জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি হাইকোর্টে খুব শিগগিরই হবে।

জামিন আবেদনটি খালেদা জিয়ার আইনজীবী উপস্থাপন করলে আদালত এ আদেশ দেয়।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রবিবার আবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদনটি জমা দেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এর আগে ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসনের খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসাথে এ মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া অর্থদণ্ড আপিল শুনানি স্থগিত করে এ মামলার যাবতীয় নথি ২ মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেয় আদালত।

সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ জুন মামলার নথি হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়। এরপর এ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

আদেশের পর আইনজীবী জয়নুল বলেন, গত সপ্তাহে আমরা এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নিয়ে গিয়েছিলাম। আদালত বলেছিল, মামলার রেকর্ড এলেই শুনানি করবেন। এর মধ্যে রেকর্ড এসে গেছে। সেজন্য আজ আমরা আবার জামিন আবেদন নিয়ে গিয়েছি।

তিনি বলেন, আদালত বলেছে, খুব সহসাই তারিখ দেবেন। লিগ্যাল জুরিসপ্রুডেন্স অনুযায়ী, এসব মামলায় আদালত সাধারণত জামিন দিয়ে থাকে। আমরাও আশা করছি, খালেদা জিয়া এই মামলায় জামিন পাবেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড দেন আদালত।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। পরে আপিল আদালতের রায়ে সাজার মেয়াদ বৃদ্ধি পায়।

বিবার্তা/জাকিয়া