
সাফল্য আর হতাশার মেলবন্ধনে চলে গেল আরো একটি বছর।অনেকের কাছেই ছিল সুখকর স্মৃতি অথবা বিস্মৃতিতে ঘেরা। তবে কালের গহব্বরে হারিয়ে যাওয়া বছরটিতে কোনো দুঃখের স্মৃতিই ছিল না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর এ দুঃখ জীবনে কারা বেশি নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখতে পারে জানেন?
জীবনে চলার পথে উত্থান-পতনে প্রায়ই মানসিক অবসাদে ভুগতে হয় কম বেশি সবারই। কারণ অপ্রত্যাশিত ঘটনাগুলো আমাদের মনের কষ্ট বা দুঃখকে বাড়িয়ে তোলে দ্বিগুণ।
মনের এই দুঃখ-কষ্ট নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যেই লক্ষ্য করা যায়। তবে এই জমে থাকা দুঃখ লুকিয়ে রাখার প্রবণতা নারীর চেয়ে পুরুষের মধ্যে বেশি, এমনটাই বলছে গবেষণা।
আমেরিকার ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটি এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এমনটাই দাবি করেছেন। সমীক্ষার তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা বলেন, মনের দুঃখ শেয়ার করার পরিবর্তে পুরুষরা নিজেদের মধ্যেই লুকিয়ে রাখতে তা চেষ্টা করেন। আমেরিকার ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটি এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় এ সম্পর্কিত ১১টি সমীক্ষা করা হয়। এ সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করা পুরুষদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৭৭ বছর।
শিরভাগ পুরুষই দুঃখ নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করতে চান না। এমন ধারণার প্রতিফলন দেখা গেছে সমীক্ষাতেও। যেকারণে গবেষণায় অংশগ্রহণকারী পুরুষদের কেউই তাদের মনের কষ্ট কারও সঙ্গে শেয়ার করতে চাননি, বরং তা লুকিয়ে রাখতে চেয়েছেন।
গবেষণায় গবেষকদের আরও যে বিষয়টি নজরে আসে তা হলো, খুব কাছের মানুষের কাছেও তারা তাদের কষ্ট বা দুঃখের বিষয়টি গোপনই রেখে দেন। মনের কষ্ট ভুলতে পেশাগত জীবনে বেশি ডুবে যেতে পছন্দ করেন তারা।
পুরুষরা মনে করেন, কর্মব্যস্ততায় মনের দুঃখ-কষ্ট ভুলে থাকা যাবে। তবে এ ধারণাই তাদের ক্ষেত্রবিশেষে মানসিক ধারণার পরিবর্তন ঘটায়।
মানসিক নানা সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে বিভিন্ন জটিল রোগেরও শিকার হন তারা। তাই মনের দুঃখ-কষ্ট চেপে না রেখে পুরুষদের তা শেয়ার করার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]