শিরোনাম
এই শীতে কীভাবে সুস্থ রাখবো শিশুদের?
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:১৬
এই শীতে কীভাবে সুস্থ রাখবো শিশুদের?
অনামিকা রায়
প্রিন্ট অ-অ+

শীতকালীন অসুস্থতা কিন্তু কিছুটা আমাদের নিজদের রোজকার ত্রুটির জন্যই হয়। বড়দের মতো কোনো কোনো শিশুরও শীতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়, বাড়ে পেটের রোগ, ঠান্ডা লেগে সর্দি কাশি বা পানি কম খাওয়ার জন্য ডিহাইড্রেশন। এছাড়াও অনেক সময় দেখা যায় যথাযথ প্রটেকশন নেয়ার পরেও সর্দি কাশি বা পেটের সমস্যা হচ্ছে। শিশুদের এই অসুস্থতার কারণ কি জানেন?


প্রতিবছর তাদের শীতকাল কাটে পিকনিক, চিড়িয়াখানা বা জাদুঘরে ঘুরতে গিয়ে। কিন্তু এবার সবকিছুই পাল্টে গেছে, প্রায় ১০ মাস ধরে তারা গৃহবন্দি, স্কুলে যাওয়ার আনন্দ থেকেও তারা বঞ্চিত। এই সময় তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেটা দেখা যাচ্ছে তা হলো ওজন বৃদ্ধি বা ওভার ওয়েটের সমস্যা। এ ছাড়াও সর্দি কাশি বা ডিহাইড্রেশন তো আছেই। খুব সহজেই কিন্তু আমরা ওদেরকে এই সমস্যাগুলো থেকে বার করে আনতে পারি, প্রতিদিনের অভ্যাসে কয়েকটা বদল এনেই ---


১. ওরা দীর্ঘ ৭-৮ মাস ধরে অনলাইনের বেড়াজালে আবদ্ধ, সারাদিন ফোন বা কম্পিউটারের সামনে বসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চোখ। তাই সারাদিনে ৪-৫ বার ঠান্ডা পানিতে চোখ ধুয়ে নেওয়া খুব দরকার, কিন্তু শীতকাল আসা মানেই পানি এড়িয়ে চলার প্রবণতা দেখা যায়। সেই অভ্যাস কিন্তু সরাতে হবে।


২. বাচ্চাদের কে সবসময় পরিবারের সবার সাথে এক টেবিলে বসে খাওয়ার কথা বলি আমরা, কিন্তু এই অনলাইন ক্লাসের ঘেরাটোপে তা প্রায় হয়ে ওঠেনা । দরকারে নিজেদের খাবার সময় ওদের মতো করে পাল্টে নিন, চেষ্টা করুন ওদের অফ টাইমে সবাই একসাথে বসে খেতে।


৩. শীতকালে অনেক সবজি থাকা সত্তেও কিন্তু ওদের সেটা খাওয়া হয়ে ওঠেনা, বাচ্চারা সাধারণত তরকারি আকারে সবজি খেতে চায়না, এখনতো আবার অনলাইন ক্লাস তাদের খাবার সময়টাও বেঁধে দিয়েছে। তাই চেষ্টা করুন এমন কিছু খাবার তাদের দিতে যাতে শীতের সব সবজি তাতে থাকে আবার তাদের কাছে গ্রহণযোগ্যও হয়। করে দিতে পারেন সব সবজি দিয়ে সুজি বা সবজি ও ডিম দিয়ে প্যানকেক। দুপুরে খিচুড়িও চলতে পারে। স্যালাড ওরা এমনিতে খেতে চায়না, করে দিতে পারেন ডিম, স্প্রাউট সহযোগে রেনবো স্যালাড, তাতে লেটুসপাতা, ধনে পাতা গাজর সবকিছুই যোগ করতে পারেন।


8. স্কুল বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জায়গা। এখনতো সেটাও বন্ধ। শীতকাল এমনিতেই আলস্য আনে, তাই এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন নিয়ম করে ওদের যোগাসন ও কিছু ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করান, আপনারা নিজেও যোগ দিন ওদের সাথে, উৎসাহ বাড়বে এতে ওদের। সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করান, সকালের দূষণ মুক্ত বাতাস কিন্তু প্রাণায়ামের জন্য আদর্শ, প্রতিদিন এই অভ্যাস করান ওদের।


৫. ঠান্ডার জন্য কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ওরা পানি খাওয়ার পরিমান কমিয়ে দেয়। সেইদিকে কিন্তু অবশ্যই নজর দিতে হবে। কিছু সময় এর মধ্যে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি খেতে হবে এই নিয়ম করে দিন, একটা পানির বোতল দিয়ে রাখতে পারেন ওদের কাছে।


৬. অনেক সময় দেখা যায় প্রয়োজনীয় গরম কাপড় পড়া সত্ত্বেও ওরা সর্দি কাশিতে ভুগছে, এর কারণ অনেক ক্ষেত্রেই কিন্তু অতিরিক্ত গরম জামা পড়া হতেই পারে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত গরম জামা পড়লে কিন্তু ভিতরে ঘাম বসেও সর্দি হতে পারে, এটা আমরা ভুলে যাই অনেক ক্ষেত্রেই।


৭. শীতকালে বাচ্চাদের স্নানের প্রতি অনীহা দেখা যায় অনেক সময়ই। পানিতে কিছু সুগন্ধ যুক্ত তেল বা বাথ সল্ট মিশিয়ে দিতে পারেন,যা ওদের আকর্ষণ করবে।


বিবার্তা/অনামিকা/জাই


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com