শিরোনাম
ডায়েটের নিয়মই বদলাবে জীবন
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৪১
ডায়েটের নিয়মই বদলাবে জীবন
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

হাজার রকমের মানুষ আছে দুনিয়ায়। ভোজন রসিক মানুষের সাথে চলাটা একটু ভিন্ন ব্যাপারই বলতে হবে। এমন অনেক ভোজন রসিক আছেন, যেখানে সেখানে খাবার দেখলেই হামলে পড়েন।


ভুঁড়িওয়ালারাই যে শুধু বেশি খান ব্যাপারটা মোটেই সত্য নয়। আপনার আশেপাশের পাতলা চিকন গড়নের মানুষদের খেয়াল করলে দেখতে পাবেন তারাও যথেষ্ট খায়। তবে মুটিয়ে যাওয়া মানুষগুলো যে খুব বেশি বিপদে আছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সারাক্ষণ দুঃশ্চিন্তায় থাকেন, কিভাবে স্বাস্থ্য কমাবেন।


কিছু নিয়ম মানলে তাদের স্বাস্থ্য কমানো নিয়ে কোনও চিন্তারই দরকার নেই। এই যেমন দুপুরে বেশি খেলে রাতে কম খাওয়া ভালো। এতে শরীর ঝরঝরে থাকার পাশাপাশি ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। গভীর রাতে খাওয়া, মোটেই ভালো না ওজন কমাতে দুপুরের খাবার খাওয়ার সঠিক সময় রাতে ভালো ঘুমের খাবার


দিনে বেশি বা ভারী খাওয়ার পর রাতে কী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত সেই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট হেলথডটকম।


মাংস এড়িয়ে চলুন: নিরামিষ খাবারে সবসমই ক্যালরি কম। পেটের চাহিদা কমাতে সবজি ভেজে নিন অথবা স্বাস্থ্যকর সুপ তৈরি করুন, এটা বেশ কাজের।


ক্যালরি বাদ: ঘুমানোর আগে কার্বোহাইড্রেইট-যুক্ত খাবার খেলে হজম করা কঠিন। তাই রাতের খাবারে কার্বোহাইড্রেইট-যুক্ত খাবার না খাওয়াই নিরাপদ। বরং প্রোটিন এবং আঁশজাতীয় খাবার খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর।


রাতে ভারী খাবার নিয়ে শঙ্কা: যারা ওজন সম্পর্কে সচেতন তারা রাতে ভারী খাবার খেতে ভয় পান। পরের দিন সকালে ঘুম ভেঙে কেমন অনুভব করবেন তা নির্ভর করে আগের দিনের খাবারের উপর।


যেহেতু রাতে ভারী খাবার খাওয়া ঠিক নয় তাই দিনে ভারী খাবার খাওয়ার পরিকল্পনা করাই ভালো। দুপুরে খাবার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত হজমে অনেক সময় পাওয়া যায়। তাই দুপুরে ভারী ও রাতে হালকা খাবার খাওয়াই ভালো।


পুষ্টিকর সালাদ খাওয়া: বিভিন্ন রকমের সস ব্যবহার করে খুব সহজেই হালকা ও মজাদার সালাদ তৈরি করা যায়। গাজর, ব্রকলি, পেঁয়াজপাতা, লেটুস, ক্যাপ্সিকাম এবং কিছু বাদামসহ স্বাস্থ্যকর সালাদ বানাতে পারেন। নিজের পছন্দ ও স্বাদ মতো এই ধরনের সালাদ তৈরি করা বেশি কঠিন কিছু না।
নাস্তায় নোনতা খাবার বাদ: কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার বাদ দিতে না পারলে নিজের মতো করে লবণ ছাড়া স্যান্ডউইচ তৈরি করে নিন। সঙ্গে পছন্দ মতো সবজি মেশান। স্বাদ বাড়াতে সবজির সঙ্গে পছন্দ মতো ধনে বা পুদিনা পাতা দিতে পারেন। এত লবণের ঘাটতি অনুভব করবেন না।


বাড়তি খাবার: খাওয়ার পরে অতিরিক্ত খাবার রেফ্রিজারেটিরে সংরক্ষণ না করাই ভালো। অতিরিক্ত খাবার দৃষ্টি সীমার বাইরে রাখুন। এটি আপনার খাবারের পরিমাণ পরিমিত রাখবে এবং রাতে ভারী খাবার খাওয়া থেকে দূরে রাখবে।


হাঁটতে যান: দুপুরে অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে গেলে একটু হাঁটাচলা করুন। এতে স্বস্তি অনুভব করবেন।


নিজেকে দোষ দেবেন না: অপরাধবোধ কখনও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে সাহায্য করে না। তাছাড়া এই ধরনের আচরণ অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই নিজের উপর রাগ করে দুপুরে বেশি খেলেও রাতে খাবার খাওয়া একেবারেই বাদ দেওয়া উচিত নয়।


আরেকটি ব্যাপারও মাথায় রাখতে হবে শরীরের ওজন বুঝে ডায়েট করাটা জরুরী। অনেকের ওজন অনুযায়ী ডায়েট করার প্রয়োজন পড়ে না, সেই বিষয়টাও খেয়াল রাখতে হবে। অনেকেই একটা নির্দিষ্ট ওজন ধরে রাখতে চায়। তখন অবশ্যই শরীরের ওজন ও চাহিদা অনুযায়ী ডায়েটের তালিকা করতে হবে।


ডায়েট করার আগে অবশ্যই একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। কতটা ওজন কমাতে হবে, সেই অনুযায়ী কতটুকু খাওয়া উচিত, সেই তালিকা করতে হবে।


কোন ধরনের খাবারে কতটুকু পুষ্টি রয়েছে এবং কতটুকু পুষ্টি প্রয়োজন, সেটা বিবেচনা করতে হবে। কম বয়সী ছেলেমেয়েদের এই বয়সে শরীরে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি, জিংক, থায়ামিন, রিবোফ্লবিন, ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে এমন খাবার খেতে হবে।


বিবার্তা/ইমদাদ/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com