শিরোনাম
এয়ার কন্ডিশনারের ক্ষতি থেকে বাঁচতে ত্বকের যত্ন
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২১, ১৩:৪৩
এয়ার কন্ডিশনারের ক্ষতি থেকে বাঁচতে ত্বকের যত্ন
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রতিদিনের জীবনযাপনে এয়ার কন্ডিশনার (এসি) এখন আর বিলাসিতা নয়। দূষণ আর বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে তাপমাত্রার পারদ বেড়েই চলছে দিন দিন। ঘর, অফিস, শপিং মল, যানবাহন সব জায়গাতেই এখন এয়ার কন্ডিশনার। ফলে অনেককেই দিনের বড় একটি সময় কাটাতে হচ্ছে এসিতে। কিন্তু এসির শীতল বাতাস শরীর জুড়ালেও ত্বকের জন্য এটি অনেক সময় ক্ষতিকর।


এসিতে থাকলে ত্বক স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারায়। আবার তাপানুকূল জায়গার ভেতরে আর বাইরের তাপমাত্রার যে পার্থক্য, তাতেও ত্বকের আর্দ্রতার ভারসাম্য নষ্ট হয়। যার প্রভাবে ত্বকের ইলাস্টিসিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ধীরে ধীরে ত্বক কুঁচকে যায়।


এজন্য এসিতে থাকার সময়টা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। পাশাপাশি কিছু বেসিক স্কিন কেয়ার রুটিনও মেনে চলা উচিত।


ক্লেনজিং:


মুখমণ্ডল পরিষ্কার করতে সাবান বা ফেসওয়াশের পরিবর্তে ক্লেনজার ব্যবহার করা উচিত। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে ক্লেনজিং ক্রিম আর তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে ক্লেনজিং জেল দিয়ে মুখ পরিস্কার করতে হবে। এতে রোমকূপে জমে থাকা ঘাম, ধুলোময়লা, তেল পরিষ্কার হয়ে যাবে।


টোনিং:


শুধু মুখ পরিষ্কার করলেই হবে না, স্কিন টোন ঠিক রাখতে টোনার ব্যবহার করতে হবে। সম্ভব হলে তুলোয় টোনার লাগিয়ে হালকা করে মুখ মুছে নিন। এতে ত্বকের রক্তসঞ্চালন ভালো হবে। হাতের কাছে অন্য কিছু না থাকলে গোলাপজলও টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন অথবা গ্রিন টিও টোনার হিসেবে দারুণ।


ময়েশ্চারাইজিং:


দীর্ঘ সময় এসিতে থাকলে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা সবচেয়ে জরুরি। এ সমস্যার সমাধান হতে পারে ময়েশ্চারাইজারে। এজন্য দুঘণ্টা পর পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। এক্ষেত্রে বেছে নিন ওয়াটার বাইন্ডিং বা ক্রিম বেজড ময়েশ্চারাইজার। চাইলে বাড়িতেও বানিয়ে নেয়া যায় কেমিক্যাল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার। গ্লিসারিন, গোলাপজল ও অ্যালোভেরা জুস মিশিয়ে নিলেই হয়ে যাবে ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার।


হাত-পায়ের যত্ন:


হাত-পায়ের ত্বকও এসির প্রভাবে শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই প্রতিবার হাত ধোয়ার পর হ্যান্ড লোশন ব্যবহার করতে হবে। দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার কবজি থেকে কনুইয়ের দিকে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করুন। অনেকে হাতের তালুতে ক্রিম ব্যবহার করেন না, এটা উচিত নয়। গোসলের আগে তিলের তেল, আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েল হালকা গরম করে হাতে ম্যাসাজ করুন, সপ্তাহে অন্তত দুবার। গোসলের পর মাঝে মাঝে ভেজা ত্বকেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক থাকবে।


ঠোঁটের যত্ন:


এসিতে ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া খুবই সাধারণ সমস্যা। এর থেকে মুক্তি পেতে এসপিএফযুক্ত লিপবাম সহজ সমাধান। তবে যাঁরা লিপবাম ব্যবহার করতে চান না, তাঁরা ঠোঁটে দুধের সর লাগিয়ে ঘণ্টাখানেক রেখে দিতে পারেন। ঠোঁট বেশি শুষ্ক থাকলে, প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গোলাপজল এবং গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে হবে।


ফেস মাস্ক:


ত্বকের কোমলতা ধরে রাখতে নিয়মিত ফেস মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। তৈরি করে নিতে পারেন প্রাকৃতিক ফেস মাস্ক। একটা পাকা কলা চটকে সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ মধু ও গ্লিসারিন মিশিয়ে একটি ডিমের সাদা অংশসহ মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি মুখে-গলায় ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক হবে মসৃণ।


বিবার্তা/অনামিকা/এসএ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com