টক, মিষ্টি স্বাদের জন্য অনেকেরই খাদ্যতালিকায় জায়গা করে নেয় এই ফল। পাশাপাশি এর একাধিক পুষ্টিগুণ শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে।
শীতের শেষ, গরমের শুরু। এই সময় আম, জাম, কাঁঠালের সঙ্গে সঙ্গেই আরও যে রসালো ফল পাওয়া যায় তার মধ্যে আঙুর অন্যতম। টক, মিষ্টি স্বাদের জন্য অনেকেরই খাদ্যতালিকায় জায়গা করে নেয় এই ফল। পাশাপাশি এর একাধিক পুষ্টিগুণ শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে।
এই ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন (Anthocyanin) থাকে। পাশাপাশি থাকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস, ক্যারোটেনয়েডস, ভিটামিন C, A, D, পটাসিয়াম ও ক্যালসিয়াম। এই ফল শরীরে পুষ্টি জোগায় ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এসবের পাশাপাশি ত্বকে বলিরেখা পড়াও দূর করে।
তাই এখনও যাঁরা এই ফল খাদ্য তালিকায় অ্যাড করেননি, তাঁরা এখনই করতে পারেন। কীভাবে এই ফল খাবেন? রইল টিপস-
১) স্মুদি-
গরমকালে ঘন আঙুরের স্মুদি খেতে কার না ভালো লাগবে। ঠাণ্ডা আঙুরের স্মুদির যে কারও মুখের স্বাদ পালটে দিতে পারে। এর পাশাপাশি আঙুর এমন একটি ফল যা অন্য যে কোনও ফলের সঙ্গে অ্যাড করা যায়। যেমন- কলা, স্ট্রবেরি বা তরমুজের রস বানালে তার সঙ্গে আঙুরের রসও যোগ করা যেতে পারে।
২) স্যালাড -
যে কোনও ধরনের ফ্রুট স্য়ালাডে বা চিকেন স্যালাডে একটু মিষ্টি ও টক স্বাদ দিতে এই ফল ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন- গ্রিলড চিকেন ও আঙুরের স্যালাড বানানো যেতে পারে, যা লেবু দিয়ে সাজিয়ে দিলে মন্দ লাগবে না। এছাড়াও অ্যাভোকাডো-আঙুরের স্যালাডও খেতে ভালো লাগে।
৩) আঙুর ও ব্রেকফাস্ট -
ব্রেকফাস্ট প্ল্যাটারে অনেকেই আঙুরের রস রাখেন। কর্ণফ্লেক্স, ওটসের সঙ্গে আঙুর ছড়িয়ে খাওয়া যায়। বা বানানো যেতে পারে এই রেসিপিগুলি-
ক) কিনুয়া উইথ গ্রেপস, পিস্টাচিওস
খ) অ্যাভোকাডো টোস্ট উইথ গ্রেপসগ - আঙুর দিয়ে টার্ট
৫) মাফিন-
পি-নাট বাটার দিয়ে আঙুরের মাফিন তৈরি করা যেতে পারে। বা ক্র্যানবেরি, আঙুর ও দারুচিনি দিয়ে বেক করা যেতে পারে মাফিন।
৬) আঙুরের জুস-
অন্যান্য যে কোনও ফলের মতো আঙুরেরও জুস বানানো যেতে পারে। বাড়িতেই কোনও জুসারে সহজে তৈরি হয়ে যায়। যা ব্রেকফাস্টে বা লাঞ্চে হালকা খাবারের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।
বিবার্তা/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]