দেশীয় বাজারে যে সব ত্বক ফর্সাকারী পণ্য পাওয়া যাচ্ছে এর বেশিরভাগই অতিমাত্রায় মিথাইল পারদযুক্ত। যা ব্যবহারকারীকে উচ্চমাত্রায় ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
কসমেটিকসে পারদের গ্রহণযোগ্য মাত্রা ১পিপিএম হলেও বাংলাদেশে কিছু জনপ্রিয় ফেয়ারনেস ক্রিমে পারদের মাত্রা ৩০০০-৫০০০ পিপিএম।
পারদ খুব সহজেই ত্বক থেকে শোষিত হয়ে আমাদের দেহে প্রবেশ করে এবং শরীরের নানা স্থানে ধীরে ধীরে জমতে থাকে।
পারদযুক্ত এসব ক্রিম ব্যবহার তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দিলেও শরীরে জমে থাকা পারদের প্রভাব থেকে যায়। পারদ বিষক্রিয়ার সবচেয়ে বড় ক্ষতিকর দিক হলো কিডনি নষ্ট হওয়া।
পারদ মূলত কিডনির নেফ্রোটিক সিনড্রোম ক্ষতিগ্রস্ত করে। নেফ্রোটিক সিনড্রোম হলো- কিডনীর এমন একটা রোগ যাতে কিডনী দিয়ে দেহের খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন এলবুমিন বের হয়ে যায়, রক্তে এলবুমিন এর মাত্রা কমে যায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় ও শরীরে পানি জমে পুরো শরীর ফুলে যায়।
আমাদের স্নায়ুতন্ত্র তথা ব্রেন ও নার্ভের ওপর পারদের মারাত্মক বিষক্রিয়া আছে। এর প্রভাবে অস্থির লাগা, বিষণ্ণতা, সাইকোসিস, স্মৃতিভ্রষ্ট হওয়া, হাত-পা কাঁপা, দেখতে ও শুনতে অসুবিধা হওয়া ইত্যাদি হতে পারে।
সবচেয়ে মারাত্মক বিষয় হলো গর্ভবতী মেয়েরা এসব ক্রিম ব্যবহারের কারণে তাদের গর্ভস্থ শিশুর ব্রেন ডেভেলপমেন্ট বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
যে ত্বকের সৌন্দর্যের জন্য এসব ক্রিম ব্যবহার করা হয় দীর্ঘমেয়াদে সেই ত্বকেরই সর্বনাশ করে এই পারদ। পারদের কারণে ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় সহজেই ত্বকে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। এছাড়াও ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ ও র্যাশ হতে পারে।
বিবার্তা/আবদাল/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]