দাগ যেমন চরিত্রে মানায় না, তেমনই ভালো দেখায় না জামা-কাপড়েও! সে বাড়িতে পরারই হোক কী বাইরের! সাবান ঘষে ঘষে হাত ব্যথা হয়ে গেছে অথচ নাছোড়বান্দা দাগ আর উঠতেই চাইছে না- এই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি পড়তে হয়েছে আমাদের সবাইকেই! তাই হাতকে কষ্ট দেয়া বন্ধ হোক, বাঁচানো যাক ডিটারজেন্টের খরচও! বদলে এগোনো যাক কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির দিকে যা নাছোড়বান্দা দাগের যম বললেও খুব একটা ভুল হয় না!
বেকিং সোডা- দাগটা সদ্য লাগলে সামান্য জলে বেকিং সোডা গুলে নিয়ে দাগের উপরে মিনিট পনেরো রেখে দিতে হবে। তার পরে ধুয়ে ফেললেই ঝামেলা শেষ! তবে দাগটা পুরনো হলে ১ চামচে বেকিং সোডা অল্প গরম জলে গুলে তার উপরে লাগিয়ে, সেটা সোডা-মেশানো জলে আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এর পর জলে ধুয়ে ফেললেই দাগ গায়েব!
লবণ আর ভিনিগার- ব্যবহার করা যায় আলাদা ভাবে, অথবা একসঙ্গেও! এক্ষেত্রে এই দুই উপাদানের যে কোনও একটা বা দু'টোই হাল্কা গরম জলে মিশিয়ে তার মধ্যে কাপড়টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। মিনিট দশেক পরে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিলেই দাগ চলে যাবে।
লেবুর রস- দাগের জায়গাটায় একটু লেবুর রস মাখিয়ে রেখে তার পরে ধুয়ে নিলেও দাগ চলে যায়। বাড়তি পাওনা হয় জামাকাপড়ে একটা তরতাজা সুবাস!
টুথপেস্ট- শুনে কেমন-কেমন লাগছে? কিন্তু এটাও জামাকাপড় থেকে দাগ তোলার যম! সতরঞ্চি, কম্বল, টেবিল ম্যাট, তোয়ালে- এই জাতীয় কাপড়ের জিনিসে দাগের জায়গায় মিনিট দশেক টুথপেস্ট লাগিয়ে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেললেই দাগ উঠে যাবে।
ডিমের কুসুম আর বিয়ার- খেতে যেমন ভালো, তেমন দাগ তুলতেও! এই দুই উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে দাগের জায়গায় লাগিয়ে মিনিট পাঁচেক রেখে দিলেই হবে! তবে পরে ডিমের গন্ধটা তোলার জন্য একবার সাবান দিয়ে কাপড়টা কিন্তু কেচে নেওয়া জরুরি! তবে সব শেষে একটা কথা মাথায় না রাখলেই নয়! কাপড় যদি খুব দামি হয়, সেক্ষেত্রে গরম জল খুব বেশিক্ষণ ব্যবহার করা যাবে না। না হলে কাপড়ের ক্ষতি হতে পারে!
বিবার্তা/অনামিকা/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]