শিরোনাম
ফেরিঘাটে তিতাসের মৃত্যু: ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০১৯, ১৩:৫৪
ফেরিঘাটে তিতাসের মৃত্যু: ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটে যুগ্ম সচিবের অপেক্ষায় থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা ফেরি না ছাড়ায় স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় তিন কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি যুগ্ম সচিব ও ফেরির ম্যানেজারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়।


মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) মানবাধিকার সংগঠন লিগ্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড পিপলস রাইটস’র চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জহির উদ্দিন লিমন জনস্বার্থে এ রিট করেন।


বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।


আবেদনে তিতাস ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল এবং যে কোনো মুমূর্ষু রোগীর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফেরি পারাপার নির্বঘ্ন করার আর্জি জানানো হয়েছে।


রিটে নৌপরিবহন সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান, যুগ্ম সচিব আবদুস সবুর মণ্ডল, মাদারীপুরের ডিসি, পুলিশ সুপার, কাঁঠালবাড়ি ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক সালাম হোসাইন মিয়া ও কাঁঠালবাড়ি থানার ওসিকে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নড়াইল জেলার কালিয়ার পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তিতাস ঘোষ (১১) গুরুতর আহত হয়। ওই সময় তাকে খুলনার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার পরিবার আইসিইউ সংবলিত একটি অ্যাম্বুলেন্সে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।


রাত ৮টার দিকে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুটের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ১ নম্বর ভিআইপি ফেরিঘাটে পৌঁছায় অ্যাম্বুলেন্সটি। তখন কুমিল্লা নামে ফেরিটি ঘাটে যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় ছিল। সরকারের এটুআই প্রকল্পের যুগ্ম সচিব আবদুল সবুর মণ্ডল পিরোজপুর থেকে ঢাকা যাবেন- তাই ওই ফেরিকে অপেক্ষা করার জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঘাট কর্তৃপক্ষকে বার্তা পাঠানো হয়।


তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফেরিতে ওঠে অ্যাম্বুলেন্সটি। কিন্তু এর মধ্যেই মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে মাঝপদ্মায় অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যায় স্কুলছাত্র তিতাস।


পরিবারের অভিযোগ, তিতাসকে বাঁচাতে তারা ফোন করেন জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ। সাহায্য চান ঘাটে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদেরও। কিন্তু কারো অনুরোধই রাখেননি ঘাট কর্তৃপক্ষ।


জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পারাপারের ব্যাপারে আমি ফেরি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। ১ নম্বর ঘাট দিয়ে জরুরি অ্যাম্বুলেন্স এবং সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা পার হয়ে থাকেন। তবে সেখানে মুমূর্ষু রোগীর ব্যাপারে ব্যবস্থা না নিয়ে যদি ফেরি ছাড়তে দেরি করা হয়, তাহলে কর্তৃপক্ষ সেটি ভুল করেছে।’


বিবার্তা/রবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com