শিরোনাম
বাচ্চাদের স্মার্টফোন দেওয়া নিয়ে চিন্তায়? কীভাবে সামলাবেন, রইল টিপস!
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২১, ২১:৩৮
বাচ্চাদের স্মার্টফোন দেওয়া নিয়ে চিন্তায়? কীভাবে সামলাবেন, রইল টিপস!
অনামিকা রায়
প্রিন্ট অ-অ+

বর্তমানে সকলের কাছেই প্রায় স্মার্টফোন থাকে। স্মার্টফোন থাকা মানেই ইন্টারনেটে অ্যাকসেস ও অন্য এক দুনিয়ায় প্রবেশ। যেখানে ভার্চুয়ালি সবই পাওয়া যায়। এখন বিষয় হচ্ছে, স্মার্টফোনের খারাপ দিক যেমন আছে, ভালো দিকও রয়েছে। ইন্টারনেটে এমন কিছুও পাওয়া যায় আজকাল যা এমনিতে অ্যাকসেস করা হয় তো সম্ভব হবে না। আর প্যানডেমিক আজ প্রায় সব টিনেজারের হাতেই স্মার্ট ফোন তুলে দিয়েছে।


কিন্তু এই বয়সে কী ব্যক্তিগত ফোন থাকা উচিৎ?


এই নিয়ে অনেক অভিভাবক, শিক্ষক বা বিশেষজ্ঞদের মধ্যেই মতপার্থক্য রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, এই বয়সে স্মার্টফোন ব্যবহার করা যেতেই পারে কিন্তু তা যেন ব্যক্তিগত না হয়। অনেকে আবার মনে করেন, এই বয়সে স্মার্টফোন ব্যবহার করা শুরু করলে, ব্যক্তিগত ফোন থাকলে বাচ্চারা অনেক বেশি স্বাধীন মনে করে নিজেদের। পাশাপাশি অনেক কিছু খারাপও শিখতে পারে।


অনেক বাবা-মা'ই বলে থাকেন, ফোনের জন্য পড়াশোনা নষ্ট হচ্ছে। অনেকের আবার মত, ফোনেই তো পড়াশোনা হচ্ছে। ফলে হাজারও মতের মাঝে বর্তমানে বাস্তব হল, ফোন বাচ্চাদের, বিশেষ করে টিনেজারদের দিতেই হবে। কিন্তু দেওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ইন্টারনেট বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের নিয়ম জানতে হবে ও পাশাপাশি মাথায় রাখতে হবে আরও কয়েকটি বিষয়-


১) কখনও কারও সঙ্গে পাসওয়ার্ড শেয়ার করা যাবে না


বাচ্চাদের শিখিয়ে দিতে হবে প্রথমেই যে, ফোন সংক্রান্ত বা অন্যান্য কোনও ধরনের পাসওয়ার্ড শেয়ার করা উচিৎ হবে না। তাদের বলে দিতে হবে, পাসওয়ার্ড থাকলে ফোন ও তথ্য সুরক্ষিত থাকবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে বাবা-মায়েদের হস্তক্ষেপ করতে হবে এবং দেখে নিতে হবে কী শেয়ার করছে তারা।


২) নিয়মিত সুরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য চেক করে নিতে হবে


স্মার্টফোন মানেই আজকাল বেশিরভাগ মানুষেরই সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকসেস থাকে। সেক্ষেত্রে তাদের ফ্রেন্ডলিস্ট, পোস্ট ও পার্সোনাল ইনফো, কী কী তারা শেয়ার করছে সে দিকে নজর রাখলে ভালো।


৩) ব্যক্তিগত কোনও রকমের তথ্য শেয়ার করা চলবে না


স্কুল, স্কুলের ঠিকানা, বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর বা এই ধরনের কোনও রকম ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে শেয়ার না করলে ভালো। এতে কেউ ট্র্যাক করতে চাইলে পারবে না। তথ্য নিয়ে অসাধু কাজে ব্যবহারের আশঙ্কাও থাকবে না। অর্থাৎ সমস্ত পরিচয় না দিলেই ভালো।


৪) নো ফোন টাইম


অনেক অভিভাবকেরই অভিযোগ থাকে, ছেলে-মেয়েরা ফোনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে সারা দিন। এতে পড়াশোনার ক্ষতি হয়। অনেকের ফোনের নেশাও হয়ে যায়। তাই তাদের জন্য নো-ফোন টাইম নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। অর্থাৎ দিনের বেশ কিছু নির্দিষ্ট সময়, যেখানে বাচ্চারা ফোন ব্যবহার করবে না, সেটা বেঁধে দিতে হবে। যেমন খাবার সময়, পড়ার সময়, স্কুল যাওয়ার সময় বা খেলাধূলা করার সময়।


৫) ট্রোলিং থেকে সাবধান


সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং বিষয় প্রায়ই হয়ে থাকে। এতে অনেক সময়েই অনেক ক্ষতি হয়। জেলে পর্যন্ত যেতে হতে পারে। ফলে এসব থেকে দূরে থাকার জন্য বাচ্চাদের বোঝাতে হবে। পারলে তাদের ট্রোলিংয়ের খারাপ দিক সম্পর্কে অবগত করতে হবে।


৬) অনলাইনে কিছু শেয়ার করার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা


অচেনা কারও সঙ্গে ফোন নম্বর বা ব্যক্তিগত কোনও তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অচেনা মানুষজনের সঙ্গে মেলামেশা না করে, নিজের পরিচিত সার্কেল বানিয়ে নিলে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।


বিবার্তা/এসএ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com