শিরোনাম
ঘরে বসেই আয়ুর্বেদিকের জাদু
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:০৮
ঘরে বসেই আয়ুর্বেদিকের জাদু
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

রূপচর্চা


রূপচর্চার ক্ষেত্রে সবসময় সবচেয়ে ভাল পণ্যটি বেছে নেওয়ার চেষ্টা করেন সবাই। আর তা যদি হয় ত্বক উজ্জ্বল করার বিষয়, তাতে সচেতনতা হওয়ার প্রয়োজন বেশি পড়ে। বর্তমান সময়ে আয়ুর্বেদিক পণ্যের প্রতি সবার আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। বাজারের রং ফর্সাকারী পণ্য ব্যবহারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, আয়ুর্বেদিক পণ্য সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত। তাই এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে।


পেশাদারি মোড়কে উপস্থাপনা আর চাকচিক্য নজরকাড়া হলেও ভেতরে কিন্তু সেই সনাতন নিম, হলুদ, চন্দন, অ্যালোভেরা, আমলকীর উপস্থিতি। সেই আদিকাল থেকে আজ পর্যন্ত, রূপচর্চা হোক বা অসুখ-বিসুখ, আয়ুর্বেদিক উপাদানের গুরুত্ব সমান। ভবিষ্যতেও এর আবেদন একই থাকবে। ত্বকের সমস্যা হোক বা চুল, পুড়ে যাওয়া, চোট পাওয়া, পেটের অসুখ সবকিছুতেই চলে আয়ুর্বেদিকের জাদু।


এমনই কয়েকটি জাদুকরী উপাদানের আদ্যোপান্ত থাকছে আজ-


কাঁচা হলুদ


মূলত রূপচর্চার ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হলেও হলুদ ওষুধ হিসেবে দারুণ কাজ করে। কাঁচা হলুদ বহু রোগ থেকে আপনাকে দূরে রাখতে সক্ষম।


সর্দি-কাশি বা গায়ে ব্যথার জন্য হলুদ এক অব্যর্থ ওষুধ৷ গরম দুধের সঙ্গে কাঁচা হলুদ বা হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে খুব তাড়াতাড়ি আরাম পাওয়া যায়। হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা হলে হলুদের পেস্ট তৈরি করে প্রলেপ দিলে ব্যথা কমে।


হলুদে রয়েছে ‘কারকিউমিন’ নামের একটি বিশেষ উপাদান। এটি কেবল হলুদেই পাওয়া যায়। ত্বকের অধিকাংশ সমস্যা সমাধানে কারকিউমিন পারঙ্গম। এর রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিবায়োটিক গুণ। এটি রং ফর্সা ও ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। ব্রণ প্রতিরোধের পাশাপাশি ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে বাঁধা দেয়। কারকিউমিন ত্বককে পাতলা করতে কাজ করে। ব্যাকটেরিয়া দূর করে; হোয়াইট হেড, ব্ল্যাক হেড দূর করে। ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বাড়ায়।’


তুলসী


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তুলসী মোক্ষম দাওয়াই। এতে আছে বিটা ক্যারোটিন ও ইউজিনল। প্রথমটি অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে। আর ইউজিনাল ব্যাক্টেরিয়া দূর করতে সহায়ক। তাই মানবদেহের যে কোন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে তুলসীর পাতা অনন্য।


পানিতে তুলসী পাতার সঙ্গে এলাচ ফুটিয়ে তা পান করলে জ্বরে কাজ দেয় ভালো। ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ঠাণ্ডা-সর্দিতে তুলসী পাতার সঙ্গে মধু ও আদার মিশ্রণ দারুণ কাজ করে। মুখের দুর্গন্ধ, দন্তক্ষয়সহ দাঁতের অন্য চিকিৎসায় তুলসী অতুলনীয়। তুলসী পাতা পানিতে ফুটিয়ে ঊষ্ণ গরম অবস্থায় তা পান করলে পাকস্থলীর প্রদাহ কমে।


হাত পায়ের কালো ছোপ দূর করতে তুলসী পাতা দারুণ কার্যকর।


নিম পাতা


নিম পাতা অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে দারুণ কাজ করে। নিয়মিত নিম পাতা খেলে রক্ত শোধন হয়। যে কোন ফাংগাল ইনফেকশনে নিম পাতা বেঁটে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।


নিম পাতা সেদ্ধ করা পানি দিয়ে চুল ধুলে খুশকি দূর হয়। শ্যাম্পু করার পর এ পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। নিম পাতা ব্রণের জন্যও উপকা্রি।


নিমের ডাল, রস,পাতা- সবই শরীরের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিস, ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি, হৃদরোগ, আর্থ্রাইটিসসহ বহু রোগ প্রতিরোধে নিম পাতার ভূমিকা অপরিসীম।


বিবার্তা/শারমিন


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com