শিরোনাম
নিজের বেলায় ষোলআনা...
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০১৭, ২১:৫০
নিজের বেলায় ষোলআনা...
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। নারীকে বাদ দিয়ে কোনোকালে সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না।


তবে অনেকেই ভাবেন নিজেই সংসারের জন্য কষ্ট করেন তার জীবনসঙ্গী করেন না। স্ত্রীকে বাসায় রেখে নিশ্চিন্তে থাকেন অনেক স্বামীই। মনে করেন আছে তো অসুবিধা কই। হ্যা তেমন হয়তো অসুবিধা নেই। তারপরও একটু ভেবে দেখুন অসুবিধাটা কই। নিজের বেলাতেই শুধু ষোলআনা ভাববেন নাকি সঙ্গীর ক্ষেত্রেও?


অন্যকে কষ্ট দিলেও নিজের দোষ মেনে নিতে পারেন না, কারো সঙ্গে বেশি দিন মানিয়ে নিতে পারেন না, অন্যের ওপর জোর খাটানোর চেষ্টা করে। খুব সহজেই নিজের দোষ অস্বীকার করা এই ব্যাপারগুলো যখন একটি পরিবারে সংসারে বা একটি নব দম্পতির ঘরে বাসা বাঁধে তখন হয়ে ওঠে অধৈর্য্য, সবকিছুতেই অস্থিরতা ও অস্বস্তিতে ভোগার দিন শুরু হয়। এজন্য শৃঙ্খল ও কল্যাণকর জীবনের জন্য ধৈর্য্যের কোনো বিকল্প নেই।


আবার পরিবারের প্রয়োজনে হোক আর অপ্রয়োজনে হোক যখন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরি করেন তখন তাদের মধ্যেও হতে পারে কিছু ভুল বোঝাবুঝি। যেমন সংসারের খরচপাতি নিয়ে, আয় সাথে ব্যয়ের সামঞ্জস্যতা নিয়ে, এক-অপরের সাথে সময় দেয়া নিয়ে, হতে পারে দুজনের প্রতি অবিশ্বাস হচ্ছে, এরকম আরো কত কিছুই তো থাকে। এই সমস্যাগুলো সমাধান করেই কি জীবন কাটাবেন নাকি এই সমস্যাগুলো যেনো না সৃষ্টি হয় সেই খেয়াল মতো চলবেন সেটা নিয়ে একটু ভেবে দেখতে পারেন। আগে নিজেদেরকে বুঝুন। তারপর অন্য কিছু।


‘এখন আর ধৈর্য্যে কুলায় না’ কথাটি বয়স্ক গুরুজনদের ক্ষেত্রেই খাটে। আমার বা আপনার মতো মানুষের না। ফাস্ট স্পিডের এই যুগে যেখানে এক ক্লিকেই সব পাওয়া যায়, সেখানে ধৈর্য্যের বিলীন হওয়াটাই খুব স্বাভাবিক। তারপরও ধৈর্য্যের প্রয়োজন জীবনে আছে। অন্য কারো জন্য নয়, নিজের প্রশান্তির জন্যেই আমাদের ধৈর্য্যশীল হতে হয়।


খুব অল্পতে রেগে যাওয়া, সব কিছুতেই বিরক্ত হওয়া এইগুলো আসলে বাজে একটা ব্যাপার। কেউ রেগে তার সঙ্গে কথা বলছে, তা মেনে নিতেই পারেন না অনেকেই। বাড়ির কেউ নিজের কাজ গুছিয়ে না করলে, রেগে চিৎকার করে উঠেন। সবাইকে নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। এমন স্বভাবের আছেন অনেকেই। বিশেষ করে প্রেম, বিয়ে, দাম্পত্যে আছেন যারা তাদের যেকারোই এই সমস্যা থাকতে পারে।


একটু খেয়াল করলেই জানা যায়, মনোবিজ্ঞানে এই অবস্থাকে ‘ব্লেম সিফটিং’ (দোষ অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়া) বলা হয়। মনোবিজ্ঞানের এক থিওরির নাম ‘সাইকোলজিক্যাল প্রজেকশন’। এই থিউরি অনুসারে, মানুষ অন্যদের যেসব অভ্যাস বা আচরণকে অপছন্দ করে, বাস্তবেই সেগুলো নিজের মাঝেই ধারণ করেন।


অসুখী জীবন দাম্পত্যকেও ঠেলে দেয় অশান্তির দিকে, অনেক ক্ষেত্রে ডিভোর্সের দিকেও। অতএব সেদিকেও খেয়াল রাখুন। কারণ বিয়ের আগে নিজের জন্য বেচেঁ ছিলেন কিন্তু বিয়ের পর অন্যের জন্য মানে আপনার পরিবারের জন্য আপনাকে বাচঁতে হবে।


আত্মউপলব্ধি নিজেকে জানতে সাহায্য করে। পরিবার বা সংসার অথবা ঘরের বাইরেও ভুল শুধরে নেওয়ার আগ্রহ তৈরি করে। অনেকেই আত্মউপলব্ধির কাজটিকে সহজ করতে কাছের মানুষদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনাকে প্রাধান্য দেয়। এতে করে ভুল স্বীকারের মাধ্যমে খুব সহজেই সম্পর্ক ঠিক করা যায়। এই ক্ষেত্রে ধৈর্য্য বাড়াতে হবে।


ধৈর্য্য বাড়াতে কঠিন কসরত করতে হবে না। প্রতিদিনের কাজের মধ্যেই ধৈর্য্যের অনুশীলন করুন। কিছুটা হাস্যকর মনে হলেও বাস্তবে করতে গেলেই দেখবেন, সহজ এই কাজগুলো কতটা অধৈর্য্য করে দেয় আমাদের।


বিবার্তা/শারমিন/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com