যৌবন ধরে রাখতে কে না চায়! চোখের তলায় বয়সের ভাঁজ, শরীরে শৈথিল্য, নিত্যনৈমিত্তিক রোগ-জ্বরা কারই বা ভাল লাগে।
কিন্তু চাইলেই কি সুস্বাস্থ্য ধরে রাখা যায়? এমন কোনও ‘টনিক’ আছে কি, যা পান করলেই শরীরে জেল্লা ফিরবে। ঝলমল করবে স্বাস্থ্য!
স্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, আছে। বহু পুরনো দিনের টোটকা— গরম জলে পাতিলেবুর রস আর মধুই হয়ে উঠতে পারে আপনার যৌবন ফেরানোর ‘টনিক’।
কী ভাবে? স্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য সবার আগে যা প্রয়োজন, তা স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস। যার শুরুটা হতে পারে সকাল থেকেই। সকালে কী খেয়ে দিন শুরু করছেন, তার উপরে নির্ভর করে গোটা দিনের খাওয়াদাওয়া। আর লেবু-মধুর ‘টনিক’-এর সার্থকতা সেখানেই। লেবুর রসে থাকা ভিটামিন সি আর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং মধুতে থাকা ভিটামিন, মিনারেলস এবং ন্যাচরাল সুগার দিনের শুরু থেকেই নানা ভাবে শরীরকে ভাল রাখতে সাহায্য করে।
১। শরীরে যে কোনও রোগ বা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে জরুরি হল শ্বেত রক্তকণিকা। লেবুতে থাকা ভিটামিন-সি সেই শ্বেতকণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে। আর মধুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট প্রতিরোধ করতে পারে ব্যাক্টেরিয়া এবং ভাইরাসকে। অর্থাৎ লেবু এবং মধুর জোড়া ফলায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
২। লিভারে পিত্তরসের ক্ষরণে সহায়ক লেবু। আর পিত্তরস সাহায্য করে ফ্যাট জাতীয় খাবার হজম করতে, খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহণ করতেও। অন্য দিকে, মধু হজমে সহায়ক ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে। তাই লেবু এবং মধু একসঙ্গে খেলে হজমক্ষমতাও বাড়ে।
৩। ভাল থাকার জন্য সবার আগে জরুরি শরীরে জলের সমতা বজায় রাখা। লেবু-মধু জলকে যেমন স্বাদু করে তোলে, তেমনই ঘুম থেকে ওঠার পরে ঈষদোষ্ণ পানীয়টি খেলে তা ধীরে ধীরে শরীরে জলের অভাব দূর করে।
৪। ভিটামিন সি-তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বককে ভাল রাখে। কালো ছোপ বা বলিরেখা পড়তে দেয় না। মধুর আর্দ্রতা ধরে রাখার ক্ষমতা ত্বককে নরম রাখতে সাহায্য করে।
৫। প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে দূষণ দূর করে লেবু। মধুতে থাকা এনজ়াইম লিভারের কাজে সাহায্য করে। একত্রে লেবু-মধু শরীরকে দূষণমুক্তও করে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]