শিরোনাম
স্বাভাবিকভাবেই লম্বা হওয়ার সুযোগ থাকে ১৮ বছরের পরও! কীভাবে?
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২১, ১৮:৪১
স্বাভাবিকভাবেই লম্বা হওয়ার সুযোগ থাকে ১৮ বছরের পরও! কীভাবে?
অনামিকা রায়
প্রিন্ট অ-অ+

১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলে-মেয়ে উভয়েরই কিন্তু উচ্চতা বাড়ে। সেক্ষেত্রে মূল জোর দিতে হবে খাবারে। আর নিয়ম করে শরীরচর্চা করতেই হবে। প্রতিদিন অন্তত ৪৫ মিনিট যোগা, ব্যায়াম, সাঁতার এসব করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।


সুন্দর উচ্চতা (Hight) পেতে কে আর না চায়! কিন্তু চাইলেই কি আর হয়ে যায়। উচ্চতা খানিকটা বংশগত। এছাড়াও এর উপর প্রভাব রয়েছে জিনের। এমনও দেখা গিয়েছে দীর্ঘদিন স্কিপিং, দৌড় এসবের পর উচ্চতা বাড়েনি। কিংবা মা-বাবা লম্বা হলেও সন্তান তেমন উচ্চতা পাননি। আবার উল্টোটাও হয়। অভিভাবকদের থেকে সন্তানরাই লম্বা হয়ে যায়। তবে বেঁটে হলে আমাদের সমাজে এখনও তাকে নানা রকম খোঁটা শুনতে হয়। বেঁটে, আর একটু লম্বা হলে ভালো হত, বেঁটের জন্য দেখতে খারাপ লাগছে, মোটা হয়ে গেলে আরও বেশি খারাপ লাগবে- মোটামুটি এই রকম মন্তব্য অনেকেই শুনে এসেছেন। ফলে যাঁদের উচ্চতা কম তাঁরা এই নিয়ে বেশ কষ্টে ভোগেন। উচ্চতার জন্য পুষ্টি, ব্যায়াম সবেরই প্রয়েজন। কিন্তু সাধারণ ভাবে আমাদের ধারণা ১৮ বছর বয়সের পর আর উচ্চতা বাড়ে না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন স্বাভাবিক ভাবেই ১৮ বছরের পরও রয়েছে লম্বা হওয়ার সুযোগ।


যেভাবে বাড়বে উচ্চতা


উচ্চতা যেভাবে নির্ধারণ করা হয়


উচ্চতা মূলত নির্ভর করে জিনের উপর। পরিবারের সবাই যদি লম্বা গড়নের হন তাহলে সেই ছাপ পড়ে সন্তানের মধ্যেও। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে মা লম্বা হলেও সন্তানের উচ্চতা নির্ভর করে বাবার বাড়ির উপর। অর্থাৎ বাার বাড়ির জিনের প্রভাব পড়ে সন্তানের উপর। তবে এমন নয় যে মায়ের বাড়ির বৈশিষ্ট্য সন্তান পান না। এছাড়াও উচ্চতার উপর হরমোনের প্রভাব রয়েছে। হরমোন জনিত কারণেই অনেকের হাইট হয় খুবই বেশি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ১৬ বছরের পর মেয়েদের উচ্চতা আর তেমন ভাবে বাড়েনি। তবে যদি নিয়মিত এক্সারসাইজের মধ্যে থাকা যায়, ব্যাডমিন্টন, টেনিস, সাঁতার ইত্যাদির চর্চা থাকে তাহলে ১৮ বছর পর্যন্ত উচ্চতা বাড়ার সুযোগ থাকে। যদি স্পাইনাল কর্ডে কোনও চোট থাকে সেখান থেকেও কিন্তু প্রভাব পড়ে উচ্চতায়।


পেশির গঠন যত ভালো হবে উচ্চতাও কিন্তু তত ভালো হবে। সেই সঙ্গে সুষম আহারেরও প্রয়োজন। আর তাই যাঁরা খেলোয়াড় হন তাঁদের উচ্চতা এমনিতেই ভালো হয়। তবে বিজ্ঞান বলে, উচ্চতা অনেক খানি নির্ভর করে পুষ্টির উপর। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা বংশ পরম্পরায় অপুষ্টিতে ভুগেছেন তাঁদের বাড়িতে খুব ভালো হাইটের মানুষ কমই আছেন। বৃদ্ধি সেভাবে হয়নি।


১৮ বছর বয়সের পরও যেভাবে উচ্চতা বাড়াবেন


- যাঁদের উচ্চতা প্রথম থেকেই কম, তাঁদের টার্গেট রাখতে হবে ১৮ বছর বয়সের মধ্যেই কীভাবে তা বাড়ানো যায়। খাবার, ব্যায়াম এসবে নজর দিতেই হবে।ওষুধের উপর ভরসা না করে জোর দিন জীবনযাত্রায়।


- ১৮ বছরের পরও তালিকায় এমন কিছু খাবার রাখতে হবে যাতে গ্রোথ ভালো হয়। খাদ্যতালিকা ভালো হতেই হবে। ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ব১২, ভিটামিন ডি, প্রোটিন, দই এসব ডায়েটে রাখতেই হবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় খনিজ খেতে হবে।


- নিয়মিত খেলাধূলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। প্রতিদিন ৪৫ মিনিট করে ওয়ার্ক আউট করতেই হবে। অ্যারোবিক ডান্স শিখতে পারলে ভালো।


- ঘুমেরও প্রয়োজন। বয়স অনুযায়ী পর্যাপ্ত ঘুমের দিকে খেয়াল রাখুন। ঘুম যত ভালো হয়, গ্রোথও তত ভালো হবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত হরমোনের পরীক্ষা করাতে হবে। অনেক সময় হরমোনের সমস্যার কারণে হাইট ভালো হয় না।


- গর্ভবতী অবস্থায় ধূমপান একেবারেই চলবে না। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে প্রেগন্যান্সির সময় যারা ধূমপান করেছেন সেই প্রভাব পড়েছে গর্ভস্থ সন্তানের উপর। তার হাড়, দাঁতের গঠন এবং উচ্চতা কোনওটিই কিন্তু ভালো হয়নি।


- পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়া কিংবা ডেস্কে মাথা রেখে ঘুমনোর অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। এতে কিন্তু বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।


- নিয়মিত যোগা করুন। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কারোর কাছে শিখুন। তাঁর পরামর্শ মতো অভ্যাস করুন। নিয়মিত যোগাভ্যাস করলেও কিন্তু ফল পাবেন।


বিবার্তা/এসএ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com