সপ্তাহের পাঁচ থেকে ছয়দিন অফিসে কাজের মধ্যে ব্যস্ত সময় কাটাতে হয় কর্মজীবী মানুষের। এরপর সপ্তাহের শেষের ছুটির দিনটিও চলে যায় চোখের পলকেই! তারপর আবার সেই একঘেয়ে রুটিনে বিশ্রামহীন কাজ।
‘নর্থওয়েস্টার্ন ন্যাশনাল লাইফ’ এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শতকরা ৪০ ভাগ লোক কর্মক্ষেত্রকে ‘অনেক বেশি মানসিক চাপে ভোগার মূল কারণ’ হিসেবে বিবেচনা করেন। এছাড়া বাকিদের মধ্যে শতকরা ২৫ ভাগ লোক মনে করেন তাদের মানসিক চাপের প্রাথমিক ভিত্তি তাদের কাজের জায়গা। এই সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। তাই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। সেক্ষেত্রে যা যা করতে পারেন-
১. কলা: চীনের তরুণ বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষকরা কাজের চাপ দূর করার খুব সহজ একটি সমাধান খুঁজে বের করেছেন। উদ্বিগ্নতা কমাতে ‘কাঁচা কলা পাকার প্রক্রিয়া দেখা’ অনেক কার্যকর বলে মনে করেন তারা।
তাদের একটি পরীক্ষায় কিছু কর্মী বাজার থেকে কাঁচা কলা কিনে আনেন। এরপর পাত্রে কলাগুলো পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়। সপ্তাহ জুড়ে কলা পাকার প্রক্রিয়া চলতে থাকে। সবুজ রঙের কলা শিগগিরই সোনালী হলুদ বর্ণ ধারণ করে। কর্মচারীদের মতে, এই কাজটি বেশ মজার এবং কাজের চাপ ভুলে থাকতেও সাহায্য় করে।
২. চা-ব্রেক: এশিয়া মেন্টাল হেলথ ইনডেক্স রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, কাজের ফাঁকে ফাঁকে চা বা কফি ব্রেকে যাওয়া স্ট্রেস কমাতে সক্ষম। পেশাগত সম্পর্কের বাইরেও সহকর্মীদের সঙ্গে সহজ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠার সুযোগ তৈরি হয় এইসময়।
৩. গল্পগুজব: একটানা কাজের মধ্যে ডুবে থাকা সবসময়ই বিরক্তকর। কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝে ডেস্ক থেকে উঠে গিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করতে পারেন। এতে মন ভারশূন্য হয়। এই টুকটাক গল্প খাবার বা নাস্তা খাওয়ার সময়ও করতে পারেন।
৪. খেলা: বিরতির সময় লুডু, উনো বা ছোটখাটো মজার খেলা খেলে সময় পার করতে পারেন। এতে নতুন করে কাজ শুরুর আগে মাইন্ড ফ্রেশ হয়। তাই উৎফুল্ল মনে কাজ শুরু করা যায়।
৫. ওয়ার্কলাইফ ব্যালেন্স: কর্মব্যস্ত সপ্তাহের পর সাধারণত ছুটির দিনে বিশ্রাম নিতেই পছন্দ করে মানুষ। তবে, মানসিক অবসাদ দূর করার জন্য প্রয়োজন প্রকৃতির ছোঁয়া। কোনো কোনো সপ্তাহান্তে সময়-সুযোগ করে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]