শিরোনাম
নগরীকে বাসযোগ্য করতে দুই সিটিকে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ
প্রকাশ : ১৫ মে ২০১৯, ১৪:৫৫
নগরীকে বাসযোগ্য করতে দুই সিটিকে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

মশা, বায়ুদূষণ ও জলাবদ্ধতা রোধে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহেলা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট।


বায়ুদূষণ রোধে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান দুই নির্বাহীর ব্যাখ্যা শেষে বুধবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মন্তব্য করে।


এছাড়া আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে রাজধানী ঢাকায় বায়ুদূষণ রোধে গৃহীত পদক্ষেপগুলো যথাযথভাবে উঠে না আসায় ফের অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত।


পাশাপাশি আগামী ২৬ জুনের মধ্যে এ বিষয়ে পুনরায় অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে দুই সিটির প্রধান দুই নির্বাহীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।


আদালত বলেছে, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, আদালতের আদেশ আপনাদের মানতে হবে। নগরীকে বাসযোগ্য করতে যে পদক্ষেপ নেয়া দরকার তাই করুন।


আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।


আদালতের তলব আদেশের ব্যাখ্যা দিতে হাজির হয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী মোস্তাফিজুল রহমান। তাদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী ড. নুরুন্নাহার নুপুর।


শুনানির শুরুতে দুই সিটির নির্বাহীরা বায়ু দূষণরোধে গৃহীত পদক্ষেপগুলো প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করেন। সরকার মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প হাতে নেয়ায় বায়ুদূষণ রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে তারা আদালতকে জানান।


তখন আদালত বলে, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রজেক্টের কাজের সময় আপনাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা দেখা যায় কেন? আপনারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি করেন। তাই সমন্বিতভাবে কাজ করবেন। এছাড়া নাগরিক যেসব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তাও আপনারা নিশ্চিত করবেন। পয়োনিষ্কাশন, জলাবদ্ধতা ও মশা নিধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।


আদালত বলেছে, সামনে বর্ষা মৌসুম আসছে। একটু বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন এলাকায় হাঁটুপানি উঠে যায়। আবার মশার উৎপাতও বেড়ে যায়। তাই আগামী বর্ষায় মশার উৎপাত কমাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। বাংলাদেশে অনেক বিদেশি বসবাস করেন, বেশ কয়টি দূতাবাসও রয়েছে। দেশে বিনিয়োগের আরো সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সেগুলো লক্ষ্য রাখতে এবং সচেতন হয়ে আরো কর্মমুখী হতে হবে।


আদালত আরো বলেছে, জনগণ যেভাবে ট্যাক্স দিচ্ছেন তাতে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া তাদের অধিকার। তাই সব অনিয়ম ও প্রতিবন্ধকতা থেকে বেরিয়ে অচিরেই সব সমস্যা সমাধান করতে দুই সিটির নির্বাহীদের নির্দেশ দেন আদালত।


এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা পরিমাপ এবং দূষণ রোধে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তার ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। এর ধারাবাহিকতায় আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছিল। কিন্তু বায়ুদূষণ রোধের উপযুক্ত জবাব ওই প্রতিবেদনে না উঠে আসায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি আদালত।


তাই গত ৫ মে ঢাকার দুই সিটির প্রধান নির্বাহীকে তলব করেছিলো হাইকোর্ট। আজ তারা আদালতে হাজির হয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু আদালত সে ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে না পেরে তাদেরকে পুনরায় অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে সময় দিয়েছে।


প্রসঙ্গত, গত ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট আবেদন দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com