প্রতিদিন চুল আঁচড়ানোর পর যখন চিরুনির দিকে তাকান তখন প্রায়ই বুক কেঁপে ওঠে, তাই না? চুল পড়ে যাওয়ার এমন কষ্টে আছেন অনেকেই যারা অনেক কিছু চেষ্টা করেও চুল পড়া কমাতে পারছেন না।
আপনারা হয়তোবা প্রাকৃতিক উপায়ের কথা ভুলেই গেছেন। অথচ চুল পড়া কমাতে এর থেকে ভালো উপায় নেই বললেই চলে। চলুন এমন কিছু প্রাকৃতিক উপায় সম্বন্ধে জেনে নিন:
গরম তেল মাসাজ: ভিটামিন ই সমৃদ্ধ যে কোন তেল (নারকেল, অ্যালমন্ড, সরিষার তেল ইত্যাদি) হালকা গরম করে মাথায় মাসাজ করলে চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই মাসাজের পূর্ণ উপকার পেতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তেল দিয়ে মাথা মাসাজ করে শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
পিঁয়াজের রস: পিঁয়াজে রয়েছে উচ্চ মানের সালফার, যা চুলের গ্রন্থিতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এছাড়াও এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান বহন করে, যা জীবাণু এবং পরজীবী ধ্বংস করে দেয়। কয়েকটি পিঁয়াজ পিষে বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে রস বের করে নিন। এই রস মাথার ত্বকে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।
আলুর রস: আলুর মধ্যে থাকে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, কপার এবং নায়াসিন যা চুলের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলের অভাব পূরণ করে। ফলে চুলের শুষ্ক এবং ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া কমে আসে। পরিষ্কার কিছু আলু পিষে এর রস সরাসরি স্ক্যাল্পে ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা রেখে শুকিয়ে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
নারকেলের দুধ: ফ্যাট এবং প্রোটিন চুলের পুনর্গঠন করে, এবং চুল পাতলা হওয়া এবং চুল পড়া রোধে সাহায্য করে। নারকেলের দুধে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট ও প্রোটিন পাওয়া যায়। নারকেলের দুধ মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।
নিম: অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় নিম খুশকি দূর করার জন্য খুবই উপযোগী। এটি স্ক্যাল্পের নিচের রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে এবং চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায়। ফলে মাথার ত্বক সুস্থ থাকে এবং চুল লম্বা হয়। একটি পাত্রে পানি নিয়ে তার মধ্যে কিছু নিম পাতা দিয়ে ফুটান। পানি ফুটে অর্ধেক হয়ে গেলে পাত্রটি নামিয়ে রেখে মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ঠাণ্ডা হলে এই মিশ্রণটি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।
আমলকি: প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় আমলকি চুলকে শক্ত ও মজবুত করে। ভিটামিন সি কোলাজেন প্রস্তুত করতে সাহায্য করে যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি আয়রন শোষণেও সাহায্য করে যা চুলকে শক্ত ও মজবুত রাখে এবং চুল পড়া রোধে সহায়তা করে। কয়েকটি শুকনা আমলকি নারকেল তেলের মধ্যে দিয়ে গরম করুন। তেলের রং কাল হয়ে আসলে তেলটি নামিয়ে ঠাণ্ডা করে মাথায় মাসাজ করুন। ২০ মিনিট পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বিবার্তা/জিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]