সুস্থ থাকা সৃষ্টিকর্তার নিয়ামত। তবে সুস্থ থাকতে আপনাকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। কারণ অসুস্থ থাকলে আপনার প্রতিদিনের জীনযাত্রায় তার প্রভাব পড়বে।
তাই নতুন বছরের শুরুতেই আমরা অনেক রকম পরিকল্পনা করে থাকি বা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। কিন্তু ধীরে ধীরে সেসব ভুলে যাই। তবে ভুলে গেলে হবে না। সচেতন হতে হবে।
নিজেকে সুস্থ রাখতে কিছু উপায় মেনে চলা জরুরি। আসুন জেনে নিই নতুন বছরের সুস্থ থাকতে যা করবেন-
১. অতিরিক্ত ওজন কমানো আর সঠিক ডায়েট করতে হবে।
২. কোনো খাবারগুলো আপনার জন্য ভালো আর কোনগুলো নয়, তা জেনে খাবার খেতে হবে। এ ছাড়া পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
৩. প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পান করুন, এটি হজমশক্তি বাড়াবে।
৪. প্রতিদিন সকালে আর সন্ধ্যায় আপনি যে কোনো ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন। প্রতিদিন সকালে অন্তত পাঁচ মিনিট হাঁটাচলা, সিঁড়ি বেয়ে ওঠা এবং দৌড়াতে চেষ্টা করুন। ব্যায়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এতে আপনাকে সুস্থ রাখবে।
৫. শরীরকে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম দিন। যখন আমরা ঘুমাই তখন আমাদের শরীরের অঙ্গগুলো কাজ করার শক্তি ফিরে পায়।
৬. সুস্থ থাকতে ছাড়তে হবে ধূমপান ও মদ্যপান। একটানা কাজের মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিন। একটানা বসে থাকা বা একটানা কাজ করে যাওয়া ধূমপান ও মদ্যপানের মতোই ক্ষতিকর।
এছাড়া সুস্থ থাকতে কী খাবেন?
খাবার তালিকায় প্রচুর শাক-সবজি ও ফল রাখুন। বাজারে নানারজম তাজা ফল পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে আপেল ও নাশপতির মতো ফল রাখুন খাবার তালিকায়। লেবু এবং আমলকিও খেতে হবে নিয়মিত। প্রতিদিন পর্যাপ্ত ভিটামিন সি গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিনের খাবারের মাধ্যমেই ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস প্রবেশ করে আপনার শরীরে, আপনি ভিতর থেকে শক্তপোক্ত হয়ে ওঠেন।
বিশেষ চা খান:
আপনার চা খাওয়ার অভ্যাস আছে নিশ্চয়ই? প্রতিদিনের চায়ে আদা যোগ করতে পারেন। সেইসঙ্গে আদা, কাঁচা হলুদ আর গোলমরিচ ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে গরম থাকতে থাকতে চায়ের মতো পান করুন দিনে দু’বার। এর মধ্যে অর্ধেকটা লেবুর রস মিশিয়ে দিলে আরো ভালো ফল পাবেন।
চা ধরণ:
সাদা, কালো, সবুজ সব ধরনের চায়েই কেটচিন নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে তা ঠাণ্ডা লাগার হাত থেকে আপনাকে বাঁচাতে সক্ষম। তবে চিনি, দুধ দিয়ে কড়া করে ফোটানো চায়ে আপনি সেই উপকার পাবেন না। ক্যামোমাইল বা জেসমিনের মতো ফ্লেভার দেয়া চা পান করতে পারেন।
প্রতিদিন একগ্লাস দুধ খান
আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ভেতর থেকে আরো শক্তিশালী করে তোলে দুধ। তাই অল্প হলুদ বা দারুচিনি মেশানো দুধ রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। দুধের ভিটামিন ডির প্রভাবে সুস্থ থাকবেন ঋতু পরিবর্তনের সময়েও।
পাতে থাকুক মাছ ও মাংস
প্রতিদিন খাবার তালিকায় থাকুক পর্যাপ্ত মাছ কিংবা মাংস। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের যেকোনো প্রদাহকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই অতি অবশ্যই মাছ, কাঁকড়া, চিংড়ি ইত্যাদি খান। খেতে পারেন মুরগি বা টার্কির মতো সাদা মাংস।
এক টুকরো চকোলেট
চকোলেট খেতে ভালোবাসেন নিশ্চয়ই? তাহলে চকোলেটও থাকুক পাতে। তবে অবশ্যই তা যেন ডার্ক চকোলেট হয়। এর খাঁটি কোকোর পলিফেনল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তবে চিনি মেশানো চকোলেট এড়িয়ে চলুন।
বিবার্তা/ শহিদুল/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]