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসের মাধ্যমে। আজ ১০ ফেব্রুয়ারি টেডি ডে। ভালোবাসার উপহার হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় টেডি বিয়ার। প্রেমিক-প্রেমিকাকে উপহার দিলে যেমন উষ্ণতা বা়ড়ে সম্পর্কে, তেমনই উপহার হিসেবে শিশুদেরও দারুণ পছন্দ টেডি বিয়ার।


বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই সফট টয়-এর জন্মের পিছনে রয়েছে এক দারুণ গল্প। তাহলে চলুন আজ জেনে নি কী ভাবে জন্ম হল টেডি বিয়ারের।


১৯০২ সালের নভেম্বর মাসে মিসিসিপিতে শিকারে বেরিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্ট। মিসিসিপি ও লুসিয়ানিয়ার সীমান্ত সমস্যা নিয়ে তখন জর্জরিত তিনি। অনেকক্ষণ খুঁজেও সে দিন ভাল শিকার পাননি রুজভেল্ট। এ দিকে নিশপিশ করছে রাইফেলেন ডগা। প্রেসিডেন্টকে খুশি করতে তার সঙ্গীসাথীরা ধরে আনেন এক লুসিয়ানিয়া কালো ভল্লুক ছানা। কিন্তু গাছের গুঁড়িতে বেঁধে রাখা ভল্লুক ছানার উপর গুলি চালাতে মন চায়নি রুজভেল্টের। ছোট্ট ছানাটিকে ছেড়ে দেন তিনি।


‘ড্রইং দ্য লাইন ইন মিসিসিপি’ কার্টুনে এই গল্প তুলে ধরেন ওয়াশিংটন স্টার কার্টুনিস্ট ক্লিফর্ড বেরিম্যান। ছবিতে তিনি আঁকেন টেডি রুজভেল্ট রাইফেল হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তার পিছনে পুঁচকে এক ভল্লুক ছানা।


এই কার্টুন দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন ব্রুকলিনের খেলনার দোকানের মালিক মরিস মিচম। তিনি বানিয়ে ফেলেন মিষ্টি এক টেডি বিয়ার। তবে তা বিক্রি করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তার। দোকানের জানলার পাশে সাজিয়ে রাখেন টেডি। পাশে বেরিম্যানের আঁকা কার্টুনের কপি। তাকে অবাক করে খদ্দেররা দোকানে ঢুকেই কিনতে চান টেডি। মিচম ছুটে যান রুজভেল্টের কাছে। তার ও তার স্ত্রীর বানানো বিয়ার বিক্রির অনুমতি চান। তারপরই জন্ম হয় টেডি বিয়ারের। ১৯০৩ সালে তৈরি হয় আইডিয়াল টয় কোম্পানি। একই সময়ে জার্মানিতেও মার্গারেট স্টিফ নামের এক ব্যক্তি তৈরি করেন টেডি বিয়ার।


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com