শিরোনাম
ওজন কমাতে ফুল ক্রিম দুধ খাবেন, নাকি টোনড মিল্ক?
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২১, ১৭:১৭
ওজন কমাতে ফুল ক্রিম দুধ খাবেন, নাকি টোনড মিল্ক?
অনামিকা রায়
প্রিন্ট অ-অ+

ওজন কমানোর জন্য, মানুষ প্রথমে তাদের ডায়েট থেকে চর্বি সরিয়ে দেয়। যা দুধে সর্বোচ্চ পরিমানে থাকে। এখন সবাই স্বল্প ফ্যাটযুক্ত দুধ যেমন টোনড মিল্ক, স্কিমড মিল্ক, সয়া দুধ বা বাদামের দুধ পান করতে শুরু করেছে। তবে ডাবল টোনড এবং স্কিমড মিল্ক ওজন কমানোর জন্য ভালো। এগুলি ফ্যাটবিহীন, যা পান করে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে।


দুধের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। ফ্যাটও থাকে। শরীর সুস্থ রাখতে সব বয়সেরই অন্যতম পানীয় হল দুধ। অনেকেই পছন্দ করেন। অনেকেই আবার করেন না। কেউ আবার অ্যালার্জির জন্য খেতে পারেন না। কিন্তু গরুর দুধ এখন নানা ভাবে বাজারে বিক্রি হয়। ফুল ক্রিম মিল্ক, স্কিমড মিল্ক, ডাবল টোনড মিল্ক, সিঙ্গল টোনড মিল্ক। প্যাকেটের গায়ে গালভরা নাম দেখে তো দুধ কেনেন। কিন্তু জানেন কি কোন দুধ বেশি ভালো ওজন কমানোর ক্ষেত্রে? তার পুষ্টিমূল্যই বা কত? কতটা ক্যালোরি থাকে তার মধ্যে?


স্কিমড মিল্ক কী?


স্কিমযুক্ত দুধ চর্বিহীন। এটিতে মাত্র ০.৫-এর কম ফ্যাট থাকে। অন্যান্য দুধের মতো এটি ক্রিমযুক্ত নয়, বরং পাতলা এবং হালকা। এটি পান করে আপনি কিছুটা পেট অনুভব করবেন। ওজন হ্রাসকারীদের এটি প্রথম পছন্দ। এক গ্লাস পূর্ণ ক্রিম দুধে প্রায় ১০ গ্রাম ফ্যাট থাকে, যখন এক গ্লাস স্কিমযুক্ত দুধে শূণ্য গ্রাম ফ্যাট থাকে।


কম চর্বিযুক্ত উপাদান কোলেস্টেরল হ্রাস করার জন্য ভালো। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ফসফরাস, ভিটামিন ডি এবং এ রয়েছে যা হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে। সবচেয়ে ভালো কথা হ'ল এই দুধটি চিনি মুক্ত, যা ওজন বাড়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে।


ডবল টোনড মিল্ক কী?


এই দুধের থেকে প্রোটিন এবং ফ্যাট পুরোটাই ছেঁকে নেওয়া হয়। শুধুমাত্র জল পড়ে থাকে। ফলে গরম না করেই এই দুধ খাওয়া যায়। হিসেবমতো ওটা দুধ নয় জল। ফলে এই দুধ থেকে ছানা, পনীর, ঘি, মাখন, দই কিছুই তৈরি করা যায় না। ডাবল টোনড মিল্ক স্কিমড মিল্ক বা স্কিমড পাউডার যুক্ত করে তৈরি করা হয়। মহিষের দুধ স্কিমযুক্ত দুধের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করা হয়। যাকে ডাবল টোনড মিল্ক বলা হয়। এই দুধে ফ্যাট এবং ক্যালোরি খুব কম থাকে। সুতরাং ওজন হ্রাসকারী লোকদের এই দুধ পান করতে বলা হয়। ডবল টোনযুক্ত দুধে স্কিমযুক্ত দুধের তুলনায় ১.৫ শতাংশ ফ্যাট থাকে।


সুতরাং, হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের ডবল টন দুধ পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই দুধের বিশেষত্ব হ'ল এটি হজমযোগ্য। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ হওয়ার সঙ্গে এটি ক্যালোরিতে খুব কম। এক কাপ ডবল টোনড মিল্কে কেবল ১১৪ ক্যালোরি থাকে, তবে টোনড মিল্কে ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায় ১৫০।


স্কিমড না ডাবল টোন মিল্ক কোনটি ভালো?


যদিও দেখা যায় ওজন কমানোর জন্য উভয় দুধই ভালো। উভয়ে ফ্যাট এবং ক্যালোরি খুব কম। তবে ওজন কমানোর জন্য ডবল টন দুধের চেয়ে স্কিমযুক্ত দুধ খাওয়াই বেশি উপকারী। কারণ এতে ডাবল টোনড মিল্কের চেয়ে কম ফ্যাট এবং প্রচুর প্রোটিন রয়েছে। প্রোটিনের দুধ খেলে পেট দীর্ঘকাল ধরে থাকে, যার কারণে বার বার কিছু খাওয়ার ইচ্ছা জাগে না। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।


বিবার্তা/এসএ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com