শিরোনাম
আপনার শরীরের ইমিউনিটি কি কমে যাচ্ছে? বুঝে নিন এই ৫ লক্ষণে
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:৪৪
আপনার শরীরের ইমিউনিটি কি কমে যাচ্ছে? বুঝে নিন এই ৫ লক্ষণে
অনামিকা রায়
প্রিন্ট অ-অ+

সাধারণত মানুষ কিছু ইমিউনিটি নিয়েই জন্মায়। একে বলে ইনেট ইমিউনিটি। আর প্রকৃতিতে থাকতে থাকতে অর্জন করে অ্যাডাপ্টিভ ইমিউনিটি। এই ইমিউনিটিও দু’ভাগে বিভক্ত। একটা হল ন্যাচারালি অ্যাকোয়ার্ড। পরিবেশে থাকতে থাকতে বিভিন্ন ভাইরাসের বিপক্ষে শরীর অনাক্রম্যতা তৈরি করে। একে বলে ন্যাচারালি অ্যাকোয়ার্ড অ্যাডাপ্টিভ ইমিউনিটি। অন্যটি হল আর্টিফিশিয়ালি অ্যাকোয়ারড বা কৃত্রিম ইমিউনিটি।


ইমিউনিটি সক্রিয় হলে তা সারাজীবন সুরক্ষা দিতে পারে। করোনাকালে ওষুধের দোকান বা অনলাইন মার্কেট সর্বত্রই বিকোচ্ছে ইমিউনিটি বুস্টার। খাদ্যতালিকাও সাজানো হচ্ছে ইমিউনিটি বর্ধক খাবারে। রোজই বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়ার সম্মুখীন হই সকলে। শরীর নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় তার সঙ্গে যুঝতেও সক্ষম। তাই ইমিউনিটি হেলাফেলার নয়, তা জরুরিও বটে! শরীরে ইমিউনিটি কি কমে যাচ্ছে কিনা তা বুঝবেন কী করে?


অ্যালার্জির সমস্যা-


অনেকেরই মাঝে মাঝে নানা রকম অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়। আবহাওয়ার পরিবর্তনে জ্বর, সর্দি-কাশিতেও ভুগতে হয়। যদি কোনো খাবার থেকে ত্বকে জ্বালা, চুলকানির মতো অস্বস্তি শুরু হয়, যদি চোখ থেকে অনবরত জল পড়তে থাকে বা হঠাৎ করে পেটের সমস্যা বেড়ে যায়, তবে তা দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।


ক্ষত সারতে সময় লাগে-


যদি শরীরের কোনও অংশে কেটে বা ছড়ে যায় তা সারতে অনেক বেশি সময় লাগে বা সর্দি-কাশি, জ্বর অথবা কোনও রকম সংক্রমণ নিরাময় হতে অনেক বেশি সময় লাগে, তাহলে তা দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতার লক্ষণ বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। তবে ক্ষত সারতে সময় লাগলে তা ডায়াবেটিসের লক্ষণও হতে পারে।


পেটের সমস্যা-


যদি বারবার পেটের সমস্যা দেখা দেয়, কোষ্ঠকাঠিন্য, হজমের সমস্যা বা গ্যাস অম্বোলে ঘন ঘন ভুগতে হয়, তাহলে তা দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতার লক্ষণ বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে আন্দাজে ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই জরুরি।


অবসন্ন, ক্লান্ত লাগলে-


শরীর যদি বেশির ভাগ সময় অবসন্ন, ক্লান্ত লাগে বা পর্যাপ্ত ঘুমের পরেও যদি শরীরে ঝিমুনি ভাব থেকে যায়, তাহলে বুঝতে হবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা হয়তো সঠিক ভাবে কাজ করছে না। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


সর্দি-কাশি, জ্বর-যদি দেখেন, বছরের অধিকাংশ সময় সর্দি-কাশি, জ্বর-জ্বালা-সহ নানা শারীরিক সমস্যায় ঘন ঘন ভুগতে হচ্ছে বা অসুস্থ হলে সেরে উঠতে দীর্ঘদিন সময় লেগে যাচ্ছে, তাহলে বুঝতে হবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা সঠিক ভাবে কাজ করছে না। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াই জরুরি।


বিবার্তা/এস

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com