শিরোনাম
সানাইয়ের সুরে কন্যার সাজ
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:৩০
সানাইয়ের সুরে কন্যার সাজ
মডেল: জাকিয়া ইমি
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বিয়ের বাদ্যি বেজে গেছে। বিয়ে প্রতিটি মেয়ের জীবনে খু্বই গুরুত্ব বহন করে। একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনের প্রধান শর্ত কী বলুন তো? জ্বি হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, মনের মতো একজন জীবনসঙ্গী বেছে নেয়া, সুখে-দুঃখে পথ চলাতে যার মাঝে নির্ভরতার ছায়া খুঁজে পাওয়া যায়। জীবনসঙ্গী খুঁজে নেয়ার সবচেয়ে প্রচলিত রীতিটির নামই বিয়ে। আমাদের দেশে শীতকাল মানেই বিয়ের মৌসুম।


সব মেয়েই চায় তার বিয়েতে তাকে সবচেয়ে সুন্দরী, উজ্জ্বল এবং সকলের চোখ ধাঁধানো রুপে উপস্থিত করতে। আর সেই সুযোগে দেশের অবিবাহিতদের একটি বড় অংশই বিবাহিতদের খাতায় নাম লেখান এই মৌসুমে। বিয়েবাড়িতে বর আসাকে কেন্দ্র করে যতই হইচই করা হোক না কেন, বিয়ের মূল আকর্ষণ কিন্তু কনেই। আর কনের মূল আকর্ষণ হল তার সাজ।



নতুন অধ্যায়টিকে ভালোবাসার সঙ্গে শুরু করতে ভালোবাসার সঙ্গে লাল রঙটি বিশেষভাবে জড়িত। আগেকার দিনে বিয়ের সাজে লাল শাড়ি, লাল লিপস্টিক ও লালটিপ ছাড়া বউয়ের সাজ ভাবাই যেত না। দিন বদলেছে, বউ সাজে এসেছে অনেক রঙ। মডার্ন ব্রাইডাল লুকে রেড কালারের থ্র“তে ফেসের শার্পনেস বের করে আনা যায়।


সোনার জড়োয়া গহনার আবেদনই অন্যরকম। একসেট ভারী গহনা ছাড়া কনের সাজ যেন অসম্পূর্ণ। শুধু কনেই নয়, বিয়েবাড়ির অতিথিরাও চায় বিয়েতে একটু জমকালো গহনায় সাজতে। দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে গহনায় যেমন নতুনত্ব যোগ হয়, তেমনি ঘুরেফিরে জনপ্রিয় থাকে পুরনো কিছু ট্রেন্ডও।


সোনার গহনায় হাল ফ্যাশনে সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্র্যাডিশনাল গহনা জড়োয়া। একসেট জড়োয়া গহনা যেমন বিয়ের কনে সারা জীবন আগলে রাখে অতি যত্নে, তেমনি পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন জমকালো অনুষ্ঠানে পরার জন্যও শাড়ির সঙ্গে জড়োয়া গহনা আজও নারীদের পছন্দের তালিকায় এগিয়ে।



নতুন কনের হাতে হাতভর্তি চুড়ি থাকবেই। চুড়ির ডিজাইনে অনুসরণ করা হয় ফুলেল মোটিফ। কারুকার্যময় চুড়ির গোছার দুই পাশে একেবারে কারুকার্যহীন গোলাপবালাও ব্যবহার করা হয় ষাট-সত্তরের দশক থেকেই। মাঝে এসে যোগ হয় মানতাশা আর রতনচূড়। হাতভর্তি কাচের চুড়িতে দেশীয় ঐতিহ্য তুলে ধরেন অনেকেই। সব মিলিয়ে কনের এক হাতে বাহারি ঢঙের চুড়ি, অন্য হাতে মানতাশা ও রতনচূড়। ট্রেন্ডি লম্বা রাখি শুধু হলুদে নয়; বিয়ে, বউভাত- সব অনুষ্ঠানেই কনের হাতে স্থান পায়।


কানজুড়ে বড় ঝুমকা কনের চেয়ে বেশি আর কাউকে মানায় না। ট্র্যাডিশন ধরেই এখনও তাই কানের দুলের ডিজাইনে ঝুমকাই বেশি প্রাধান্য পায়। এ ছাড়া বড় ফুলেল, জ্যামিতিক ডিজাইনের কানের দুলও বেশ মানিয়ে যায় কনের সঙ্গে। এক সময় পুরো কান জড়িয়ে কানপাশা পরতে পছন্দ করতেন কনেরা। ঐতিহ্য মেনে নিজেকে সাজাতে চাইলে সেটাও বেমানান হবে না।


অন্য সবকিছুর মতো আগে সোনার টিকলি পরলেও এখন তাতে যোগ হচ্ছে নানারকমের পাথর আর পুঁতির ব্যবহার। কুন্দনের টিকলিও আজকাল বেশ জনপ্রিয়। ডিজাইনের সঙ্গে বদলেছে পরার ঢঙও। দুই দিকের চেইন একদিকে করে নিয়ে পরার চল হয়েছে গত দুই বছরে।



নাকফুলের ট্রেন্ডে চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন হল সোনা থেকে হীরার চল। সুন্দর, অভিজাত আর সামর্থ্যরে মধ্যে হওয়ায় অনেকেই হীরার নাকফুল পরেন। বিয়ের আংটি নিয়ে আগ্রহ এবং আতিশয্য আজও অটুট। আংটির ডিজাইনে কিছুটা পরিবর্তন অবশ্য এসেছে। আগের নানা সূক্ষ্ম কারুকার্যের চেয়ে সাদামাটা, সেন্ট্রাল ডিজাইনের আংটিই বেশি পছন্দ সবার। আর সোনার জায়গাটা দখল করে নিচ্ছে ডায়মণ্ড আর প্লাটিনাম।


বর্তমানে কনের সাজ পার্লারেই করা হয়। কিন্তু যারা পার্লারে যেতে চান না বা যাওয়া পছন্দ করেন না অথবা অর্থনৈতিক দিকটা চিন্তা করে থাকেন, তারা বাড়িতেই কনে সাজতে পারেন। কিন্তু কেমন মেকআপে, কেমন হেয়ার স্টাইলে কনের রূপ খুলবে তা বুঝে উঠতে পারেন না। তাই এ বিষয়ে সঠিক কিছু পরামর্শ দেয়া হলো যা অনুসরণ করে সহজেই কনের সাজে হয়ে উঠতে পারেন অপরূপা, আকর্ষণীয়া, তিলোত্তমা। প্রধানত প্রত্যেক কনের চেহারা, উচ্চতা, রঙের সঙ্গে মানানসই মেকআপ তো বটেই, হাল ফ্যাশনের মেকআপ বিষয়ে জানা প্রয়োজন।


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com